রেস্টুরেন্টে কিছু সময়
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো আরেকটি নতুন পোস্ট। আজকে ঢাকাতে সকাল থেকে মোটামুটি রোধ ছিল। কিন্তু দুপুরে পর থেকে এতো বৃষ্টি হয়েছিল যে আশে পাশে রাস্তা গুলো পানি জমে গিয়েছিল। এইভাবে একটানা বৃষ্টি হলে চট্টগ্রাম এর মতো হয়ে যাবে। চট্টগ্রামে অবস্থা খুব খারাপ অবস্থা শহরের মধ্যে দিয়ে পানি উঠে গেছে। চট্টগ্রাম বাসির জন্য দোয়া থাকবে যেন দূত এর সমাধান হয়।তো আজকে অফিস থেকে বিকেল বেলা প্রজেক্ট ভিজিট করার জন্য বের হয়েছিলাম। প্রজেক্ট আসার পথে ভিশন বৃষ্টি নেমে পড়লো এইরকম একটানা বৃষ্টি অনেক দিন পর দেখলাম। বৃষ্টি মধ্যে কোথায় যাব পড়ে দেখি সামনে একটা রেস্টুরেন্ট। পড়ে রেস্টুরেন্টে ভিতরে ঢুকে পড়লাম। এখন ভিতরে তো একটা রেস্টুরেন্ট অনেক সময় ধরে থাকা যায় না। ভাবলাম কিছু একটা খায় তাহলে অনেক সময় পর্যন্ত থাকা যাবে।
ভিতরে প্রবেশ করে দেখি রেস্টুরেন্ট একদম ফাঁকা। ভিতরে ঢুকে আগে কিছু একটা অর্ডার করার জন্য খাবারের মেন্যু দেখলাম। পড়ে এখানে বার্গার গুলো মজা দেখে একটা গ্রিল বার্গার অর্ডার দিলাম। অর্ডার দেওয়ার পর বললো যে দশ মিনিট সময় লাগবে। মনে মনে ভাবলাম যে এটাই চাচ্ছিলাম যে বৃষ্টি শেষ পর্যন্ত যেন থাকতে পারি। রেস্টুরেন্টে সাইজ খুব ছোট কিন্তু পরিবেশটা ছিমছাম ছিল।
অর্ডার দেওয়ার পর পাঁচ মিনিট মধ্যে দিয়ে দিল খাবারটা। মনে মনে ভাবলাম যে যেদিন রেস্টুরেন্টে খাবার তাড়াতাড়ি চাই সেদিন দেরি করে দেয়। আজকে মন থেকে দেরি করে চাইলাম আজকে তাড়াতাড়ি দিল। বার্গার টা মিনি ছিল।মিনি বার্গার গুলো আমার কাছে বেশি ভালো লাগে।এই বার্গার টা অনেক মজার ছিল। ভিতরে গ্রিল গুলো মজা ছিল। আলাদা একটা ফ্লেভার ছিল। যাইহোক খাওয়া শেষ হওয়ার আগেই বৃষ্টি থেমে গেল। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে চলে গেলাম প্রজেক্ট এর উদ্দেশ্য। প্রজেক্ট কিছু সময় থাকার পর বাসায় চলে এলাম। কারণ যে কাজে যাওয়া হয়েছিল বৃষ্টির জন্য সেই কাজটি করতে পারি নাই। কাজ না থাকায় আজকে অফিস থেকে তাড়াতাড়ি বাসায় চলে আসছিলাম। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | বাসাবো |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
আপনার আর আমার দিন মোটামুটি একই রকম গেল, আমিও যখন বাসা থেকে বের হয়েছি বৃষ্টি দেখে তো পুরোই অবাক রাস্তা ডুবে গেছে। যাই হোক খুব ভালো লাগলো রেস্টুরেন্টে চমৎকার একটা সময় কাটিয়েছেন।
ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া আপনাকে।
বিকেলের দিকে আকাশ কালো করে ঝুম বৃষ্টি হলো।আপনি বৃষ্টিতে আটকা পরে গেলেন একটা ছোট ছিমছাম রেস্টুরেন্টে। বার্গার খাবেন বলে অর্ডার করলেন।এটা খুব সত্যি কথা যখন তাড়া থাকে তখন দেরি করে কোনকিছু হয়।আর যেদিন সময় থাকে সেদিন তাড়াতাড়ি সব হয়।যাক বার্গার খাওয়ার আগে বৃষ্টি থেমে গেলো তাই ভালোই হলো।সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
জি আপু আমার কাছে রেস্টুরেন্টে অপেক্ষা জিনিসটা একদমই বিরক্ত লাগে।যেদিন তাড়াহুড়ো থাকে সেদিন আরো দেরি হয় কেন যেন। যাইহোক আপু সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানাচ্ছি।
জী ভাইয়া শুধু চট্রগ্রাম নয় বাংলাদেশের অনেক অঞ্চলে বৃষ্টির পানি জমে বন্যা হয়ে গেছে। আমাদের দেশের কাকুরা জন্ম দিবস আর মৃত্যু দিবস নিয়ে ব্যস্ত। মানুষের খুঁজখবর নেওয়ার সুযোগ নেই। যায়হোক প্রজেক্টে যাওয়ার সময় স্বাদের বার্গার টেষ্ট করে গেলেন। ধন্যবাদ।
জি ভাইয়া ঠিক বলেছেন চট্টগ্রাম অবস্থা খুবই খারাপ।
আসলে ভাই কয়েকদিন ধরে বাংলাদেশের প্রায় অনেক অঞ্চলে বৃষ্টি হচ্ছে। আপনি বৃষ্টিতে আটকে পড়ে একটি রেস্টুরেন্টে গিয়েছিলেন সেখানে গিয়ে বার্গার অর্ডার করেছিলেন খাবার জন্য জেনে বেশ ভালো লাগলো। দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি রেস্টুরেন্টের বেশ চমৎকার একটি সময় উপভোগ করেছিলেন ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাইয়া আপনাকে সুন্দর কমেন্ট করে উৎসাহিত করার জন্য।
মাঝেমধ্যে রেস্টুরেন্টে এমন খাওয়া দাওয়া করলে মন ভাল থাকে এবং সেখানে যদি বন্ধুদের সাথে যাওয়া যায় তাহলে আরো বেশি ভালো লাগে মনের মধ্যে, ঠিক এভাবে আমারও চলাচল রয়েছে। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর বর্ণনার সাথে রেস্টুরেন্টের খাওয়ার এই সুন্দর মুহূর্তটা আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে।
আপনাকেও ধন্যবাদ জানাচ্ছি ভাইয়া সুন্দর মতামত প্রকাশ করার জন্য।