প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
গত সপ্তাহে বাড়িতে যাওয়া হয়েছিল। কয়েকদিন হলো শরীর টা ভালো না মনটা চাচ্ছিল বাড়িতে যাই। হঠাৎ করে সন্ধ্যার সময় বাড়িতে যাওয়ার উদ্দেশ্যে বের হয়ে যায়। বাড়িতে যাওয়ার পর কোথাও ঘুরতে যাব সেটাও পারি নাই। কারণ বৃষ্টির জন্য কোথাও যেতে পারি নাই। এরপর বাসার পাশেই একটা রেস্টুরেন্ট ছিল সেখানে গিয়েছিলাম দুজন মিলে। অনেক দিন হলো কোথাও যাওয়া হচ্ছিল না।এই জন্য ওয়াইফ কে নিয়ে একটু বাহিরে ঘুরতে বের হয়েছিলাম।
রেস্টুরেন্টে টা খুব সুন্দর এবং নিরিবিলি পরিবেশে। গ্রামের ভিতরে এই ধরনের রেস্টুরেন্টে খুব কম হয়। এখানে করার কারণ হচ্ছে স্কুল, কলেজ, এবং সরকারী প্রতিষ্ঠান আছে অনেক এই জন্য মূলত রেস্টুরেন্টে টা দিয়েছে। মোটামুটি ভালো চলে। বিশেষ করে সিজনাল ঈদ, বৈশাখ,এসব সময় খুব ভিড় থাকে। বসার জন্য সিরিয়াল দিতে হয়। কিন্তু এখন সবসময় ফাঁকা পাওয়া যায়। শুক্রবার একটু ভিড় থাকে। কিন্তু সেদিন বৃষ্টি হওয়ার কারণে খুব একটা লোক ছিল না।এর মধ্যে আমরা কয়েকটি ফটোসেশন করে নিলাম।
রেস্টুরেন্টে ডুকে আমরা একটা পাস্তা আর রেড ভেলভেট কেক অর্ডার করলাম।আর এই রেস্টুরেন্টে সবচেয়ে মজার জিনিস হলো এই কেক। এদের কেকটা অসাধারণ লাগে। আর পাস্তা টা ছিল নতুন আগে কখনো খাওয়া হয়নি এই রেস্টুরেন্টে। তাদের কথা মতো পাস্তা অর্ডার করছিলাম।পাস্তাটা বেশ মজার ছিল।গরম গরম পাস্তা আর উপরে চিজটা বেশ ভালো ছিল। কিন্তু দুজনের জন্য অনেক ছিল।এই পাস্তা ঢাকা শহরে হলে মিনিমাম ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা লাগতো ভালো রেস্টুরেন্টে। কিন্তু ওখানে দামটা ছিল মোটামুটি কম ২৭৫ টাকা। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে আমরা একটা পার্সেল অর্ডার করলাম।
কিছু সময় পর আমাদের পার্সেল রেডি। এরপর বিলদিয়ে আমারা কয়েকটি ফটোসেশন করে নিলাম আবার। পার্সেল নিয়েছিলাম হচ্ছে নাসুস। এই খাবারটি এই রেস্টুরেন্টে মধ্যে বেস্ট। আমার খুব পছন্দের একটা খাবার। খুবই মজার ছিল খাবারটা। রেস্টুরেন্টে থেকে বের হয়ে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলাম। আসলে মাঝে মধ্যে ঘোরাঘুরি করলে মন মানসিকতা ভালো থাকে।আর প্রিয়মানুষকে মাঝে মধ্যে ঘোরাঘুরি করানো দরকার।আমি অবশ্য ঘুরতে ভালোবাসি। সময়ের অভাবে তেমন একটা ঘোরাঘুরি করা হয়না। আমাদের সকলের উচিৎ বেশি বেশি ঘোরাঘুরি করা। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
শরীর ভালো না থাকলে তখন পরিবারের কাছে যেতে মন ছুটে যাওয়াই স্বাভাবিক।আর ভাবীকে নিয়ে বাড়ির পাশেই রেস্টুরেন্টে গেলেন।আসলে প্রিয় মানুষটিকে নিয়ে ঘুরতে গেলে বেশ ভালোই লাগে।আর প্রিয় মানুষটিকে সময় দেয়া ও দরকার।খাবার অর্ডার দিলেন পাস্তা আর ভেলভেট কেক। তাদের পাস্তাটা খেতে খুব মজার বললেন।দুজন মিলে খুব সুন্দর মূহুর্ত কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।বাসার জন্য ও খাবার নিলেন।অনুভূতি গুলো পড়ে আমারও ভীষণ ভালো লাগলো ভাইয়া। ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
আসলে প্রিয়জনকে নিয়ে ঘুরতে যেতে ভালোই লাগে। আপনারা দুজন মিলে খুব সুন্দর কিছু মুহূর্ত কাটিয়েছেন। রেস্টুরেন্টের পরিবেশটা বেশ সুন্দর। খাবারের ফটোগ্রাফি গুলোও খুব লোভনীয় লাগছে দেখতে। আপনাদের কাটানো সুন্দর মুহূর্ত গুলো আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ ভাইয়া।