অলৌকিক ভূতের গল্প (শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। অলৌকিক ভূতের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
এরপর সেই সবদিকে বাইরে যাওয়ার রাস্তা খুঁজছিল। রাস্তা খুঁজতে খুঁজতে একসময় সে একটা বাইরে যাওয়ার রাস্তা দেখতে পায়। সে রাস্তা দিয়ে সে যখন হেঁটে যাচ্ছিল তখন যেন সে অন্ধকারের দিকেই ধাবিত হচ্ছে। আস্তে আস্তে এসে দরজার কাছে যেতে অন্ধকার তাকে একেবারে আঁকড়ে ধরেছে। হঠাৎ করে সে দেখতে পায় ছোট একটা মেয়ে দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে কাঁদছে। সে সেই মেয়েটিকে দেখতে পাচ্ছে এবং তার কাছে গিয়ে জিজ্ঞেস করছে তুমি এখানে কাঁদছো কেন। তখন সেই মেয়েটি বলে আমার মা-বাবা হারিয়ে গেছে আমি সেজন্যই কাঁদছি। তখন সে মেয়েটির সাথে কথা বলতে থাকে কথা বলতে বলতে মেয়েটির আশেপাশে অনেক কিছুই বিভিন্ন ধরনের ঘরবাড়ি এসব কিছু এসে দেখতে পায়।
অন্ধকার থেকে যেন একটা সুন্দর বাড়িতে পরিণত হয়েছে আশেপাশের পরিবেশ। তখন আশেপাশে দেখে যে খুবই সুন্দর একটি বাড়ি হাসিখুশি সে বাড়িতে সবাই খুবই সুন্দর ভাবে বিভিন্ন কাজে ব্যস্ত রয়েছে। তারপর মেয়েটি দেখতে পায় এই হাসি খুশি পরিবেশ থেকে হঠাৎ যেন পরিবেশটা অন্যরকম হয়ে যাচ্ছে। একটা মেয়ে হঠাৎ করেই যেন উপরে ছাদ থেকে পড়ে আত্মহত্যা করছে। তার আত্মহত্যা করার পর বাড়ির সবাই তাকে দেখে অনেক কান্নাকাটি করছে এসব সেই মেয়েটি দেখতে পাচ্ছে। মেয়েটি আত্মহত্যা করার পর পাশে একটি ছেলেও ছাদ দেখে লাফ দিয়ে নিজের জীবন নিজেই শেষ করে দেয়। এই ছেলেমেয়ে দুটো মৃত্যুর কারণে পরিবারে অনেক বেশি অশান্তি নেমে আসে তারা কেউ যেন আর সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারছে না।
আর এভাবেই তাদের হাসি খুশি পরিবারটা আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যায়। এরপর আস্তে আস্তে মেয়েটির চোখের সামনে থেকেই দৃশ্যটাও সরে যায়। মেয়েটি তখন বাচ্চা মেয়েকে জিজ্ঞেস করে মেয়েটির কান্না করে করে বলছিল আমাদের পরিবারটা এভাবেই শেষ হয়ে। আর এভাবেই আমাদের বাড়িটাও একটা ভুতুড়ে বাড়িতে রূপান্তর হয়েছে। এই বাড়িতে শুধু আমাদের আত্মাগুলো ঘুরে বেড়ায় আশেপাশের মানুষ এ বাড়িতে আসতে চায় না। এরপর সেই ছোট্ট মেয়েটি এই মেয়েটির হাত ধরে কোথায় যেন অন্ধকারের দিকে নিয়ে যাচ্ছিল। মেয়েটির যেন নিজের শরীর হাত পা কিছুই নাড়াতে পারছিল না সব যেন এক জায়গায় স্থির হয়ে রয়েছে। এরপর একটা সময় চোখ খুলে দেখে সে বাড়ির বাইরে পড়ে রয়েছে।
আশেপাশে গ্রামের কিছু লোকজন দাঁড়িয়ে রয়েছে মেয়েটির চোখে মুখে পানি দিচ্ছে। এরপর মেয়েটি উঠে দাঁড়িয়ে পরে এবং গ্রামের মানুষ খুব স্পষ্টভাবেই দেখতে পাচ্ছি মেয়েটির মুখের মধ্যে কতটা ভয় লুকিয়ে রয়েছে। এরপর গ্রামের লোকজন তাড়াতাড়ি করে মেয়েটিকে মেয়েটির বাড়িতে নিয়ে যায় এবং এইসব বিষয় মেয়েটির মা-বাবাকে বলে। কিন্তু ভেতরে ঘটে যাওয়া কোন ঘটনাই মেয়েটি তার মা-বাবাকে বলেনি যাই হোক আজকের গল্প এখানেই শেষ করলাম। আশা করি আপনাদের কাছে আমারই ভূতের কাল্পনিক গল্পটি ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।