মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত ।
হ্যালো সবাইকে
কেমন আছেন সবাই ?আশা করি ভাল আছেন। আমিও ভাল আছি আল্লাহর রহমতে। আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি। মেলায় ঘুরতে যাওয়ার কিছু মুহূর্ত আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করব। আশা করি আপনাদের কাছে আমার এই পোস্টটি ভালো লাগবে।
আজকে আরও একটি নতুন পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছে। আমার আজকের পোস্টটি হল মেলায় ঘুরতে গিয়ে পুরো সময়টা কিভাবে কাটিয়েছি সেটাই আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। একদিন বিকেলবেলা আমার খালা মণির মামনি মামা সবাই মিলে বেরিয়েছিলাম মেলায় যাওয়ার জন্য। মেলায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি। মেলায় যাওয়ার জন্য পুরোটা বছর অধীর আগ্রহে বসে থাকি কখন মেলা হবে সেখানে ঘুরতে যাব। একদিন খালামনি ফোন দিয়ে বলছিল মেলায় যাবে তারা আমি যাব কিনা। আমি মেলায় যাবো না সেটা কি আর হয়। সবাই মিলে একসাথে বিকেলবেলা মেলায় গেলাম সেখানে অনেক অনেক জিনিসপত্র দেখে খুবই ভালো লাগছিল। আসলে মেলার প্রত্যেকটা স্টলে বিভিন্ন ধরনের জিনিস থাকে যেটা আমার কাছে ভালো লাগে।।
ওইখানে যাওয়ার পর বিভিন্ন স্টল গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। প্রথমেই গেলাম আমরা রান্না ঘরে ব্যবহৃত প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র গুলোর দোকানে। সেখানে গিয়ে তো আমি পুরোই শেষ যা দেখছি সব কিছুই নিতে মন চাইছে। আমার ছোট খালামনি অনেক কিছুই নিয়ে ছিল। আমি ঘুরে ঘুরে সব কিছুই দেখছিলাম প্রত্যেকটা জিনিস এত কিউট লাগছে দেখতে, যেন মনে হচ্ছিল সবকিছুই নিয়ে বাড়ি চলে যায়। আর প্রত্যেকটা জিনিসেরই এত দাম যেটা খুবই খারাপ লাগলো। বাইরের দোকানের থেকেও এখানে অনেক বেশি দাম ছিল। অনেক ছোট ছোট কিছু জিনিসপত্র ছিল ছোট্ট একটা চায়ের কাপ হাতে নিয়ে দেখছিলাম অনেক বেশি কিউট লাগছিল।
এরপর সেই ট্রল থেকে বেরিয়ে অন্য একটা স্টলে চলে গেলাম। সেখানে অনেক ধরনের জামা কাপড় ছিল জামা কাপড় গুলো ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম। তার মধ্যে একটা জামা আমার খুবই পছন্দ হয়। তখনই দোকানদার এসে বলল এই জামাগুলো অফারে বিক্রি করা হচ্ছে তিনটা একসাথে কিনতে হবে। পরে জামাগুলো ভালো করে দেখার পর দেখলাম যে জামাগুলোর কোয়ালিটি খুবই খারাপ ছিল। কেনার পর বেশি দিন গায়ে দেওয়া যাবে না খুবই খারাপ কোয়ালিটি ছিল সেজন্য ভাবলাম এই জামাগুলো আর নিলাম না। কিন্তু জামাগুলো দেখতে কিন্তু অনেক সুন্দর ছিল কোয়ালিটি ভালো হলে অবশ্যই কেনা হত।
এরপর কসমেটিকের দোকান গেলাম। কসমেটিকের একটা দোকানে খুবই মজার বিষয় ছিল যে অনেকগুলো ছোট ছোট জিনিসপত্র যেমন ক্লপ, হিজাব পিন, চুলের বিভিন্ন জিনিসপত্র ৩০টা করে ছিল। একটা স্টলে গিয়ে দেখি আমার দুটো চুলের ব্যান্ড পছন্দ হয়েছে। খুবই সিম্পল দেখতে কিন্তু সুন্দর তবে ওই গুলোর দাম অনেক বেশি ছিল মার্কেটে তুলনায় সেজন্য আর কেনা হয়নি। তবে কসমেটিক দোকানে গিয়ে আমার মাথা ঘুরে ঘুরে গেছে এত সুন্দর সুন্দর জিনিস চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে যেদিকে তাকে খুব সুন্দর সুন্দর জিনিসগুলো দেখে মনে হচ্ছিল এখানেই থেকে যাই।
এরপরও অন্যান্য দোকান ও ঘুরে ঘুরে দেখছিলাম অনেক জিনিসপত্র। আমি আসলে বিশেষ করে খুঁজছিলাম মাটির জিনিসপত্র কিন্তু সেখানে মাটির জিনিস পত্রগুলো পাইনি। আমার এখন মাটির জিনিসপত্র খুবই ভালো লাগে। যদিও একবার দেখেছিলাম একটা জায়গায় সেখানে প্রচুর দাম ছিল। আমার খুবই শখ রয়েছে মাটির থালা-বাসন সব কিছু কেনার এবং ঘরে সাজিয়ে রাখার। কখনো সুযোগ হলে অবশ্যই মাটির জিনিসপত্র অর্থাৎ শখের জিনিসপত্র গুলো কিনব। আমাদের সাথে আমার মামাতো ভাই আর ছোট খালাতো ভাই গিয়েছিল। তারা তো সেখানে গিয়ে পুরো পাগল হয়ে গিয়েছে পুরো একটা খেলনার দোকান সেখানে দেখতে পেয়েছে চারদিকে খেলনা চড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে। খালাতো ভাই এটা তো খেলার দোকান থেকে বের হতেই চাইছে না সেখান থেকে খেলনা না নিয়ে। পরে আমরা তাকে খেলা কিনে দিলাম এরপর ছোট মামাতো ভাইটা কথাও বলতে পারেনা দোকানে এত খেলনা একসাথে দেখে লাফালাফি শুরু করে দিয়েছে। ।
মেলায় অনেকক্ষণ ঘোরাঘুরি করার পর কিছু খাওয়া-দাওয়া করলাম সেখানে বিভিন্ন ধরনের আচার ছিল। সবগুলো ফটোগ্রাফি আসলে করতে মনে ছিল না খাওয়া-দাওয়া সময় ফটোগ্রাফি করতে আমি একদমই ভুলে গিয়েছিলাম ।বিভিন্ন ধরনের আচার ছিল সেগুলো টেস্ট করলাম আর বের হলে ফুচকা খাব না সেটা তো হতেই পারে না ফুচকা খেয়েছিলাম সবাই মিলে। এই ছিল মেলা ঘুরাঘুরি করার কিছু মুহূর্ত আশা করি আপনাদের কাছে আমার আজকের এই পোস্ট ভাল লাগবে।
শ্রেণী |
----- | -----
ফটোগ্রাফার | @fasoniya
ডিভাইস | Vivo Y15s
লোকেশন | বাংলাদেশ
আমার পরিচয়
আমার নাম ফারজানা আক্তার সোনিয়া। আমি বাংলাদেশী।আমি বর্তমানে লেখাপড়া করি আমি একজন স্টুডেন্ট। আমি আর্ট করতে ভালোবাসি আর যখনই সময় পাই তখনই আর্ট করি।আমি ফটোগ্রাফি করতে খুবই ভালোবাসি । যখনই কোথাও খুব সুন্দর কিছু আমার চোখে পড়ে আমি ফটোগ্রাফি করে ফেলি। এছাড়াও আমি ক্রাফট তৈরি করে থাকি । বিভিন্ন ধরনের রান্না করে থাকি রান্না করতে অনেক পছন্দ করি। আমি আমার পরিবারের সবচেয়ে বড় মেয়ে । আমার ছোট ছোট দুইটা ভাই আছে। আমার অনেক স্বপ্ন রয়েছে যেগুলো স্টিমিট এ কাজ করে পূরণ করতে চাই।
,মেলায় ঘুরতে গিয়ে দেখছি বেশ দারুন দারুন ফটোগ্রাফি করেছেন এবং সেই সমস্ত ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের মাঝে আজকের এই পোষ্টের মধ্য দিয়ে শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন আপু। অনেক ভালো লেগেছে প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে। আসলে মেলাতে চোখ ধাঁধানো মেলা প্রকার জামাকাপড় দেখতে পাওয়া যায় কিন্তু বেশিরভাগ নরমাল হয়ে থাকে। যাইহোক অনেক সুন্দর ভাবে সমস্ত বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
আমার মেলার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার কাছে ভালো লেগেছে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় ভ্রমণ করে দারুণ কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আপনারা দেখছি দারুন কিছু সময় মেলাতে অতিবাহিত করেছেন। আমিও লক্ষ্য করে দেখেছি ছোটদের কে যদি অনেকগুলো খেলনা থেকে কোন একটা কিনতে বলা যায় তাহলে তারা পছন্দ করতে পারে না। আসলে ছোটদের কথা কি বলবো আমার নিজেরই তো এমন হয়।যাই হোক আপনার মামাতো ভাইকে খেলনা কিনে দিয়েছেন এটা যেন খুবই ভালো লাগলো।
একদমই ঠিক বলেছেন ভাইয়া তাছাড়া ছোট রাও খেলনা দোকানে গেলে চায় সবগুলো খেলা কিনে নিতে। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
মেলায় গিয়ে ঘোরাঘুরি করতে আমার কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। নিউ সব সময় অপেক্ষায় থাকি কখন মেলা হবে, আর সেখানে যাব। আপনি তো দেখছি সবার সাথে মেলায় গিয়েছিলেন। আসলে যারা মেলায় যেতে পছন্দ করে তাদেরকে যদি কেউ মেলায় যাওয়ার কথা বলে তখন তো একেবারে না করতে পারে না। অসম্ভব দারুণ ছিল সম্পূর্ণটা এটা বলতে হয়।
মেলায় ঘুরাঘুরি করতে আপনার কাছেও ভালো লাগে জেনে খুবই ভালো লাগলো। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
যেকোনো মেলায় ঘুরতে যেতে আমার তো ভীষণ ভালো লাগে। কেননা মেলায় বিভিন্ন রকম জিনিস বিক্রি করা হয়। জিনিসগুলো দেখলে ইচ্ছে করে সবগুলোই নিয়ে নেই। আপনি মেলায় ঘুরতে গিয়ে মনে হচ্ছে বেশ সুন্দর একটি সময় অতিবাহিত করেছেন। মেলায় গিয়ে বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি ও করেছেন। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর মুহূর্ত আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য।
একদমই ঠিক বলেছেন আপু আমার কাছেও একই কারণেই মেলায় যেতে ভালো লাগে অনেক ধরনের জিনিস একসাথে পাওয়া যায়। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য করার জন্য।
আপনার মেলায় ঘুরতে যাওয়ার মুহূর্ত টা দেখে আমার তো এখন খুব ইচ্ছে করছে মেলায় যেতে। মেলা যখন হয়েছিল তখন যাওয়া হয়েছিল দুই একবার, কিন্তু আমার তো এখনই যেতে ইচ্ছে করছে। আসলে মেলায় যাওয়াটা আমার অনেক বেশি পছন্দের। আপনারা যেহেতু সবাই মিলে গিয়েছিলেন, তাহলে তো বুঝতেই পারছি মুহূর্তটা ভালো কেটেছে। আসলে ছোট বাচ্চারা খেলনা অনেক পছন্দ করে তাই তো খেলনা দোকানে ঢোকার পরে আর বের হতে চাচ্ছিল না।
হ্যাঁ আপু মুহুর্তটা খুবই ভালো ও সুন্দরভাবে উপভোগ করেছি। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর একটি মন্তব্য দিয়ে উৎসাহিত করার জন্য।