ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত।
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে শেয়ার করবো ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছিল গতকাল আমাদের অফিসের নির্মাণ শ্রমিকদের নিয়ে। সেই সেমিনার খুব সুন্দর দিকনির্দেশনা দিয়েছে বিভিন্ন কর্মকর্তারা। আসলে ঢাকা শহরে কোন হসপিটালে সিট পাওয়া যাচ্ছে না এতো অসুস্থ রোগী। আমাদের দুজন কলিগ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আছে। হসপিটালে ছিল সাতদিন। আশে পাশে সবার অবস্থা অনেকটাই খারাপ। গতকাল এক পরিচিত এক ভাই ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে প্লাটিনাম ১৯ হাজার চলে আসছে তার অবস্থা খুব একটা ভালো ছিল না।সে হসপিটালে ভর্তি হবে কিন্তু কোথাও সিট পাচ্ছে না।সব ফ্লোর রোগীদের শুয়ে রাখছে। পড়ে একটা হসপিটালে ওয়ার্ড বাহিরে একটা সিট ব্যবস্থা করে তাকে ভর্তি করা হয়েছে। আসলে হসপিটালে গেলে বোঝা যায় ডেঙ্গু কিভাবে মহামারী আকার ধারন করছে। সেই অবস্থা থেকে সবাইকে সচেতন করার জন্য আমাদের কোম্পানি নির্মাণ ভাইদের নিয়ে একটা সেমিনার আয়োজন করে। সেই সেমিনার সিটি কর্পোরেশন বিভিন্ন কর্মকর্তারা উপস্থিত থেকে কিভাবে ডেঙ্গু থেকে বাঁচা যাই সেই বিষয়ে আলোচনা করেছে।তাই মনে হলো বিষয়টি এই মুহূর্তে খুব গুরুত্বপূর্ণ বিশেষ করে ঢাকা শহরে অবস্থা।তাই আপনাদের সাথে শেয়ার করতে চলে আসলাম।
এই সেমিনার করার গুরুত্ব ছিল আমাদের বিল্ডিং গুলোর মতো জায়গা থেকে বেশি ডেঙ্গু লাভা পাওয়া যায়। আর এখানে সবাই শ্রমিক তাদের সচেতনতা করা একটু বেশি দরকার। সেখান থেকে চিন্তা করে এই সেমিনার আয়োজন করা হয়েছিল। আমরা অনেক কিছু এখান থেকে শিখতে পেরেছি যে কিভাবে লাভা ছড়ায় কোথা থেকে বেশি উৎপাদন হয় সেই বিষয়গুলো প্রজেক্টরের মাধ্যমে দেখানো হয়। ঢাকায় ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ অতীতে যে কোন সময়ের তুলনায় বেশি।এই জন্য সিটি কর্পোরেশন থেকে বিভিন্ন ভাবে সবাইকে সচেতন করছে।স্বাভাবিকভাবেই ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মানুষের মাঝে প্রবল উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। হসপিটালে গেলে বোঝা যাচ্ছে কি পরিমাণে রোগী প্রতিদিন ভর্তি হচ্ছে। আসলে আমরা যদি সচেতন না হয় তাহলে এই মহামারী থেকে রক্ষা পাওয়া কষ্টকর হয়ে যাবে। আমাদের প্রত্যেকের নিজ নিজ অবস্থান থেকে সচেতন হলেই এই মহামারী মোকাবেলা করা সম্ভব হবে। শরীরের মধ্যে একটু খারাপ লাগলে মনে ভয় কাজ করে কেমন যেন।কারণ আমার কলিগ এর ডেঙ্গু হয়েছিল সে হসপিটালে থেকে কিভাবে কষ্ট করছে সেটা ভালো ভাবে উপলব্ধি করেছি।সাধারণভাবে ডেঙ্গুর লক্ষণ হচ্ছে জ্বর। ১০১ ডিগ্রি থেকে ১০২ ডিগ্রি তাপমাত্রা থাকতে পারে। জ্বর একটানা থাকতে পারে, আবার ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে দেবার পর আবারো জ্বর আসতে পারে। এর সাথে শরীরে ব্যথা মাথাব্যথা, চেখের পেছনে ব্যথা এবং চামড়ায় লালচে দাগ (র্যাশ) হতে পারে। তবে এগুলো না থাকলেও ডেঙ্গু হতে পারে। এই জন্য সবার বাড়ি আশেপাশে জমে থাকা পানি পরিষ্কার রাখতে হবে।আর আগে জানতাম এডিস মশা সকালে কামড়াই না এখন ডাক্তার বলছে এডিস মশা দিনের বেলায় কামড়াই আবার রাতের বেলা। সবমিলিয়ে আমাদের চারপাশে অবস্থা খুবই খারাপ।সবাই সাবধানে থাকবেন এবং সবাই সবার জন্য দোয়া করবেন। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | খিলগাঁও, ঢাকা |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
খুব সুন্দর একটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয় শেয়ার করলেন। আসলেই ঢাকা শহরেই কিংবা যে কোন টাউনের মধ্যে ডেঙ্গুর আক্রমণ বেশি। কারণ বিল্ডিং গুলোতে ফুলের টপ বা অন্যান্য কিছুর কারণে পানি জমে থাকে। যার কারণে ডেঙ্গু বেশি হয় টাউনে। আসলে আলোচনা সভাটি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ছিল অনেক ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন ডেঙ্গু বিষয়ক সচেতনতা সভা অনুষ্ঠিত। আসলে বাংলাদেশে এখন সব থেকে ডেঙ্গুর প্রবণতা বেশি দেখা যায় ঢাকা শহরে। প্রত্যেক শহরে কমবেশি ডেঙ্গুর প্রবণতা দেখা যায়। সময়োপযোগী আপনি পোস্ট শেয়ার করেছেন আমাদের মাঝে। আসলে বাড়ির আশেপাশে কোথাও পানি জমিয়ে রাখা যাবে না আমাদের সকলকে অনেক সচেতন থাকতে হবে। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সারাদেশে আজ ডেঙ্গু নিয়ে আতঙ্ক বিরাজমান। তাই বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন কর্মসূচি চলছে এভাবে জনসচেতন বৃদ্ধির লক্ষ্যে। আর তারই মধ্য থেকে আজকে আপনি আমাদের মাঝে দারুণ একটি পোস্ট শেয়ার করার চেষ্টা করেছেন, আরো যেন আমাদের এই কমিউনিটির মানুষ সচেতন ও সজাগ হতে পারে। বেশ ভালো লাগলো আপনার এই অসাধারণ পোস্ট পড়তে যেয়ে।
সত্যিই ভাইয়া হাসপাতালে গেলে বোঝা যায় কতো মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে আছে।আপনার দুই কলিগ বেশকিছু দিন হাসপাতালে ছিলেন।খুব কষ্টকর অনুভূতি। ভালো লাগলো গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আমাদের সকলের সচেতন হতে হবে।সচেতনতামূলক পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে।