সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত (পর্ব১)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
অনেকদিন পর আজকে একটি ট্রাভেল পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হলাম। বেশ অনেকদিন ট্রাভেল পোস্ট হয়নি। আরো অনেকদিন আগে খুব সুন্দর একটি জায়গায় ঘুরতে গিয়েছিলাম। সেখানে যাওয়া হয়েছে যে বেশ অনেকদিন হয়েছে তবে আপনাদের মাঝে সেই মুহূর্তগুলো শেয়ার করা হয়নি। তাই ভাবলাম যে আজকে আপনাদের মাঝে সেই সুন্দর মুহূর্ত গুলো শেয়ার করা যাক। খুবই সুন্দর একটি পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলাম সেটারই কিছু মুহূর্ত এবং ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। পার্কে বাইরে থেকে ভিতর থেকে খুবই সুন্দর ছিল। অনেক পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন এবং খুবই সুন্দর ভাবে তারা এই পার্ক সাজিয়ে তুলেছে। সেখানে একদিন যাওয়া হয়েছিল এমন একটা সময় কাটানো হয়েছিল তবে পার্কের রাতের বেলা বিভিন্ন ধরনের জিনিস হয়ে থাকে আমরা গিয়েছিলাম দিনের বেলা। একটা জায়গায় যাওয়ার পথে এই পার্কে চোখে পড়ল এবং সেখানে নেমে পার্ক থেকে ঘুরে আসলাম।
এই পার্কটা অনেক বেশি বড় ছিল। এ পার্কে ঢুকার সময়ই বড় গেটটা পরে সামনে সেখান থেকে টিকিট নিয়ে ভিতরে ঢুকতে হয়। ছোট-বড় সবাই টিকেট নিতে হয়। প্রতিজন মানুষের টিকেট ছিল ১০০ টাকা করে। টিকিটগুলো নিয়ে আমরা ভিতরে গিয়েছি ভিতরে গিয়ে প্রথমে পার্কটা খুবই বেশি ছোট মনে হয়েছিল। কিন্তু পাশে এক একটা গেট দিয়ে ভিতরে ঢোকার পর দেখতে পেলাম অনেক পার্ক অনেক বড় ছিল পার্কটা। এই গেটটা দিয়ে ভেতরে ঢোকার পর বিশাল বড় একটা জায়গা জুড়ে পার্কের কিছু অংশ ছিল এবং অন্য পাশে অনেক গুলো হয়েছিল সেগুলো দিয়ে ঢোকার পর অনেক ধরনের সুন্দর সুন্দর জিনিসপত্র দেখতে পেলাম। পার্কের মধ্যে বিশাল একটা গেট তৈরি করে সেখানে বাড়ির মতো করে তৈরি করেছিল।
শুধু বিভিন্ন ধরনের রাস্তা এক দিক দিয়ে ঢুকলে আরেক দিক দিয়ে বের হলাম। এক জায়গা দিয়ে গেলে সেখান দিয়ে আর ফিরে আসা যায় না। অন্য জায়গা দিয়েই গেলে আর সেটা দেখতেও পাওয়া অনেক বেশি বড় ছিল। এত বড় পার্কে এর আগে আমি কখনোই যাইনি। অনেকগুলো খুবই সুন্দর সুন্দর ঘর ছিল যেগুলোতে বসার ব্যবস্থা ছিল। তাছাড়া তারা সেখানে অনেক অনেক গাছ লাগিয়েছে। অনেক ধরনের অনেক জাতের গাছ ছিল যে সেগুলোকে তারা খুবই সুন্দরভাবে সাজিয়েছিল এবং অনেক ধরনের মূর্তি কার্টুন অনেক কিছুই তারা একেক জায়গায় খুব ভাবে সাজিয়েছিল। উপরে আপনারা দেখতেই পাচ্ছেন বড় দুটো হাত আর একটা মুখোশ খুবই সুন্দর লাগছিল দেখতে।
এই পার্কের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লেগেছে আমার এই স্ট্যাচুটি। এই স্ট্যাচু পিছনে অনেক ঘটনা রয়েছে সেগুলো অনেক আগে বইতে পড়েছিলাম ঠিক মনে নেই সেজন্য বলতে পারছি না। এই জায়গা অনেকক্ষণই সময় কাটিয়েছে এবং সেখানে বসে কিছু ফটোগ্রাফি করেছি। এই মূর্তির কোন ঘটনা আপনারা যদি জেনে থাকেন তাহলে অবশ্যই কমেন্টের মাধ্যমে জানাবেন। পার্কের মধ্যে বেশ কয়েকটি দোকান ছিল তার মধ্যে খাবারের দোকান গুলোতে বেশ ভালো মানের খাবারই বিক্রি করে। তবে তার পাশাপাশি খাবারের দাম অনেক বেশি ছিল। এত বড় একটা পার্কে মানুষ খাওয়া দাওয়া এমনিতেই করবে যেহেতু অনেকটা সময় লাগবে পার্কে ঘোরাঘুরি করতে পুরো দিকটা দেখতে সে তো খাওয়া দাওয়া তো করতেই পারে। কিন্তু সে হিসেবে সাধারণ মানুষের জন্য খাবারের দামটা অনেক বেশি হয়ে যায়।
তাছাড়া সেখানে অনেক ধরনের জিনিসপত্র ইউনিক ইউনিক জিনিসপত্র তারা বিক্রি করে। এই জিনিসপত্র গুলো বিশেষ করে আমরা কক্সবাজার বা পাহাড়ি অঞ্চল এইসব জায়গায় পেয়ে থাকি। এই অনেক জিনিসগুলো আমি সেখানে অনেক দাম ছিল। যেগুলাতে আসলে হাত দেওয়া কল্পনার মত এত দাম ছিল। বিভিন্ন ধরনের রাইড ছিল বাচ্চাদের তার পাশেই যেখানে ছোট বাচ্চাদের রাইড ছিল। তার পাশেই তারা আবার খেলনার দোকান দিয়েছিল। সেই খেলা দোকানের একই অবস্থা অনেক দাম কিন্তু বাচ্চারা খেলা তো আর সেইখান থেকে খেলনা না কিনে বাড়ি ফিরতে পারে না সেজন্য খেলনা কিনে দিতে হচ্ছে..(চলবে)
শ্রেণী | ট্রাভেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1744410143952093642?t=X-PFSWyJ3Ro7HBm79rT6Vg&s=19
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
বেশ ভালো লাগলো আপনারা পার্ক ঘুরতে গিয়েছিলেন আর এ পার্কে ঘুরতে যাওয়ার প্রথম অনুভূতিটা আপনি আমাদের মাঝে আজকে শেয়ার করেছেন। আসলে সুযোগ পেলে আমাদের যে কোন স্থানে ঘুরতে যাওয়া একান্ত প্রয়োজন। এতে মন মানসিকতা ভালো থাকলে আর যেন অন্য রকম একটা অনুভূতি জাগ্রত হয় মনের মধ্যে। তবে পার্কের দৃশ্যটা সেই রকম বেশ ভালোলাগার মতো অনেক ফটোগ্রাফি করেছেন আশা করি, তবে পরবর্তী পোস্টগুলো দেখার আশায় রইলাম।
বিভিন্ন জায়গায় ঘুরাঘুরি করলে মনটা খুবই ভালো থাকে। মন ভালো রাখার জন্য ঘোরাঘুরি করাটা অনেক বেশি প্রয়োজন বলে আমি মনে করি। সেজন্যই সময় পেলে বিভিন্ন জায়গা থেকে ঘুরে আসি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছবি দেখে মনে হচ্ছে পার্কটি সত্যি খুবই পরিচ্ছন্ন ও গোছালো ছিলো। পার্কের সৌন্দর্যে মুগ্ধ না হয়ে পারা যায়না। তবে পার্কে ঢোকার টিকিট এর মূল্য একটু বেশি মনে হলো। আমার মনে হয় ৫০ টাকা করে হলে পার্ফেক্ট হতো। স্ট্যাচুটি আমার কাছেও ভালো লেগেছে।
পার্কের ভিতর স্ট্যাচু টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
বাহ দেখে বেশ ভালই লাগলো আপু আপনি পার্কে ঘুরতে গেলেন। তবে একটা বিষয় হচ্ছে যেহেতু ১০০ টাকা করে নিল পার্কে প্রবেশ করার জন্য। তাহলে বোঝা যাচ্ছে পার্কের সাইজ অনেক বড় হবে। বেশ ঘোরাফেরা করলেন পার্কের ভিতরে। ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ ছিল।
একটা অনেক বেশি বড় ছিল সেজন্যই হয়তো টিকিটের দামটা বেশি নিল। তবে দাম হিসেবে অনেক বড় পার্ক হওয়াতে অনেকটা সময় সেখানে কাটানো হয়েছে এবং ভালো লেগেছে।
ফটোগ্রাফি গুলো দেখে মনে হচ্ছে পার্কটা অনেক সুন্দর ও পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন। এধরনের পার্কে ঘুরতে গেলে সময়টা বেশ ভালোই কাটে। আপনি বেশ চমৎকার সময় কাটিয়েছেন। তবে আমার কাছে প্রথম গেটের ফটোগ্রাফিটি খুবই ভালো লেগেছে। স্ট্যাচুটি গুলো দারুন ছিলো। ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইলো।
হ্যাঁ ভাইয়া পার্কটা খুবই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ছিল। খুবই ভালো লেগেছিল সেখানে কিছুটা সময় কাটিয়ে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনারা তো দেখছি অনেক সুন্দর একটা পার্কে ঘুরতে গিয়েছিলেন। পার্কটা কিন্তু সত্যি খুবই সুন্দর ছিল। প্রথম পর্ব টা পড়ে আমার কাছে খুব ভালো লাগলো। পরিবেশটা যেমন সুন্দর ছিল, তেমনি পার্কের মধ্যে খুবই সুন্দর সুন্দর কিছু মূর্তিও দেখতে পেলাম। আর মূর্তিগুলো দেখেও কিন্তু আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে। প্রতিজন মানুষের ঢোকার টিকেট দেখছি অনেক বেশি ছিল। ১০০ টাকা করে একজনের ঢোকার টিকেট। তবে যাই হোক ভালো সময় কাটালে বেশি ভালো লাগে। প্রথম পর্বের মাধ্যমে কিছু মুহূর্ত শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
আমার এই পার্কে ঘুরতে যাওয়ার পোস্টটি দেখে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার পার্ক ঘোরার পুরো ঘটনা এই পর্বের মাধ্যমে জানা গেলো না আপু!🤔🤔 সামনের পর্বের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। যাইহোক, তবে এতোটুকু বুঝতে পারলাম পার্কে সবকিছু দাম অনেকটা বেশি ছিল। তাছাড়া দেখলাম টিকিটের মূল্য ১০০ টাকা নিয়েছে। এটাও আমার কাছে অনেকটা বেশি মনে হলো। আমাদের এখানে, ওয়েস্ট বেঙ্গল এর সবথেকে বড় যে ইকোপার্ক রয়েছে সেখানে ঢুকতে গেলে মাত্র ৩০ টাকা লাগে।
মানুষ যে নিজেই তার নিজের ভাগ্যের নির্মাতা, সেটা ইঙ্গিত করতে চেয়েছে এই মূর্তিটির মাধ্যমে।
প্রথমত অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য। একদমই ঠিক বলেছেন টিকিটের দামটা বেশি ছিল। আর এই মূর্তিটার কথা বলেছেন সেটা মনে পড়ল এখনই দেখে নিজেই নিজেকে তৈরি করে এরকম একটা লেখা বা আপনি লিখেছেন যে ওরকম একটা লেখা এই মূর্তিটা নিয়ে ছিল।