একটি বৃদ্ধ মহিলার গল্প (শেষ পর্ব)
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। একজন বৃদ্ধ মহিলার গল্প আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
পরবর্তীতে তারা দিনের বেলা সেখানে গিয়ে বাক্সটি নিয়ে আসতে পারেনি। কারণ তাদেরকে পুলিশ সেখানে যেতে দেয়নি। তারপর তারা বাড়িতে ফিরে এসে খুবই মন খারাপ করছিল আর চিন্তা করছিল তাদের বাক্সটা কিভাবে উদ্ধার করবে। পরে তারা অনেক চিন্তা ভাবনা করেছি ঠিক করল যে রাতের বেলা তো সেখানে পুলিশ থাকে না। তারা রাতের বেলায় সেখানে যাবে বাক্সটি আনার জন্য। এরপর তাদের কথা অনুসারে তারা চলে গেল রাতের বেলা বাক্স নিয়ে আসার জন্য। যখনই তারা বেরোবে তখনই শুরু হল বৃষ্টি অনেক জোরে বৃষ্টি শুরু হওয়ার কারণে তারা সেখানে যেতে তুমি ভয় পাচ্ছিল। কারণ বৃষ্টির কারণে নদীর স্রোত অনেক বেড়ে যায় আর সেখানে জায়গা গুলো আরো বেশি ভেঙে ভেঙে পড়ে যাচ্ছি।
তারপরও তারা ঝড় বৃষ্টি মাথায় নিয়ে দুজনে গেল সেখানে সেখানে গিয়ে বাক্সটি পায় এবং বাক্সে তাড়াতাড়ি করে নিয়ে আবার বাড়ি ফিরে আসে। এরপর বাক্সটি এনে তাদের আত্মীয় কে দেয়। বাক্সটি দেখে বৃদ্ধ আত্মীয় খুবই খুশি হয়ে যায়। এরপর সেদিন রাতের খাবার দাবার খেয়ে তারা তিনজনে মিলে বয়সে বাক্সটি খোলার জন্য। স্বামী-স্ত্রী তো খুবই মনে মনে আনন্দিত হচ্ছিল যে এত ঝড় বৃষ্টি একদম বিপদ মাথায় নিয়ে বাক্স নিয়ে এসেছে নিশ্চয়ই বাক্সের মধ্যে অনেক মূল্যবান কিছু রয়েছে। তা না হলে তো তাদের এই আত্মীয় তাদেরকে এত বিপদের মধ্যে বাক্সটি নিয়ে আসতে বলতো না। বাক্সটি খুলতে বসা তাদের আত্মীয়কে তারা জিজ্ঞেস করে ফেলে এই বাক্সে কি মূল্যবান কিছু রয়েছে।
তখন তাদের আত্মীয় বৃদ্ধ মহিলাটিও বলে যে হে এই বাক্সে আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান জিনিসগুলো রয়েছে। তখন সে স্বামী স্ত্রী চিন্তা করে সেখানে অনেক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে। এরপর আস্তে আস্তে মহিলাটি বাক্সটি খুলে। বাক্সটি খোলার পর বাক্সটি থেকে বের করে নিয়ে আসে বৃদ্ধ মহিলার স্বামীসহ তার একটা ছবি পুরনো দিনের কিছু জামা কাপড়। আর এইসব জামা কাপড় দেখে ইতি মহিলার চোখে পানি চলে এসেছে সেগুলোকে ধরে খুবই আবেগময় হয়ে গিয়েছে। আর এদিকে তারা স্বামী-স্ত্রীতো একটু মন খারাপ করেছে কারণ অনেক মূল্যবান সম্পদ এই কথাটা শোনার পর তারা ভেবেছিল অনেক টাকা পয়সা ছিল বাক্সে।
এরপর তারা স্বামী-স্ত্রীর মহিলাকে বলছিল তুমি তো বলেছিলে এখানে অনেক মূল্যবান সম্পদ রয়েছে এখানে তো কয়েকটা পুরনো জামা কাপড় ছাড়া আর কিছু নেই। তখন বৃদ্ধ মহিলাটি বলে এ জামাগুলো আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। এই জামাগুলোর মধ্যে আমার স্বামীর স্মৃতি রয়েছে আমার স্বামীর ছবি রয়েছে আমার স্বামী স্মৃতি জামাকাপড় আর ছবি থেকে মূল্যবান কিছু আমার জীবনে নেই সেজন্য এগুলি আমার জীবনের সবচেয়ে মূল্যবান সম্পদ। আসলে তিনি খুবই সত্যি কথা বলেছেন প্রিয়জনের জিনিসপত্র আর স্মৃতি খুবই মূল্যবান হয়ে থাকে টাকা পয়সা থেকেও। এরপর যেহেতু মহিলার কেউ নেই স্বামী স্ত্রীর কাছেই সারা জীবনের মতো থাকতে চলে এসেছে। আরে স্বামী স্ত্রীর পরিবার খুবই দারিদ্রতার মধ্যেই কাটে নিজেদের খাবারই যোগাড় করতে পারেনা এসব কিছুই বৃদ্ধা মহিলা বুঝতে পেরেছে।
বৃদ্ধ মহিলা তার নিজে থেকে যে টাকা পয়সা সোনা গয়না ছিল সবকিছু একদিন রাতের বেলা তাদের সামনে রাখে। আর ফলে এখন থেকেই টাকা পয়সা স্বর্ণ সবকিছু তোমাদের। আমি যেহেতু তোমাদের বাড়িতে সবসময়ের জন্য থাকতে এসেছি সেজন্য এসব কিছু তোমাদেরকে আমি দিয়ে দিলাম। বলে এগুলো দেওয়ার পেছনে একটা শর্ত রয়েছে।তারা জিজ্ঞেস করি কি শর্ত বলি এটা দিয়ে তোমরা একটা খাবারের হোটেল দিবে। তাহলে তোমাদের জীবন খুবই সুন্দরভাবে চলতে পারবে টাকা পয়সার কোন অভাব হবে না আমিও খুব সুন্দর ভাবে তোমাদের সাথে থাকতে পারবো। এরপর আবার বলে মাঝেমধ্যে তোমাদের হোটেল থেকে আমি কিছু দারিদ্র মানুষকে খাওয়াবো।
এরপর থেকে তারাও এই বৃদ্ধ মহিলাকে সারা জীবনের জন্য রাখতে আর আপত্তি করেনি। যেহেতু তাদের দারিদ্রতার মধ্যেই বৃদ্ধ মহিলারা তাদেরকে সাহায্য করছে সেজন্য তারা রাজি হয়ে যায়। আর এভাবেই বৃদ্ধ মহিলা তাদের পরিবারের একজন সদস্য হয়ে ওঠে। এই ছিল একজন বৃদ্ধ মহিলার গল্প আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই গল্প ভালো লাগবে।
শ্রেণী | জেনারেল |
---|---|
ফটোগ্রাফার | @fasoniya |
ডিভাইস | Vivo Y15s |
লোকেশন | বাংলাদেশ |
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
"একটি বৃদ্ধ মহিলার গল্প" যদিও বা আমি পূর্বের পর্বগুলো পড়ার সুযোগ পাইনি, তবুও আজ শেষ পর্বটি পড়ে আমার কাছে খুবই ভালো লাগলো। সত্যিকার অর্থে স্বামীর স্মৃতি বিজড়িত জামা কাপড় ও পুরনো একটি ছবি বৃদ্ধ মহিলার কাছে অনেক অনেক মূল্যবান। এমনটি কিন্তু আমাদের কাছেও, কেননা পুরনো স্মৃতিতে জড়িয়ে থাকে অনেক আবেগ অনেক ভালোবাসা, যা আমরা কখনোই ভুলতে পারিনা। যাইহোক মূল্যবান বাক্স মনে করে স্বামী স্ত্রী যেহেতু মন খারাপ করেছিল, সেহেতু বৃদ্ধ মহিলাটি তার কাছে থাকা কিছু টাকা পয়সা ও গয়নাগাটি দিয়ে ভালোই কাজ করেছে। এজন্য হয়তো খাবারের হোটেল দিয়ে সেই স্বামী স্ত্রী সহ, বৃদ্ধ মহিলাটি অনায়াসে ভালো দিন কাটাতে পারবে। যাইহোক আপু আপনার গল্পটি খুব সুন্দর ছিল, শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি একদম ঠিক বলেছেন ভাইয়া পুরনো জিনিসে অনেক স্মৃতি থাকে সেজন্য অনেক বেশি মূল্যবান হয় আমাদের কাছে। ধন্যবাদ আপনাকে পুরো গল্প পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপু আপনার এই গল্পের প্রথম পর্বটি আমি পড়েছিলাম আর ভেবেছিলাম পরবর্তী পর্ব হয়তো মিক্স করে যাব। কিন্তু আজ আবার পেয়ে গেলাম ।সত্যি পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো। কারণ আমারও আগ্রহ ছিল বাক্স টির মধ্যে কি আছে। যাই হোক পরবর্তীতে গল্পটি শেষ টুকু পড়ে পুরো ব্যাপারটা জানতে পারলাম। বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।
আপু আপনি গল্পটি দুটো পর্ব পড়েছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
আসলে তার স্বামীর এসব কিছু ছিল তার জীবনের অনেক মূল্যবান জিনিস, যার কারণে এগুলো যখন বাহিরে বের করেছিল বক্সটার থেকে, তখন ওনার চোখে জল চলে এসেছিল। তারপরে তিনি নিজের গহনা সবকিছু ওই স্বামী স্ত্রীকে দিয়েছিল এটা দেখে ভালো লাগলো। এখন যেহেতু ওই বৃদ্ধ মহিলা তাদের পরিবারের সদস্য হয়ে গিয়েছিল তাই তিনি ওনাদেরকে এসব কিছু দিয়েছিল। আর এগুলো দেওয়ার সময় তাদেরকে শর্ত ও দিয়ে চলে যা তারা মেনে নিয়েছিল। সব মিলিয়ে পুরোটা পড়তে ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ আপু আপনাকে পুরো গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এরকম মানুষরা নিজের স্বামীর স্মৃতিগুলোকে অনেক মূল্যবান জিনিস মনে করেন। ওই বৃদ্ধ মহিলাটা তার স্বামীর জিনিসগুলোর জন্য এত কিছু করেছিল। আর ওই স্বামী-স্ত্রী ভেবেছিল হয়তো টাকা-পয়সা কিছু থাকবেই বক্সটিতে। তবে বৃদ্ধ মহিলাটি তাদেরকে ওনার গহনা দিয়েছিলেন, আর বলেছিলেন একটা হোটেল দেওয়ার জন্য। তারাও ওনার শর্ত মেনে নিয়েছিল কারণ উনাদেরকে সাহায্য করেছিল। অনেক সুন্দর ভাবে গল্পটা শেয়ার করেছেন পর্বগুলো ভালো লেগেছে পড়তে।
আপনি পুরো গল্পটি পড়ে সুন্দর একটি মন্তব্য করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে।