গ্রামের মেলাতে ঘোরাঘুরি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে একটি গ্রামের মেলা কিছু মূহূর্ত শেয়ার করবো। আমাদের গ্রামের বাড়ীর পাশে একটা ওরস শরীফ হয়ে থাকে এবং সেই উপলক্ষে বিশাল বড় মেলা হয়ে থাকে।আগে এই মেলা এক মাস ব্যাপি হয়েছে কিন্তু এখন সাতদিনের বেশি থাকতে দেয় না প্রশাসন কতৃপক্ষ।এই নিয়ম চালু হয়েছে করোনা পর থেকে।এই মেলা উপলক্ষ্যে এলাকায় কয়েকদিন বেশ জাঁকজমকপূর্ণ থাকে।সব বাড়িতে আত্নীয় স্বজন দিয়ে ভরে যায়।আগে বেশি ছিল কিন্তু এখন দিন দিন কমে যাচ্ছে আনন্দটা। তারপর যেখানে থাকি মেলার সময় হলে এলাকায় চলে যায় সব বন্ধুরা মিলে। খুব মজা করি মেলাতে গিয়ে। বেশি ভালো লাগে হচ্ছে মেলা উপলক্ষ্যে কিছু খাবার পাওয়া যায় সেটা শুধু মেলাতে পাওয়া যায়।এই খাবার গুলো বেশি উপভোগ করি।
মেলা উপলক্ষ্যে আশেপাশে রাস্তা গুলোতে লাইটিং করে থাকে। প্রথমে মেলা তে গিয়ে আগে আমি বন্ধুক দিয়ে বেলুন 🎈 ফুটানো উপভোগ করি।এই খেলাটা আমার বেশ ভালো লাগে। প্রথমে বিশটি গুলি নিলাম এরইমধ্যে সতেরোটি বেলুন ফুটাতে সক্ষম হয়েছিলাম।আর তিনটা মিস্টেক হয়ে গেছে। অনেকেই এই খেলা উপভোগ করে থাকেন।
এরপর খাওয়াদাওয়া পালা প্রথমে আমরা গরম গরম জেলাপি নিয়ে নিলাম।গরম গরম জেলাপি খাওয়ার মজাই আলাদা। একদম এতো গরম ছিল যে জিহ্বা দেওয়া সাথে সাথে তাপ লেগে গিয়েছিল।
এইটা হোম মেইড আচার ছিল খুবই মজাদার ছিল এই আমসত্ব।
এরপর মিষ্টি খাওয়ার পালা। এতো বড় বড় মিষ্টি ছিল যে একাকটা এক কেজি থেকে তিন কেজি ওজনের ছিল।এই মিষ্টি গুলো শুধু মেলা উপলক্ষ্যে তৈরি করা হয়। আমার মিষ্টি তেমন ভালো লাগে না। তারপর মেলা উপলক্ষ্যে খাওয়া।
এই খাবার গুলো খুবই মজার। বিশেষ করে সকালে এই গুলো মুড়ি দিয়ে খেতে খুবই মজা লাগে।সাদা গুলোকে কদমা বলে থাকে।লাল গুলা সাজ বলে থাকে। আপনাদের এলাকায় এগুলো কি বলে যদি চিনে থাকেন তাহলে কমেন্ট বক্সে অবশ্যই বলবেন। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে। </ i>
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
ওরস শরীফ উপলক্ষে দারুন একটি মেলার আয়োজন করা হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। ঠিক বলেছেন ভাইয়া এখন এসব মেলা খুব বেশিদিন স্থায়ী হয় না। তবে এই মেলাগুলো দেখলে ছোটবেলার অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যায়। সব ধরনের দোকানপাট এবং খাবারের দোকানগুলো দেখতে পাওয়া যায় এই মেলায়।
জি আপু আগে বেশি মজা হতো। অল্প কয়েকদিনের মধ্যেই মেলা শেষ হয়ে যায়। সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
গ্রামের মেলা মনে হচ্ছে অনেক খাওয়া দাওয়া। অনেক সুন্দর সুন্দর মজাদার খাবারের মেলা। তাছাড়া গ্রামের মেলাতে বেশ সুন্দর সুন্দর জিনিসের বাজার বসে। আমার তো বেশ ভালোই লাগে গ্রামের মেলার খাবার দাবার গুলো। আপনি অনেক আনন্দ করলেন ওরস শরীরের মেলায় খুবই ভালো লাগলো। তাছাড়া খুব সুন্দর ফটোগ্রাফির মাধ্যমে শেয়ার করলেন ধন্যবাদ।
জি আপু মেলায় গেলে খাওয়া দাওয়া কুমতে থাকে না।আর অনেক আনন্দ হয়েছে। ধন্যবাদ আপু আপনাকে সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।