একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প।

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো একজন কৃষকের কপাল খুলে যাওয়ার গল্প। এই গল্পে আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব একজন খুবই গরীব এবং অসহায় পরিবারের কৃষকের কিভাবে কপাল খুলে গেল এবং ভাগ্যের চাকা ঘুরে গেল খুবই সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করতে লাগলো সেই বিষয়টি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব গল্পের মাধ্যমে।

সাধারণত গ্রামের মানুষদের প্রধান পেশা হলো কৃষিকাজ। কৃষি কাজ করেই সে তার জীবনের সবগুলো প্রয়োজনীয় পূরণ করে এবং দৈনন্দিন জীবনের সব খরচ কৃষি কাজ করেই চালায়। আর আমাদের বাংলাদেশের মধ্যে সবথেকে বেশি চাষ করা হয় ধান। এক ব্যক্তি তার পরিবারের সবকিছু কৃষি কাজের মাধ্যমে চলতে সে ধান চাষ করত প্রতিবছর। ধান চাষ করে সে ধান বিক্রি করে যে টাকা পেতে সেই টাকা দিয়ে তারপর বছর চলে যেত। এ বছরও ধান চাষ করেছে সে ধান চাষ করে খুবই অপেক্ষায় রয়েছে কখন সেই ধান বড় হবে এবং বাজারে বিক্রি করে সে টাকা পাবে। প্রতিদিনই সে সকালবেলা বেরিয়ে যেত মাঠে ধানের ক্ষেতে কাজ করার জন্য এবং সন্ধ্যায় বাড়িতে আসতো।

আর সব সময় স্বপ্ন দেখতে ধানগুলো বড় হলে সে বিক্রি করে বড় মাছ কিনবে মানুষকে আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত করে খাওয়াবে। এসব সব সময় স্বপ্ন দেখতো। একটা সময় ধান গুলো বড় হয়ে যায় তাহলে গিয়ে কাটার সময় হয়ে যায়। ধান কাটার আগের দিনই রাতে অনেক বৃষ্টি হয়। তখন মধ্য ছিল প্রায় সবাই ঘুমাচ্ছিল বৃষ্টির শব্দ শুনে তা কৃষকের ঘুম ভেঙে যায়। ঘুম থেকে উঠে যখন সে বুঝতে পারল বৃষ্টি শুরু হয়েছে তখন তার মনে হল যেন তার মাথার ওপর আকাশ ভেঙ্গে পড়েছে‌। কারণ বৃষ্টির কারণে সব ধান মাঠের মধ্যে পানিতে ডুবে যাচ্ছিল তখন মাঝরাতে এসে আফসোস করতে করতে দৌড়ে মাঠে চলে যায় এবং মাঠে গিয়ে কিছুটা ধান কাটার চেষ্টা করে। কিন্তু অনেকটাই বৃষ্টি হওয়ার কারণে এবং রাত থাকার কারণে সে সবগুলো ধান কেটে উঠতে পারেনি। সকাল বেলা উঠে দেখে তার পুরো ধানের ক্ষেত পানিতে ডুবে গিয়েছে।

কি আর করবে কপালে ছিল না সেজন্য এই অবস্থা হলো অনেক আফসোস করছিল। গ্রামের সবাইও অনেক আফসোস করছিল যেহেতু গ্রামের অনেকেই তাদের জীবন এবং পরিবার সংসার সবকিছু চালায় ধানের মাধ্যমে সবাই যেটুকু ধান কেটে পানি থেকে তুলতে পেরেছে সেটুকুই নিয়ে বাজারে বিক্রি করার জন্য গিয়েছে। কি আর করার যারা ধান কিনবে তারাও এই বৃষ্টির সুযোগ নিল তারাও বলছিল যে বৃষ্টিতে ভেজা ধানগুলো ভালো হবে না। এই ধানের চাল ভালো হবে না সেজন্য ধানের দাম পুরো দিতে পারবে না অর্ধেক দাম দিবে। তখন কৃষকরা বলল যে এত কষ্ট করে আমরা ধানগুলো কেটেছে তাছাড়া অর্ধ পানিতে ডুবে গিয়েছে এখন যদি এই ধানের দাম অর্ধেক ধান তাহলে তো আমরা পথে বসে যাব। আমাদের সংসার চলবে না। তখন যারা ধান কিনবে তারা বলেছে অর্ধেক দামে যদি তারা বিক্রিত করতে চায় তাহলে করতে পারবে আর যদি বিক্রি করতে না আসে তাহলে তাদের ধান নিয়ে যেন তারা বাড়িতে চলে যায় পুরো দাম দিয়ে তারা ধান কিনবে না ধান ব্যবসায়ীরাও এই বৃষ্টি সুযোগ নিলো তাদের থেকে।

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।