মা হারা দুই সন্তানের গল্প(পর্ব ১ )
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মা হারা দুই সন্তানের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো মা হারা দুই সন্তানের গল্প।
খুব সুন্দর একটি হাসি খুশি পরিবার ছিল। কিন্তু হঠাৎ করে সেই পরিবারের বউ অসুস্থ হয়ে পড়ে তার দুটো ছেলে মেয়ে ছিল। একটা ছেলে একটা মেয়ে ছিল তারাও বড় ছিল না ছোটই ছিল। অনেকদিন অসুস্থ থাকার পর তাদের দুই ভাই বোনের মা হঠাৎ করেই মারা যায়। মা মারা যাওয়ার পর তাদের বাবা তাদের জন্য অনেক চিন্তা করত যে তাদের দুই ভাই বোনকে কিভাবে মানুষ করবে। তাদের পরিবারে টাকা-পয়সার কোন ধরনের অভাব অনাটন ছিল না। এই ছেলেমেয়ে দুটো ওর মা মরে যাওয়ার পর তাদের বাবা তাদের কথা চিন্তা করে আরেকটা বিয়ে করা সিদ্ধান্ত নেয়। যাতে একটা নতুন মা নিয়ে এসে তাদের জীবনটা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে।
তাদের বাবার নতুন করে একটা বিয়ে করল বিয়ে করার পর সৎ মায়ের ঘরেও তাদের একটা বোন হল। সেই বোন আর তারা দুই ভাই বোন মিলে একসাথে খুবই সুন্দর ভাবে চলত। সৎ মা তো সৎ মায়ের হয় কখনো নিজের মায়ের মত আদর যত্ন করতে পারেনা। ওই সৎ মায়ের যখন নিজের একটা মেয়ে হয়ে যায় তখন সে তার স্বামীর আগের বারে ছেলে মেয়ের সাথে খুবই খারাপ আচরণ করতো। বিশেষ করে মেয়েটার সাথে অনেক বেশি খারাপ আচরণ করতো মেয়েটাকে দিয়ে বাড়ির সব কাজকর্ম করিয়ে নিতো। এই ছোট্ট মেয়েটা সৎ মায়ের কোথায় সব কাজকর্ম করতো। তার সৎ মা হঠাৎ একদিন তাকে বাড়ির কোন একটা কাজ করতে বলেছিল সেই কাজ করতে গিয়ে সে আজ থেকে একটা গ্লাস ফেলে ভেঙে ফেলে। তখন তার সৎ মা খুবই রেগে গিয়ে তার সৎ মেয়েকে একটা চড় মারে।
আর ছোট বোনকে চড় মারা অবস্থায় তার ভাই দেখে ফেলে। সৎ মা তার বোনকে মেরেছে এটা দেখে সে খুবই কষ্ট পায় এবং সে তার সৎ মায়ের সাথে এই বিষয়ে অনেক ঝগড়া করে এবং তার বোনকে মারার কারণে সে প্রতিবাদ করে। তখন তার সৎ মাও তাকে অনেক খারাপ কথা বলে তখন সে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যায়। ভাইকে করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে দেখে তার ছোট বড় ভাইয়ের পিছন পিছন চলে আসেন। এদিকে তাদের বাবা বাড়িতে এসে তাদেরকে খুঁজে না পেয়ে বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করেছে। কিন্তু তার বাবা তাদের পায়নি। তারা দুই ভাই বোন বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসে একটা গাছ তলায় ছিল। সেই রাতটা কোনভাবে কেটে গেল সকালে মেয়েটির ভাই ঘুম থেকে উঠে দেখে মেয়েটির অনেক বেশি জ্বর চলে এসেছে। তারা ছোট মানুষ কি করবে রাগ করে বাড়ি থেকে বেরিয়ে এসেছে কিন্তু এই অসুস্থ শরীর নিয়ে আর কোথায় যাবে সেজন্য তারা ঠিক করলো বাড়িতে চলে যাবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।(চলবে....)
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/APatwary88409/status/1759965020115616098?t=qLi_49-eENLoF-Ps_o1Yew&s=19
এই গল্পটির আসলেই বাস্তব।আমাদের সমাজে এরকম গল্প হাজারো রয়েছে। মা অসুস্থ হওয়ার কারণে দুটি সন্তান রেখে যখন মারা যায় তখন সেই সংসারে আরো অশান্তি নেমে আসে। কারণ মা ছাড়া বা ছেলে মেয়ের ভালোভাবে মানুষ করা সম্ভব না। যার কারণে বাবার টাকা পয়সার অভাব নেই তারপরেও মায়ের অভাবের কারণে একটি বিয়ে করে। আর সৎ মা তো সৎ মা হয়। সে কখনোই আপন করতে পারে না। তার ঘরে যখন একটা সন্তান আসে তখনই তার ব্যবহার খারাপ হয়ে যায়। যার কারণে একদিন গ্লাস ভাঙ্গা নিয়ে মেয়েটিকে থাপ্পর মারে ভাই প্রতিবাদ করার কারণে ভাইকে অনেক কথা শুনায়।তাই বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় এবং রাতে একটি গাছ তলায় থাকে আর ওদের জ্বা হয়ে তাই তারা বাড়ি যাওয়ার কথা ভাবে।আসলে মা ছাড়া সন্তান অসহায়, কোনভাবে তারা মায়ের আদর পায় না।
আজকের এই ঘটনাটি আশেপাশে তাকালেই দেখা যায়। যাদের মা মারা গেছে তাদের সাথে এই সব ঘটনা প্রতিনিয়তই ঘটতে থাকে। যাইহোক ভাইয়ার গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আমাদের সমাজে আসলে এরকম হাজারো ফ্যামিলি আছে। যারা সৎ মায়ের অত্যাচারে তাদের জীবনে দুঃখের সীমা থাকে না। যদিও তাদের ফ্যামিলিতে টাকা পয়সার অভাব নেই তার পরেও সৎ মায়ের অত্যাচারে তাদের জীবনে নেমে আসে দুঃখ। যাই হোক বাড়ি থেকে বের করে দেওয়াই পরবর্তীতে কি হয়েছে তা জানার অপেক্ষায় রইলাম । সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আসলে যাদের মা মারা যায় তারাই বুঝে দুনিয়াতে বেঁচে থাকা কত কষ্টকর। আর আমাদের সমাজে সৎ মায়ের কাছে অত্যাচারিত অনেক ছেলেমেয়ে রয়েছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
গল্পটা কি এখানেই শেষ আপু....? সত্যি বলতে সৎ মা সংসারে আসলে সেই সংসারে যে কি হাল হয়, সেটা আমরা সকলেই জানি। তবে আমি মনে করি যে বউ মারা যাওয়ার কারণে আর একটা বিয়ে করা, এটা চিন্তা করে যে ছেলে মেয়েকে সুখে রাখবে তার সৎ মা এসে, তাহলে এ ধারণাটা একেবারেই ভুল। এরকম কোনদিনই আসলে হয় না। তবে সৎ মা বাড়িতে এসে তার আগের সংসারের ছেলে-মেয়েদের উপর যে অত্যাচার করছে, এটা তো অবশ্যই খারাপ। বিশেষ করে যখন ছেলে মেয়ে অনেক ছোট। আসলে এই ধরনের গল্প আমাদের বাস্তব জীবনে অনেক দেখা যায়।
না ভাইয়া এটা গল্পের প্রথম পর্ব ছিল আর ইতিমধ্যে আমি গল্পের শেষ পর্বটিও আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি। আপনি গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো।
যাক, জেনে ভালো লাগলো আপনি এই গল্পের শেষ পর্বটাও আমাদের মাঝে শেয়ার করে দিয়েছেন। সময় পেয়ে ওই পর্বটিও অবশ্যই পড়ে নেব আপু।
আজকের গল্পের এই বিষয়টি বাস্তবে অনেক জায়গায় দেখা যায়। সত্যি বলতে আমাদের পাশের গ্রামেও এমন বাস্তব একটা ঘটনা ঘটেছিল। মূলত মা মরে যাওয়ার পরে সব সন্তানের জীবনেই কষ্ট নেমে আসে।
একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া এই গল্পের ঘটনাটি আমাদের আশেপাশে অনেক ঘটে থাকে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
মা হারা দুই সন্তানের গল্প পড়ে সত্যি খুব ভালো লেগেছে। আসলে সৎ মা কখনও নিজের মায়ের মত করে আদর করতে এবং ভালোবাসতে পারে না। কারণ সৎ মা তো সৎ মাই হয়। মেয়েটাকে তার সৎ মা মারার কারণে ছেলেটা রেগে গিয়ে মায়ের সাথে ঝগড়া করে বেরিয়ে গিয়েছিল বোনকে নিয়ে। শুধুমাত্র একটা গ্লাস ভাঙ্গার কারণে মেয়েটাকে তার সৎ মা চড় দিয়েছিল। যাই হোক একটা রাত গাছের নিচে কেটে গেলেও, সকালবেলায় মেয়েটার জ্বর এসেছিল দেখে, তারা বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল জেনে ভালো লাগলো।
মাহারা দুই সন্তানের এই গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মা হারা ছেলে মেয়ের গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। এরকম অনেক জায়গাতে আছে আপন মা যখন মারা যায় তখন সৎ মা এসে তাদেরকে দেখতে পারে না। এবং তাদের উপর অত্যাচার করে। যদি ও সৎ মা কখনো আপন মা হয় না। তবে ছেলেমেয়ে দুটো রাগ করে বাড়ি থেকে চলে গেল আসলে বিষয়টি পড়ে খারাপ লাগলো। এবং ছোট বাচ্চা ও অসুস্থ শরীরে কোথায় যাবে এই চিন্তা করে বাড়ি ফিরে আসবে সিদ্ধান্তটা ভালো করেছে। পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
হ্যাঁ ভাইয়া এই ঘটনা গুলো আমাদের সমাজে অনেক ঘটে। যাই হোক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
ছেলে মেয়ে দুইটার বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করেছিল কারণ তাদের মা মারা গিয়েছিল অসুস্থতার কারণে। তাদের সৎ মায়ের সন্তান হওয়ার পর থেকেই, তাদের উপর এবং কি তাদের সাথে খুব খারাপ আচরণ করতো। ছোট্ট মেয়েটা একটা গ্লাস ভেঙে ফেলার কারণে, তার মা তার গায়ে হাত তুলেছিল শুনে খারাপ লেগেছে। পরে তারা রাগ করে বের হলেও, পরবর্তী দিন বাড়ি ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়ে ভালো করেছে। কারণ তারা বাহিরে থাকলে রাস্তার ছেলেমেয়েদের মত হয়ে যাবে।
আপনার কমেন্টটি পড়ে বুঝতে পারছি আপনি খুবই মনোযোগ সহকারে আমার গল্পটি পড়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মূল্যবান সময় দিয়ে আমার গল্পটি পড়ার জন্য।
আপু আপনার গল্প পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। এই পৃথিবীতে মা ছাড়া আর কেউ আপন নয়। লোকটি চাইলে বিয়ে না করেও ছেলেমেয়ে দু'টোকে মানুষ করতে পারতো। বিয়ে করে আরেকটা মা এনে দিলেই যে সমাধান হবে তা কিন্তু নয়। সৎ মা কখনও আপন হতে পারে না। দুই ভাই বোনের জন্য খুব খারাপ লাগলো। পরবর্তীতে তাদের কি অবস্থা হলো জানার অপেক্ষায় রইলাম।
আমার আজকের গল্পটি পড়ে আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। অনেক ধন্যবাদ গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।