হঠাৎ কাজিন সাথে দেখা এবং ঘোরাঘুরি
কেমন আছেন আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের বন্ধুরা? আমি আলহামদুলিল্লাহ ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও অনেক ভালো আছেন।
আজকে আমি আপনাদের সাথে নতুন একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম। আজকে আপনাদের সাথে হঠাৎ কাজিন এর সাথে হঠাৎ দেখা এবং ঘোরাঘুরি করার কিছু মূহূর্ত শেয়ার করবো। আসলে এই ঢাকা শহরে যান্তিক শহরে সবাই যার যার মতো ব্যস্ততা সময় পার করে।এই ব্যস্ত নগরীতে কাছের মানুষের সাথে সময় কাটাতে বেশ ভালো লাগে। হঠাৎ আজকে দেখা হওয়াতে কিছু সময় পার করলাম।
হঠাৎ আজকে বিকালে কাজিন এর ফোন। ফোন কানে নেওয়ার পর বলছে তোমার অফিসে নিছে নিছে নাম। প্রথমে বিশ্বাস হচ্ছিল না। পড়ে নিছে নেমে দেখি যে আসলে ভাইয়া দাঁড়িয়ে আছে। পড়ে শুনলাম হসপিটালে ডাক্তার দেখানোর জন্য আসছিল আমার অফিসে পাশে। অনেক দিন হলো আসতে চাই কিন্তু সময়ের অভাবে আসা হয়ে উঠে নাই। আজকে হঠাৎ করে দেখি চলে আসছে। অফিসের টাইম শেষ হতে এখনো ৩০ মিনিট বাকি ছিল। তারপর অফিসে বস কে বলে চলে গেলাম বাসায়। সেখান থেকে ফ্রেশ হয়ে বাহিরে চলে আসলাম।বাসার পাশেই একটা খেলার মাঠ ছিল । সেখানে গেলাম একটু হাঁটাহাঁটি করার জন্য। এখানে বিকেল হলে ছোট বড় সবাই খেলাধুলা করার জন্য ব্যস্ত হয়ে পড়ে। মাঠের চারপাশে দিয়ে হাঁটাহাঁটি করার জন্য সুন্দর রাস্তা তৈরি করা আছে। সেখান দিয়ে কিছুটা সময় হাঁটাহাঁটি করলাম এবং খেলাধুলা উপভোগ করলাম। একটা মাঠে ৮ থেকে ১০ টা গ্রুপ খেলাধুলা করছে। আসলে ঢাকা শহরে তো খেলাধুলা করার মতো কোন স্পেস নেই।এই জন্য সবাই এখানে চলে আসে আশে পাশের মানুষরা। অনেকটা সময় থাকার পর সন্ধ্যা হয়ে যাচ্ছিল এবং আযান দিয়ে দিচ্ছিল মাগরিবের নামাজের। এরপর অযু করে নামাজ টা আদায় করে নিলাম। নামাজ শেষ করে কাজিন চলে যাবে বাসায়। কোনভাবেই থাকবে না কারণ ভাইয়া আজকে বিবাহ বার্ষিকী ছিল এই জন্য সে থাকবে না। এরপরে ভাইয়া কে বললাম যে তোমার যেহুতু বিবাহ বার্ষিকী এই জন্য তোমাকে আমি আজকে ট্রিট দিব।এর পর ভাইয়া একটা বিরিয়ানি দোকানে চলে গেলাম।
এরপর আমার পছন্দের দোকানের বিরিয়ানি খাওয়ার জন্য চলে গেলাম। ফ্রেশ হয়ে আমরা দুইটা খাসির কাচ্চি অর্ডার দিলাম এবং সাথে বোরহানী নিয়ে নিলাম। কাঁচি টা বাসমতি চাউলের ছিল। আমার অনেক পছন্দের জিনিস হচ্ছে বাসমতি চাউলের কাচ্চি। এদের কাচ্চিটা আসলে অনেক মজার। পড়ে ভাইয়া বললাম মজা কেমন। ভাইয়া বললো বেশ মজার। এদের মাংস গুলো খুবই সফট ছিল। এরপর খাওয়াদাওয়া শেষ করে ভাইয়া কে গাড়িতে উঠিয়ে দিলাম। আসলে আমার চাচাতো ভাই হয়ে থাকে আমার চাইতে বড় কিন্তু ছোটবেলা থেকেই অন্যরকম একটা ভালো বন্ধুর মতো সম্পর্ক আছে। ভাইয়া বাসা হচ্ছে মিরপুরে। ভাইয়া একটা ফার্মাসিউটিক্যালস কোম্পানি তে জব করে। আসলে এই নগরীতে সবাই ব্যস্ত জীবন পার করছে।কারো সময় হয়ে উঠে না। এর মধ্যে মাঝে মধ্যে দেখা হয়ে গেলে বেশ ভালো লাগে। আজকে এই পর্যন্তই সবাই ভাল থাকবেন এবং সুস্থ থাকবেন। পরবর্তী আবারো আসবো নতুন কোন বিষয় নিয়ে। ধন্যবাদ জানাচ্ছি সবাইকে।।
ফটোমেকার | @engtariqul |
---|---|
ডিভাইস | শাওমি রেডমি নোট ৭ |
লোকেশন | বাসাবো ঢাকা। |
আমি তারিকুল ইসলাম। আমি একজন বাংলাদেশী। আমার মাতৃভাষা বাংলা বলে আমি নিজেকে নিয়ে অনেক গর্ববোধ করি। আমি সিভিল ইন্জিনিয়ার থেকে পড়াশোনা শেষ করেছি।
আমি ভ্রমণ এবং ঘোরাঘুরি করতে ভিশন পছন্দ করি। তাছাড়া ফটোগ্রাফি করতে ভিশন ভালো লাগে। ছবি আঁকতে, পড়তে, লিখতে, এবং ডাই বানাতে পছন্দ করি।
আসলে এখন সবাই ব্যস্ত সময় পার করে। মন থেকে চাইলেও সময়ের অভাবে কেউ কাউকে এত বেশি সময় দিতে পারে না। আপনার চাচাতো ভাইয়ের সাথে বেশ ভালোই সময় কাটিয়েছেন। এবং পছন্দের বিরিয়ানি খেয়েছেন। খাওয়া দাওয়ার পরে আপনার ভাইয়াকে গাড়িতে উঠিয়ে দিয়েছেন জেনে
ভালো লাগলো। এত সুন্দর মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ভাই আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন কাজিন সাথে দেখা এবং ঘোরাঘুরি ও কিছু খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত । আপনার কাজিন মূলত ডাক্তার দেখানোর জন্য এসেছিল। তারপরে আপনার কাছে ফোন দিয়েছিল আপনার অফিসের নিচে এসে কিন্তু আপনি বিশ্বাস করছিলেন না পরে নিচে এসে দেখেন সত্যি আপনার ভাই এসেছিল। তারপরে বাইরে গিয়ে দুজন মিলে বেশ ভালোই খাওয়া-দাওয়া করেছেন ভাই। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আসলে ব্যস্তময় শহরে কারো সাথে কারো দেখা হয় না খুবই কম দেখা হয়। আপনার কাজিনের সাথে হঠাৎ করে দেখা হওয়ার পর বেশ ভালোই মুহূর্ত কাটিয়েছিলেন যা দেখে বুঝতে পারছি। যেহেতু ওনার বিবাহ বার্ষিকী ছিল তাই ওনাকে আপনি ট্রিট হিসেবে খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি খাইয়েছিলেন এটা জেনে ভালো লাগলো। এত সুন্দর কাটানো মুহূর্তটা সবার মাঝে ভাগ করে নিয়েছেন দেখে আরো বেশি ভালো লেগেছে। আর বাসমতি চাউল দিয়ে বিরিয়ানি রান্না করলে এমনিতেই খুবই মজাদার হয়।
আসলে এখন প্রত্যেকটা মানুষ অনেক বেশি ব্যস্ত থাকে। আর এই ব্যস্ত দিনে কেউ কারো সাথেই দেখা করতে পারে না। হঠাৎ করে যদি এরকম কারো সাথে দেখা হয়ে যায় তখন ভালো লাগে। আসলে হঠাৎ করে আপনার ভাই চলে আসার কারণে আপনি বিশ্বাস করতে পারেননি এটা স্বাভাবিক। কিন্তু নিচে এসে যখন দেখলেন সত্যি সত্যি তিনি এসেছেন তখন বিশ্বাস করেছিলেন। দুই ভাই মিলে বেশ মজা করে খেয়েছিলেন খাসির কাচ্চি বিরিয়ানি মনে হয়। মুহূর্তটা ভাগ করে নিয়েছেন দেখে ভালো লেগেছে।
ব্যস্ত এই শহরে সবাই ব্যস্ত।এর মাঝে আপনজনের দেখা পেলে সময়টা খুব ভালোই কাটে।আপনার কাজিন ডাক্তার দেখাতে এসে আপনার সাথে দেখা করে।আপনারা বেশকিছু সময় মাঠে কাটিয়েছেন। ভাইয়ার বিবাহ বার্ষিকী তাই তাকে কাচ্চি খাওয়ালেন।খুব মজা করেই দুজন খেয়েছেন।আপনার অনুভূতি গুলো পড়ে খুব ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।