মুচমুচে আলুর পকোড়া রেসিপি।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি । আজকে আমার পোস্টটি হলো রেসিপি পোস্ট । আমার খুবই প্রিয় একটি রেসিপি । আমি তৈরি করেছি আজকে আমি আলুর পাকোড়া তৈরি করেছি। আশা করি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আমি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। রান্না করাটা আমার একটা শখ। আজকে আপনাদের মাঝে একটা রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। আজকে আমি তৈরি করেছি মজাদার আলুর পাকোড়া। প্রচন্ড গরমের পর বৃষ্টির দেখা পেলাম আজকে কয়েকদিন ধরে হালকা হালকা বৃষ্টি হচ্ছে সারাদিন। সকালবেলা বৃষ্টি দেখে তাড়াতাড়ি খিচুড়ি রান্না করে ফেললাম. খিচুড়ি আর ডিম ভাজা খেয়েছি সকালবেলা বেশ ভালো লেগেছে যদিও বৃষ্টি অতটা বেশি ছিল না। বিকেলে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল তখন ভাবলাম কিছু মুচমুচে খাওয়া যাক। পাকোড়া চিন্তা করছিলাম কিসের পাকোড়া তৈরি করব ঘরের মধ্যে কোন কিছুই ছিল না। শুধুমাত্র আলু ছিল আলু দিয়েই পাকোড়া তৈরি করে ফেললাম। বৃষ্টির দিনে বাইরে বৃষ্টি হচ্ছিল ঘরে গরম গরম চা মুচমুচে আলুর পকোড়া খেতে বেশ দারুন লাগছিল। গল্প করতে করতে সবাই মিলে মজাদার আলোর পকোড়া উপভোগ করেছি। আশা করছি আপনাদের কাছেও আমার এই রেসিপিটি ভালো লাগবে।
উপকরণ
আলু
লবন
মরিচের গুড়া
রসুন বাটা
ডিম
ময়দা
তেল
তৈরি করার পদ্ধতি:-
মজাদার আলুর পাকোড়া তৈরি করার জন্য আমি তিনটে আলু নিয়েছি এবং কুচিকুচি করে কেটে নিলাম।
আলু গুলোকে সুন্দর করে কেটে নেওয়ার পর ভালোভাবে আলুগুলোকে পরিষ্কার করে নিলাম পানি দিয়ে।
তারপর আলুর মধ্যে পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম।
পরিমাণ মতো মরিচের গুড়া এবং সামান্য পরিমাণ রসুন বাটা দিয়ে দিলাম। তারপর ভালো করে আলুর সাথে মাখিয়ে নিলাম।
আলুর এই মিশ্রণটির মধ্যে একটা ডিম দিয়ে আমি ডিমটাকে আলুর মধ্যে ভালো করে মাখিয়ে নিয়েছি।
এরপর আমি আলুর মিশ্রণটির মধ্যে ময়দা দিয়ে দিলাম। ময়দা দিয়ে আবারো একবার ভালো করে মাখিয়ে নিলাম।
একটা কড়াইতে তেল গরম করতে দিলাম। তেল গরম হয়ে যাওয়ার পর হাত দিয়ে একটু একটু করে মিশ্রণটি ভাজতে দিয়ে দিলাম।
আলুর পাকোড়া গুলো ভাজার এক পর্যায়ে লাল লাল হয়ে যাওয়ার পর আমি কড়াই থেকে নামিয়ে নিলাম।
আর তৈরি গেল মজাদার আলুর পাকোড়া ।বৃষ্টির দিনে বিকেল বেলা গরম গরম আর মুচমুচে আলু পকোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আমি মজাদার আলুর পাকোড়া গুলো পরিবেশন করেছিলাম সস দিয়ে এবং শসা দিয়ে
শ্রেণী | রেসিপি |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | ফেনী |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
https://twitter.com/Farjana47240232/status/1670667950540623872?t=4a0gbO8yzFWKCwomUzGGWQ&s=19
বৃষ্টির দিন আসলে আমার কাছেও খিচুড়ি খেতে ভীষণ ভালো লাগে। বৃষ্টির দিনে বিকেল বেলার নাস্তা হিসেবে মুচমুচে আলুর পাকোড়া রেসিপি হচ্ছে খুবই মুখোরোচোক খাবার। আর আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মুচমুচে আলুর পাকোড়া রেসিপি তৈরি করার প্রতিটি ধাপ তুলে ধরার জন্য।
একদম ভাইয়া রেসিপিটি খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মুচমুচে আলুর পকোড়া রেসিপি দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে বিকেলে বা, সন্ধ্যার সময় মুচমুচে আলুর পকোড়া খেতে খুব ভালো লাগে। আলুর পকোড়া রেসিপি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। আমাদের মাঝে সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। এত চমৎকার রেসিপি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার এই রেসিপিটি ভালো লেগেছে শুনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
ইস আপনাদের ওখানে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হচ্ছে আর আমাদের এদিকে এখন পর্যন্ত বৃষ্টির দেখা পাচ্ছিনা । বৃষ্টি হলে খিচুড়ি খেতে আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে । আর বিকেল বেলায় ভাজা পুরা খেতে তো আরো বেশি মজার হয়ে থাকে । আপনি দারুন করে আলু পাকোড়া তৈরি করেছেন । বৃষ্টির দিনে খেতে চমৎকার লাগবে । আপনার রেসিপিটিও দারুন ছিল । ধন্যবাদ আপনাকে ।
হ্যাঁ আপু আমাদের এদিকে মাঝে মাঝে বৃষ্টি হয় আপনাদের ওদিকে বৃষ্টি হচ্ছে না শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আর বিকেলবেলা বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া খেতে খুবই ভালো লাগে। আমার এই রেসিপিটি আপনার কাছে দারুণ লেগেছে শুনে খুশি হলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
আলুর পাকোড়া আমার খুবই পছন্দের একটি রেসিপি ।আসলে আলু জিনিসটাই আমার বেশ পছন্দ তাই আলু দিয়ে যে কোন রেসিপি আমার কাছে খেতে খুব ভালো লাগে ।আজকে আমাদের এদিকে ভীষণ বৃষ্টি হয়েছে এই বৃষ্টিতে আলু পাকড়াগুলো খেতে কিন্তু অসম্ভব ভালো লাগবে। দেখে জিভে জল চলে এসেছে আপু।
আপনার পছন্দের রেসিপি জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আলুর পাকোড়া খেতে আমার খুব ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখতে খুবই আকর্ষণীয় হয়েছে। রেসিপি টা দেখে লোভ সামলানো যাচ্ছে না। আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
আসলে এরকম ভাজা পোড়া দেখলে নিজেকে আর সামলানো যায় না। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
যাক আপু তাও তো অবশেষে কিছুটা বৃষ্টি দেখা পেলেন। আর আমরা আকাশের দিকে তাকিয়ে আছি বৃষ্টির কোন খবর নেই।
যাহোক আপু আলুর পাকোড়া রেসিপি তৈরি করেছেন। আসলে এ ধরনের বাঁকুড়া রেসিপি খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। আপনি রেসিপি ধাপ গুলো খুব সুন্দর করে ধাপে ধাপে আমাদেরকে তৈরি করাটি দেখেছেন আপনাকে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আপনাদের ওইদিকে এখনও বৃষ্টি হয়নি শুনে খুবই খারাপ লাগলো। আশা করছি তাড়াতাড়ি বৃষ্টির দেখা পাবেন। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করার জন্য।
মুচমুচে আলুর পকোড়া রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই খেতে ইচ্ছা করেছে।ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আলুর পকোড়া গুলো খেতে অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। ধন্যবাদ আপনাকে কমেন্ট করার জন্য।
তেলে ভাজা মুচমুচে আলুর পাকোড়া খেতে খুবই মজাদার লাগে। আলুর পাকোড়া তৈরি করার ক্ষেত্রে আলুগুলো কুচি কুচি করে কেটে নেওয়াটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। এবং একই সাথে ডিমের ব্যবহারটা আমার কাছে আরো বেশি ভালো লেগেছে। নিশ্চয়ই আপনার তৈরি আলুর পাকোড়া খেতে খুবই মজাদার ছিল।
আপনাকে অনেক অনেক বেশি ধন্যবাদ সুন্দর একটি মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য। আলু কাটার বিষয়টা আপনার কাছে ভালো লেগেছে শুনে খুশি হলাম ।