যানজটের নগরী ঢাকা । ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু-আলাইকুম।
আশা করি সবাই ভাল আছেন। যানজট আমাদের দেশের একটি প্রধান সমস্যা। মাত্রাতিরিক্ত যানবাহনের কারণে স্বাভাবিক চলাচলে যখন সমস্যা সৃষ্টি হয় তাকেই সাধারণভাবে যানজট বলা হয়ে থাকে। যানজটের প্রকৃষ্ট উদাহরণ আমাদের রাজধানী ঢাকা শহর। প্রায় এক কোটির অধিক জনসংখ্যা অধ্যুষিত এই ঢাকা শহর দিনে দিনে চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়ছে। অ- প্রশস্ত রাস্তা, অধিক যানবাহন, ট্রাফিক আইন না মানা ইত্যাদি নানা কারণে এই সমস্যা ক্রমাগত বেড়েই চলেছে। শুধু রাজধানী ঢাকা শহর নয় বড় বড় বিভাগীয় শহরগুলো সহ জেলা শহরগুলোতেও ইদানিং যানজটের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যাচ্ছে। ঢাকা শহরে যারা বসবাস করেন তারা সম্ভবত এ সমস্যার সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাইয়ে নিয়েছে অথবা ধরেই নিয়েছে এ থেকে তাদের কোনদিন মুক্তি নেই। কারণ যানজটের ব্যাপারে ইদানিং কাউকেই আর কোন কথা বলতে শোনা যায় না। সরকার এই সমস্যা থেকে পরিত্রাণের জন্য ফ্লাইওভার, ওভার ব্রিজ, ওয়ান ওয়ে রোড, এমনকি মেট্রোরেলের মত প্রকল্প গ্রহণ করলেও কার্যত তেমন কোন সুফল পাওয়া যায়নি।
স্বাভাবিকভাবে যেখানে 15 মিনিটে পৌঁছানোর কথা সেখানে সময় লেগে যায় কয়েক ঘন্টা, শুধুমাত্র এই যানজটের কারণে। ব্যস্ত নগরীর ব্যস্ত মানুষের প্রতিদিন প্রচুর সময় নষ্ট হয় শুধুমাত্র গন্তব্যে পৌঁছুতে। শুধু কর্মক্ষেত্রে পৌঁছানোর ক্ষেত্রেই নয় কোন ইমারজেন্সি দেখা দিলে যেমন অগ্নিকাণ্ড, এক্সিডেন্ট, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বা অন্য যেকোন দুর্ঘটনা দেখা দিলে সেখানে সাহায্য পৌঁছানো বা উদ্ধার কাজ পরিচালনা করা রীতিমতো দুঃসাধ্য হয়ে পড়ে এই যানজটের কারণে। মাত্র কয়েকদিন আগে তুরস্কের ঘটে যাওয়া ভয়াবহ ভূমিকম্প আমাদেরকে যে শিক্ষা দিয়ে গেল তার পরেও আমরা সচেতন নই ।বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক গবেষণা ও তথ্য উপাত্ত থেকে জানা যায় যে ভয়াবহ ভূমিকম্প ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে বাংলাদেশ। যদি কখনো সত্যি সত্যি এ ধরনের ভূমিকম্প দেখা দেয় এদেশে তাহলে উদ্ধার অভিযান পরিচালনা করা এক কথায় অসম্ভব হয়ে দাঁড়াবে । এত কিছুর পরেও প্রতিদিনই রাস্তায় নতুন নতুন শত শত গাড়ি নামছে ।
গণপরিবহনের অপর্যাপ্ততা সেই সঙ্গে ব্যক্তিগত পরিবহনের আধিক্য যানজট পরিস্থিতিকে আগুনে ঘি ঢালার মতো বাড়িয়ে দিচ্ছে । তবে সব কিছুর মূলে রয়েছে আইনের প্রতি মানুষের শ্রদ্ধাশীলতার অভাব । রাস্তা পারাপারের জন্য ওভার ব্রিজ থাকলেও সাধারণ জনগণ খুব কমই ওভারব্রিজ ব্যবহার করে, স্টপেজ ছাড়া গাড়ি থামানো নিষেধ হওয়া সত্ত্বেও পরিবহন গুলো যেখানে সেখানে থামিয়ে যাত্রী ওঠানামা করায় আর ট্রাফিক সিগন্যাল না মানার কথা না হয় নাই বললাম। এত নিরাশার মধ্যেও আমরা আশা করি যানজটমুক্ত সুন্দর রাজধানী ঢাকা শহরের। একদিন এদেশের মানুষের মানষিকতার পরিবর্তন হবে, হবে আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমরাও মুক্তি পাব যানজটের অভিশাপ থেকে এটাই প্রত্যাশা।
আজকের মত এ পর্যন্তই। আবার কথা হবে অন্য কোন বিষয় নিয়ে। সবাই ভালো থাকবেন সুস্থ থাকবেন এই কামনায় আজকের মতো এখানেই শেষ করছি।
আমার মনে হয়না এ সমস্যার সমাধান হবে। কারন যত দিন যাচ্ছে মানুষ বাড়ছে আর যানবাহন বাড়ছে। সেই তুলনায় রাস্তা বাড়ছেনা, আর উন্নয়নের জোয়ারে দেশ ভাসলেও আমরা এখনো তার সুফল পাইনি। যাক আমরাও চাই যানজটের শহরে একদিন শান্তি আসুক।
ভালো লিখনী ছিল ভাই।
আপনার সঙ্গে আমিও এক মত। তবে মাঝে মাঝে আশা করতে ভালো লাগে। যদিও জানি এই আশা কখনো পূরণ হবার নয়। ধন্যবাদ ভাই।
যানজটের কথা বলে দুঃখ বাড়ির লাভ নেই। আমি একদিন ফার্মগেট থেকে শাহাবাগ যাচ্ছি মাত্র ১৫ মিনিটের পথ আমার দুই ঘন্টা লেগেছে। এখনো সেই বিভীষিকাময় মুহূর্ত গুলোর কথা মনে পড়লে খুবই কষ্ট লাগে। ঢাকা শহরে নিত্যদিনের সঙ্গী হচ্ছে যানজট। এই যানজটের কারণ আমাদের মূল্যবান সময় নষ্ট হয়। গ্রীষ্মকালে প্রচন্ড গরমের মধ্যে বাসে বসে থাকার কি যে কষ্ট তা সত্যি খুবই দুর্বিষহ। আমাদের মাঝে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ জানাই।
এই কারণেই আমার ঢাকা শহরে যেতে ইচ্ছে করে না। আর গেলেও কখনো পাবলিক ট্রান্সপোর্ট ইউজ করিনা। মনে হয় ঢাকাবাসীদের এই যানজট থেকে কোনদিন পরিত্রান হবে না।
একমাত্র যানজটের কারণে ঢাকা শহর আমার অপছন্দ। সামান্য একটু পথ অতিক্রম করতে হলে দৈর্ঘ্য সময় অপেক্ষা করতে হয়।আর বেশীরভাগ মানুষ কোন নিয়ম কানুন মানে না। ওভারব্রিজ থাকতেও ঝুঁকি নিয়ে রাস্তা পার হয়। আসলে আমাদের নিজেদের জন্য এক্সিডেন্ট বেশি হচ্ছে। টপিক গুলো তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া।
অধিক ঘনবসতি আর যানজট এই দুটো কারণে আপনার মত আমারও ঢাকা শহর অপছন্দ। আর নিয়ম নীতিবিহীন মানুষের কথা না হয় বাদই দিলাম। ধন্যবাদ মন্তব্যের জন্য।