গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা।
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আপনাদের সাথে আরো একটি নতুন পোস্ট নিয়ে চলে আসলাম। এইবার ঈদের মধ্যে বাড়িতে গিয়ে বেশ ঘোরাঘুরি হয়েছে।এর মধ্যে বেশি মজা পেয়েছি গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলো দেখে। অনেক সুন্দর মূহুর্ত দেখার সুযোগ হয়েছে। আসলে গ্রাম যে কত সুন্দর সেটা না দেখলে বোঝা সম্ভব নয়।শহর থেকে যখন গ্রামে যায় তখন বাতাস টা গায়ে লাগে তখন শীতল হয়ে যায়। সেই দিন গিয়েছিলাম আমার বড় বোনের শ্বশুরবাড়ি তে বেড়াতে। তাদের বাড়ি একটু গ্রামের ভিতরে। বর্ষার মধ্যে চারদিকে পানি দিয়ে থয়থয় করে।এই সময়ে দৃশ্যটা একটু বেশি ভালো লাগে। কিন্তু এবার বর্ষা এখন পর্যন্ত তেমন একটা হয়নি।এই জন্য বিলের পানি নেই। রাস্তার দুই সাইটে যখন পানি থাকে মাঝখান দিয়ে হাঁটতে অসম্ভব ভালো লাগা কাজ করে তখন। কিন্তু বেশি পানি হয়ে গেলে রাস্তা গুলো ডুবে যায়।তখন শুধু নৌকায় চলাচল করতে হয়। বিকেলে নৌকায় ঘুরতে আরো বেশি মজা পাওয়া যায়।
বোন জামাই এর সাথে বিকেলে গ্রামের মেঠো পথ দিয়ে হাঁটতে ছিলাম। এইটা শাহজাদপুর উপজেলার মধ্যে পড়েছে গ্রামটা । এখানে বেশিরভাগ মানুষ কৃষি ক্ষেত্রের উপর নির্ভরশীল। হাঁটা হাঁটি করতে একদম লুংগি পড়ে চলে গিয়েছিলাম।আর গ্রামে থাকতে লুংগি পড়তে বেশি ভালো লাগে। লুংগি ছাড়া কেন জেন গ্রামের ফ্লেভার আসে না।এই জন্য শালা দুলাভাই মিলে চলে গিয়েছিলাম ঘুরতে।
শহরের চাইতে গ্রামের সৌন্দর্য আসলে অন্যরকম। জমিতে যে পানি দেখা যাচ্ছে সেগুলো বর্ষা পানি।মাএ কয়েকদিন হলো এই পানি গুলো আসছে। বর্ষা আসার সাথে সাথে মানুষদের মাছ ধরার দৃশ্য গুলো চোখে পড়ার মতো।আর এই সময়ের ছোট ছোট মাছ গুলো খেতে দারুন লাগে।এই মাছ গুলো শহরের মধ্যে তেমন একটা পাওয়া যায় না।আর এই সমস্ত জিনিস গুলো জন্য গ্রামটা বেশি ভালো লাগে।আমার কাছে মনে হয় গ্রামের প্রাকৃতি কথা বলে।তারা তাদের সৌন্দর্য দিয়ে আমাদের সাথে কথা বলে।গাছ গুলো দেখতে এক প্রকার অন্যরকম ভালো লাগছে। আকাশের নীল মেঘ সাথে গাছের ছায়া সব মিলিয়ে এর অনুভূতিটা খুবই দারুন। এরপর সূর্য ডোবার সময়টা অসম্ভব সুন্দর দেখায়। মনে হয় কুয়াকাটা সমুদ্র সৈকতে বসে সূর্য ডোবার দৃশ্য উপভোগ করছি। এরপর সন্ধ্যায় সাথে সাথে বাসায় চলে আসলাম। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
গ্রামের পরিবেশ তো একটা আলাদা একটা মজাই আছে। বিশেষ করে যারা শহরে থাকে তারা গ্রামে আসলে তাদের কাছে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। এখন বর্ষাকাল চারপাশে পানি থৈই থৈই করে এবং সবুজ দেখা যায় দেখতে বেশ চমৎকার লাগে। যাইহোক বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে এসে গ্রামের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করলেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যে দেখা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। অনেক সুন্দর করে ফটোগ্রাফি এবং আপনার অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ওয়াও আপনি অনেক সুন্দর করে খুব জনপ্রিয় একটি গান নিজের কন্ঠে গেয়েছেন। আপনার কন্ঠে গানটি কভার করা দেখে অনেক ভালো লাগলো। এই গান আমি অনেকবার শুনেছি। শুনে খুব ভালো লাগলো সাথে আপনি একটি নিজের কন্ঠে গান কভার করার চেষ্টা করেন। সত্যি বলতে আপনার কন্ঠে গান শুনতে অসাধারণ লাগে। অনেক সুন্দর করে গান কভার করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা কিছু মুহূর্ত। আসলে আমিও গ্রামে বসবাস করি তাই আমি কিছুটা হলেও ধারণা করতে পারি গ্রামে বসবাস করা কতটা মজা। আসলে গ্রামে যেকোনো সময় প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়। বোনের জামাই এর সাথে আপনি বেশ সুন্দর মুহূর্ত কাটে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ ভাই এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে প্রকৃতি সৌন্দর্য দেখে সত্যি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য হৃদয় ছুঁয়ে গেলো। প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি অনেক দুর্দান্ত হয়েছে । প্রকৃতির পরিবেশে খুব সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। গ্রামীন পরিবেশে প্রাকৃতিক চমৎকার দৃশ্য খুব সুন্দর ভাবে উপভোগ করেছেন ভাই।আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া গ্ৰামে না গেলে গ্ৰামের সৌন্দর্য উপভোগ করা যায়না। গ্ৰামের এই সৌন্দর্য যত দেখি তত মুগ্ধ হয়ে যাই। আমিও এখন গ্ৰামে আছি তাই গ্ৰামের এত সৌন্দর্য দেখে প্রতিনিয়ত মুগ্ধ হয়ে যাচ্ছি। আপনার তোলা প্রতিটা গ্ৰামীণ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি অসাধারণ হয়েছে। সবগুলো ফটোগ্রাফি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
এবার ঈদে গ্রামে গিয়ে খুব ঘুরাঘুরি করলেন।গ্রামের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে মনটা হারিয়ে যায়। আপনি বেশকিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ভাইয়া দারুন লাগলো। প্রকৃতি,আকাশ সব মিলে মিশে একাকার।
ঈদের ছুটিতে এসে বড় বোনের শ্বশুরবাড়িতে বেড়াতে গিয়ে খুবই সুন্দর একটি মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। সত্যি বলতে গ্রাম যে কতটা সুন্দর সেটা গ্রামের মানুষ এবং গ্রাম থেকে যে উপভোগ করেছে সেই বলতে পারবে। গ্রাম বাংলার এই প্রাকৃতিক সৌন্দর্য দেখে যে কেউ মুক্ত হবে যেমনটা আপনি গ্রাম বাংলার প্রকৃতিতে মুক্ত হয়েছেন। বিশেষ করে বিকেল বেলা মেঠো পথ ধরে হেঁটে যেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। আপনার কাটানো সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ।
শহরের পরিবেশ থেকে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালোই লাগে অনেকের কাছে। যারা বিশেষ করে শহরে থাকে তারা গ্রামে আসলে প্রাকৃতিক পরিবেশ দেখলে মুগ্ধ হয়ে যায়। বড় মনের শ্বশুর বাড়িতে এসে গ্রামের সুন্দর পরিবেশ উপভোগ করলেন। আপনার ফটোগ্রাফির মধ্যেই বোঝা যাচ্ছে জায়গাটি অনেক সুন্দর। এরকম পরিবেশে মন ভরে নিঃশ্বাস নিলে অনেকর ভালোই লাগে। চারদিকে পানি এবং সবুজ দেখে আমার নিজের কাছে অনেক ভালো লাগতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।