গল্প: বাবার ভালোবাসা।

in আমার বাংলা ব্লগ4 months ago

হ্যালো সবাইকে

কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। বাবার ভালোবাসা গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।

1000043642.jpg

আজকে আরো একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে বেশি ভালো লাগবে গল্প পড়তে। তার মধ্যে সব রকমের গল্পই মাঝেমধ্যে পড়া হয়ে থাকে বেশিরভাগ ভালো লাগে ভূতের গল্প পড়তে। ভূতের গল্প পড়বার মধ্যে অনেকটা কৌতুহল কাজ করে এবং অনেক বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প গুলো পড়তে। বেশিরভাগ সময় আপনাদের মাঝে ভূতের গল্প শেয়ার করা হয়ে থাকে কিন্তু মাঝে মধ্যে ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকের গল্পটির নাম হচ্ছে বাবার ভালোবাসা। প্রত্যেকটা সন্তানের জন্যই তার বাবার ভালোবাসা রয়েছে। প্রত্যেকটা বাবাই তার সন্তানকে অনেক বেশি ভালোবাসে। সে রকমই একজন বাবার গল্প আছে আপনি আপনাদের মাঝে তুলে ধরবো।

ছোট্ট একটা ছেলে হেসে খেলে সারাদিন ঘুরে বেড়ায়। তার বাবা-মা দুজনই তাকে অনেক বেশি ভালোবাসে। মা তো সন্তানকে সব থেকে বেশি ভালোবাসে কিন্তু বাবার ভালোবাসা কোন অংশে কম নয়। বাবা হয়তো মায়ের মত এরকম ভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু সন্তানের সকল রকমের আবদার বাবা পূরণ করে থাকে। বাবার সামর্থ্য থাকুক আর না থাকুক সন্তানের আবদার করলে সেই আবদার বাবা তার সবটুকু দিয়েই পূরণ করে। তাদের ছিল মধ্যবিত্ত পরিবার। ছেলেটার বাবা কৃষি কাজ করতো। তাও আবার নিজের জমিতে কৃষি কাজ করত না অন্যের জমিতে কৃষি কাজ করতো। আর জমিতে ফসলগুলো অর্ধেক তাই জমির মালিককে দিয়ে দিতে হতো আর অর্ধেকটা সেই বিক্রি করে কোনমতে তাদের সংসারটা চালাত।

কিন্তু সুখ শান্তি তো আর টাকা দিয়ে কেনা যায় না তাদের টাকার অভাব থাকলেও পরিবারে আদর যত্ন ভালবাসার কোন অভাব ছিল না। তবে রাত জেগে মা-বাবা দুজনই ছেলেটার ভবিষ্যতের জন্য অনেক বেশি চিন্তা করত। তারা যেভাবে সংসার চালাচ্ছে তাদের যেভাবে দিন চলছে সেভাবে ছেলেটার ভবিষ্যৎ নিয়ে তারা অনেক বেশি চিন্তিত। আর ছোট ছেলেটা হেসে খেলে তো দিন কাটাচ্ছে আর দিনের পর দিন বাবার কাছে অনেক আবদার করছে। হঠাৎ ছেলেটা একদিন মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার আবদার করে। তার মা তাকে বুঝিয়ে বলে যে রোজ রোজ মাংস কেনার মত সামর্থ্য আমাদের নেই। তারপরও মাঝেমধ্যে তিনি মাংস নিয়ে আসেন তোমার আবদার পূরণ করার জন্য।

এসব বলে বুঝানোর পর ছেলেটাও বুঝে যায়। এভাবেই দিনের পর দিন কাটতে থাকে। কিন্তু বেশ কিছুদিন পর তার পাশের সমবয়সী একটা বাচ্চা তাকে এবং তার বাকি বন্ধু-বান্ধবদের গল্প শুনাচ্ছিল। তারা ছুটির দিনে মা-বাবা সহ বাইরে ঘুরতে গিয়েছিল এবং হোটেলে খাবার খেয়েছিল। এসব শুনে বাড়িতে এসে সে তার মায়ের কাছে এবং বাবার কাছে আবদার করে সে হোটেলে খাবার খেতে যাবে। তার সহপাঠীরা সবাই ছুটির দিনে ঘুরতে যায় এবং ভালো ভালো খাবার খেয়ে আসে হোটেল থেকে এসব গল্প শুনে তারও খেতে ইচ্ছে করে। তার এই নিষ্পাপ কথা শুনে তার বাবা কিছু না ভেবেই ছেলেকে কথা দিয়ে দেয় যে তারা ছুটির দিনে হোটেলে খেতে যাবে। বাবারে কথা শুনে তো ছেলেটা অনেক বেশি খুশি এবং লাফাতে লাফাতে বাইরে চলে যায় এবং তার সহপাঠীদের গিয়েও বলেছে তারা সামনের ছুটির দিনে বাইরে ঘুরতে যাবে এবং হোটেলে খেতে যাবে।

এদিকে ছেলেটা ঘুমিয়ে যাওয়ার পর রাতে মা-বাবা দুজনই টেনশন করতে থাকে যে ছেলেটাকে তো কথা দিয়ে ফেলেছি কিন্তু বাইরে খেতে গেলে ঘুরতে গেলে তো অনেক টাকার প্রয়োজন সেই টাকা তো আর তাদের হাতে নেই। তখন ছেলেটার বাবা বলেছে যাই হোক ছেলেটাকে কথা দিয়েছে সে কথা তো আমাকে রাখতেই হবে। দেখি কোনভাবে টাকা পয়সা জোগাড় করতে পারে কিনা মালিককে বলব আমাকে কিছু টাকা অগ্রিম দিয়ে দিতে। পরবর্তী তিনি তার মালিককে বললেও তিনি তাকে কিছু অগ্রিম টাকা ধার দেয়নি। আর যখন তার মা-বাবা এসব কথা বলছিল তখন ছেলেটা শুনে ফেলে এবং সে অনেক মন খারাপ করে যে তার আর ঘুরতে যাওয়া হলো না।

পরবর্তীতে তার বাবা বাইরের অনেক পরিশ্রম করে অনেক ধরনের কাজ করে কিছু টাকা জোগাড় করে। একমাত্র ছেলেটাকে বাইরে ঘুরতে নিয়ে যাওয়ার এবং হোটেলে খাবার খাওয়ানোর স্বপ্নটুকু পূরণ করার জন্য। ছেলের তো মন খারাপ যেদিন ছুটির দিন এলো সেদিন সকালে যখন বাবা বাইরে যাওয়ার জন্য বলে তখন ছেলেটা আবার অনেক বেশি হাসি খুশি হয়ে যায়। তারা সবাই মিলে বাইরে ঘুরতে যাবে হোটেলে খাবার খায় ছেলেটার ইচ্ছে পূরণ হয়। ছেলেটা অনেক বেশি খুশি। ঠিক এভাবে প্রত্যেকটা বাবা তার সন্তানদের আবদার পূরণ করে থাকে। বাবা সবটুকু দিয়েই বাবার চেষ্টা করে সন্তানদের সব রকমের আবদার চেয়ে পূরণ করা। এই ছিল আমার গল্পটি আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।

পোস্ট বিবরণ

শ্রেণীজেনারেল
ফটোগ্রাফার@fasoniya
ডিভাইসVivo Y15s
লোকেশনবাংলাদেশ


আমার পরিচয়

1664774022741.jpg

আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।


1 (1).png

IMG-20221013-WA0015.jpg

1000041574.jpg

Sort:  
 4 months ago 

বাবার ভালোবাসা নিয়ে অনেক সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপনি। আসলে বাবার ভালোবাসা কখনো শেষ হয় না। সর্বোচ্চ চেষ্টা করে থাকেন সন্তানদের হাসি খুশি রাখার জন্য। ঠিক তেমনি একটা পোস্ট আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন এবং বিস্তারিত আলোচনা করেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

আসলে বাবা মায়ের ভালোবাসা কখনো নিশ্বাস হয় না। আজকে আপনি আমাদের মাঝে যে বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছেন তার মধ্য থেকে বেশ অনেক কিছু জানার ও শেখায় রয়েছে। তবে ভালো লাগলো বাবা মায়ের চিন্তা ভাবনা দেখে। যেহেতু সন্তানকে তারা কথা দিয়ে ফেলেছে ছেলে ঘুমিয়ে গেছে কিন্তু পরবর্তীতে তার পিছনে খরচ করতে পারবে কিনা, হাসিখুশি মুখ ধরে রাখতে পারবে কিনা। আসলে সর্বোচ্চ চেষ্টা দিয়েও পিতা-মাতা সন্তানকে খুশি করার চেষ্টা করে থাকে। আর এটাই হচ্ছে বাবা মায়ের ভালোবাসা।

 4 months ago 

বাবার ভালোবাসায় সন্তানের প্রতি গভীর সম্পর্ক জড়িয়ে থাকে। বাবা মা সর্বোচ্চ দিয়ে সন্তানের আবদার গুলো পূরণ করার চেষ্টা করে। তাই আপনার গল্পে মাংস দিয়ে ভাত খাওয়ার জন্য ছেলেটি আবদার তার বাবার কষ্ট হওয়ার পরও পূরণ করেন। সকল বাবা মা চান তাদের সন্তান যেন ভালো থাকেন। তাই বাবা-মায়ের ভালবাসার কোন তুলনা হয় না।

 4 months ago 

আপু খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন। ঠিক বলেছেন বাবা কখনও মায়ের মতো এভাবে ভালোবাসা প্রকাশ করতে পারে না কিন্তু বাবার ভালোবাসা কোনো অংশে কম নয়। বাবা সবসময়ই সন্তানদের আবদার পূরণ করে। সেটা যেভাবেই হোক না কেন পূরণ করবেই। মায়ের পাশাপাশি বাবার ভালোবাসার ও কোনো তুলনা হয় না। সবশেষে বাবা অনেক কষ্ট করে টাকা জোগাড় করে ছুটির দিনে ঘুরতে গিয়ে ছেলের মুখে হাসি ফুটিয়েছেন জেনে খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।

 4 months ago 

আসলে প্রত্যেকটা বাবার ভালোবাসা এরকমই হয়ে থাকে। সবকিছুর মাঝেও নিজের সন্তানের ভালোটাই দেখে। আর নিজের সন্তানের ইচ্ছে পূরণ করার জন্য চেষ্টা করি। টাকা থাকুক আর না থাকুক কষ্ট করে হলেও টাকা যোগাড় করে নিজের সন্তানের ইচ্ছে পূরণ করে। আপনি অনেক সুন্দর করে বাবার ভালোবাসাকে তুলে ধরেছেন দেখে ভালো লাগলো।

 4 months ago 

প্রত্যেকটা বাবা-মা নিজের সন্তানকে অনেক বেশি ভালোবাসে। আসলেই মায়েরা ভালোবাসা প্রকাশ করলেও বাবারা করে না। ছোট্ট ছেলেটার প্রত্যেকটা আবদার তার বাবা অনেক কষ্ট করে হলেও পূরণ করছে। শত কষ্ট হলেও একজন বাবা নিজের সন্তানের ইচ্ছে গুলো পূরণ করার জন্য চেষ্টা করে। অনেক ভালো লাগলো আপনার আজকের পোস্ট পড়ে।

 4 months ago 

ছেলে মেয়েদের জন্য মা-বাবার আদর ভালোবাসা কম থাকে না। তবে এটি ঠিক বলেছেন মায়ের মত বাবা ভালবাসা প্রকাশ করতে পারে না। আর এই গল্পের ছেলেটি হোটেলে গিয়ে খাওয়া-দাওয়া করার ইচ্ছা প্রকাশ করেছে। অথচ তার বাবা বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অতিরিক্ত পরিশ্রম করে টাকা জোগাড় করে ছেলের হোটেলে খাওয়া স্বপ্ন পূরণ করেছে। এতে বুঝা যায় বাবা শত কষ্টের মাঝেও ছেলে-মেয়েদের স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করে। শুধু টাকা পয়সা হলে সুখ থাকে না সুখ থাকে মনে এবং বিশ্বাসে। ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে।

 4 months ago 

বাবা-মায়েরা সন্তানের খুশির জন্য সবকিছু করতে পারে।তাইতো তার মালিক টাকা না দিলেও তারা কঠোর পরিশ্রম করে ছেলের আবদার পূরণ করেছেন এটা আসলেই সুখকর বিষয়।সমাজে এমন অনেক মানুষ রয়েছে, ভালো লাগলো গল্পটি পড়ে।ধন্যবাদ আপনাকে।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.24
JST 0.034
BTC 97054.98
ETH 2729.75
SBD 0.62