অভাগীর জীবন কাহিনী ( শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। এক অভাগীর জীবনের গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আর একটি নতুন গল্প নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। গল্প পড়তে এবং গল্প লিখতে দুটোই আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে গল্প পড়তেই অনেক ভালো লাগে। সবাই খুবই সুন্দর সুন্দর গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করে থাকে যেগুলো আমি পড়ে থাকি এবং আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে গল্পের মধ্যে সবথেকে বেশি ভালো লাগে ভূতের গল্প। আপনাদের মাঝে আমি অনেক ভূতের গল্প শেয়ার করেছি আগে তা ছাড়া অন্য গল্প গুলো শেয়ার করেছি। আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার আজকের গল্পটি নাম হলো এক অভাগীর জীবন কাহিনী। তাহলে চলুন শুরু করা যাক আজকের গল্পটি।
এই গল্পটির প্রথম পর্ব আমি আপনাদের মাঝে গত সপ্তাহেই শেয়ার করেছিলাম। অনেকেই পড়েছেন এবং কমেন্টের মাধ্যমে শেষ পর্বের জন্য অপেক্ষা করছেন। সেজন্য তাড়াতাড়ি আপনাদের মাঝে এই গল্পটি শেষ পর্বটি নিয়ে হাজির হলাম। গত পর্বে আমি বলেছিলাম যে মেয়েটি আত্মহত্যা করতে গিয়েছিল তখন একটা লোক এসে তাকে বাঁচিয়ে বিভিন্ন উৎসাহ মূলক কথা বলে মেয়েটি উৎসাহিত করে জীবনে বেঁচে থাকার জন্য। তখন মেয়েটিও নিজের জীবনের বেঁচে থাকার আসল মানে খুঁজে বের করে এবং সব দুঃখ ভুলে গিয়ে বেঁচে থাকার জন্য আবার তৈরি হয়ে যায়। এরপর মেয়েটি আগের সব কিছু ভুলে গিয়ে নিজের বাড়িতে ফিরে যায় তার মায়ের কাছে।
মেয়েটিকে দেখে তার অনেক বেশি খুশি হয়ে যায় এবং সাথে সাথেই জিজ্ঞেস করে কিরে কুসুম তুই এলি জামাই কোথায় জামাই এলো না। তখন মেয়েটি বলল যে জামাই আর কখনো এই বাড়িতে আসবে না কারণ সে আমার মত অশিক্ষিত গ্রামের মেয়ের সাথে সংসার করতে পারবে না। সেজন্য সে আমাকে বিয়ের দিন রাতে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যেতে বলেছে। এরপর সব কিছু কুসুম তার মাকে খুলে বলে এসব কিছু শুনে তো কুসুমের মা কান্নাকাটি করছিল। যে একটা মেয়েকে এত কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছে সেই মেয়েটার কপালটা এভাবে পুড়েছে। তখন ওই কুসুমকে বাঁচানো লোকটা যে এই কথাগুলো বলেছিল সেই কথাগুলো কুসুম তার মা কেউ বলে সান্তনা দেয়।
এদিকে তো কুসুমে শশুর বাড়ি থেকে কুসুমের শশুর মশাই অর্থাৎ গ্রামের মেম্বার যে কুসুমকে ঘরের বউ করে নিয়ে গিয়েছিল। সেই যখন সকালে তখন কুসুমের খবর নেয় তখন কুসুমের হাসবেন্ড তার বাবা কুসুমের নামে মিথ্যা কথা বলে। সব টাকা-পয়সা স্বর্ণ গয়না সবকিছু নিয়ে বিয়ের দিন রাতে পালিয়ে গিয়েছে অন্য একটা ছেলের সাথে। এসব শুনে কুসুমের শশুর কিছুতে বিশ্বাস করতে চায় না। কারণ কুসুমের শশুর বিয়ের আগে তার সহজ সরলতা দেখি ছেলের জন্য বউ হিসেবে ঠিক করেছিল। ছেলের কথা বিশ্বাস না করে কুসুমে শশুর চলে যায় কুসুমদের বাড়িতে কুসুমের বাবার কাছে খবর নিতে কুসুম কোথায় গিয়েছে।
গ্রামের মেম্বারকে তো সবাই চিনে। মেম্বার যখন কুসুমের বাড়িতে যাচ্ছিল পথেই সেই লোকটা মেম্বারকে দেখতে পায় যে এই লোকটা কুসুমকে আত্মহত্যা করা থেকে বাঁচিয়ে ছিল। তখন মেম্বারকে জিজ্ঞেস করে মেম্বার কোথায় যাচ্ছে লোকটা কে মেম্বার বলল যে কুসুমের বাড়িতে যাচ্ছে তার ছেলের বউয়ের খোঁজ নিতে। তখন কুসুমের সাথে কি হয়েছিল সব কিছুই লোকটা খুলে বলেছে। সবকিছু খুলে বলার পর কুসুমের প্রতি খারাপ ধারণাটা চলে গেল কুসুমে শশুরের এবং সে সাথে সাথে বাড়িতে ফিরে গিয়ে তার ছেলেকে বকা দিয়ে কুসুমের বাড়িতে পাঠায় কুসুমকে তার জীবনে নিয়ে আসার জন্য। বাবার কথা শুনে ছেলেও চলে গেল কুসুমকে আবার তার বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে।
তখন কুসুমের বাপের বাড়িতে গিয়ে কুসুমের স্বামী তাকে আবার ফিরে যেতে বলে। কিন্তু কুসুম রাজি হয়নি। অনেক জোর করে কুসুমকে অনেক কথা বলে সুন্দরভাবে সংসার করবে সবকিছুই দিবে বলে কুসুমকে রাজি করায় তার শ্বশুরবাড়িতে যেতে। আর কুসুমের স্বামী এত কিছু করার কারণ হচ্ছে কুসুমে শশুর কুসুমের স্বামীকে বলেছিল যে কুসুমের সাথে যদি সংসার না করে তাহলে কোন ধরনের কোন রকম সম্পত্তি সে তার ছেলেকে দিবে না। বাবার সম্পত্তির ভয়ে ছেলে কুসুমের সাথে সংসার করতে করতে একটা সময় কুসুমের প্রতি মায়া মমতা সবকিছুই জন্ম এবং তারা একসাথে সুখে সংসার করতে থাকে।
আমি গল্পটার মধ্যে টাই টাই উত্তেজনা রয়েছে তবে আমি একটু কমই বুঝেছি গল্পটা সম্পর্কে কারণ আমার আগামী পর্বগুলো পড়া সৌভাগ্যটা হয় নাই আমি আপনার আইডি থেকে আগামী পর্বের পর্বগুলো একটু বোঝার ট্রাই করতে চাই যাতে আমি এই গল্পটা পুরোপুরি বুঝতে পারি যাই হোক সব মিলিয়ে চমৎকার উপস্থাপন করেছেন ধন্যবাদ।
আপনি আমার গল্পের এই পর্বটি পড়েছেন এবং আগের পর্বটিও পড়ার কথা বলেছেন জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
যদিও আমি আপনার গল্পের প্রথম পর্বটি পড়িনি তবে এই পর্বটি পড়ে বেশ ভালো লাগলো। সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করেছেন আপু। যাক অবশেষে কুসুম ভালো আছে এবং সুখে শান্তিতে সংসার করছে। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য।
আপনি গল্পে শেষ পর্বটি পড়েছেন এবং আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই খুশি হলাম আপু। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
এই গল্পটার আগের পর্ব আমার পড়া হয়েছিল। আর আজকে শেষের পর্ব টা পড়ে অনেক ভালো লেগেছে। আমি তো ভেবেছিলাম কুসুমের জীবনটাই হয়তো নষ্ট হয়ে গিয়েছে। ওই লোকটা মেম্বারকে সব কিছু বলার কারণে তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, এখানে কুসুমের কোন দোষ ছিল না। আর তিনি ছেলেকে পাঠানোর পর সে কুসুমকে সুন্দরভাবে বাড়িতে নিয়ে এসেছিল বুঝিয়ে এটা শুনে ভালো লেগেছে। এমন কি সংসার করতে করতে এক সময় কুসুমের প্রতি মায়া মমতা জাগ্রত হয়েছে, এটা শুনে তো আরো বেশি ভালো লাগলো। অনেক সুন্দর ছিল এই গল্পের শেষটা।
আপনি আমার পুরো গল্পটি পড়েছেন প্রথম পর্বটিও পড়েছেন শেষ পর্বটিও পড়েছেন এবং দুটোতে সুন্দর মন্তব্য করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্য করার জন্য।
https://twitter.com/APatwary88409/status/1766541932145094981?t=17EJEz-SLY87SX9clSbLhQ&s=19
আপু টাইটেলে শেষ পর্ব লিখে নেবেন। যাই হোক আমি প্রথম পর্ব পড়েছিলাম আর আপনার এই গল্পটি খুব সুন্দর ছিল। কুসুম যদি সেদিন রাতে আত্নহত্যা করতো তাহলে হয়তো তার জীবন এতো সুন্দর হতো না। যে কুসুমকে বাঁচিয়েছে তাকে ধন্যবাদ দেওয়া উচিত উনার জন্যেই কুসুম আবার তার স্বামীর সাথে সুখের দিন কাটাতে পারছে। তবে কুসুমের শ্বশুরও খুব ভালো লোক। তিনি ছেলেকে ভয় দেখিয়েছেন বলেই সে আবার কুসুম কে ফিরিয়ে নিয়ে গিয়েছে। সম্পূর্ণ গল্প পড়ে ভালো লাগলো। ধন্যবাদ এত সুন্দর গল্প শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু আপনি আমার ভুলটি কথা বলেছেন আমি অনেক খুশি হয়েছি আর এর মধ্যেই আমি ভুলটি ঠিক করে নিয়েছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন আমার গল্পটি পড়ে ।
আপু যদিওবা আমার অভাগির জীবন কাহিনীর প্রথম পর্বটি পড়া হয়নি, তবে শেষ পর্বটি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। কেননা গল্পের শেষে অভাগী তার স্বামীর সংসারে ফিরে যেতে পেরেছে এবং সুখে শান্তিতে সংসার শুরু করতে পেরেছে এটা জেনে খুবই ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর একটি গল্প শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
আপনি দেখছি আমার এই গল্পের শেষ পর্বটি খুব ভাল করেই পড়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য গল্পটি পড়ে।
আপু আপনার গল্পে টাইটেল এ শেষ পর্ব লেখেন নাই। তবে এই গল্পের প্রথম পর্ব আমি পড়েছিলাম। কুসুম আত্মহত্যা করার সময় একটা লোক তাকে বাঁচিয়েছে। আসলে গ্রামের মেয়ে বলে তার হাজবেন্ড তাকে ঘর থেকে বের করে দিল। এবং তার বাবার কাছে অপবাদ দিলেন। অথচ লাস্ট পর্যন্ত কুসুমের কাছে তার ফিরে আসতে হলে এবং তাকে নিয়ে সুখে শান্তিতে বসবাস করতেছে। তাই কোন মানুষকে অবহেলা করা ঠিক না। যাই হোক সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন তাই ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে আপনি আমার গল্পটি পড়ে খুবই সুন্দর একটি উৎসাহ মূলক মন্তব্য করেছেন।