লোহাই বাজার হাট :) ঘুরাঘুরি এবং খাওয়া দাওয়া। (দ্বিতীয় পর্ব) || Visiting a local Hat (Market).
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। কয়েকদিন আগে আমি লোহাই বাজার হাট নিয়ে আরো একটি পোস্ট করেছিলাম। সেখানে মিষ্টি জাতীয় অনেক খাবার এবং আমাদের ঘোরাঘুরির বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করেছিলাম। সত্যি সেদিন বেশ আনন্দঘন সময় পার করেছি এবং মিষ্টিগুলো ভীষণ তৃপ্তি সহকারে খেয়েছিলাম। আমি গত পোস্টে বলেছিলাম লোহাই বাজার হাটের পশুপাখি এবং অবশিষ্ট আরো বেশ কিছু বিষয় নিয়ে আলোচনা করব। তাই আজকে লোহাই বাজার হাট ঘোরাঘুরি দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম, চলুন দেখে নেওয়া যাক আজকের পর্বে কি রয়েছে।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
আমরা যখন বাজারে মাঝখান দিয়ে হাঁটছিলাম বিভিন্ন রকম পশুপাখি দেখতে পাচ্ছিলাম বিশেষ করে এখানে হাঁস, মুরগি, কবুতর, খরগোশ, লাভ বার্ড, টার্কি মুরগি সহ আরো বিভিন্ন পশুপাখি ছিল। ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একজোড়া খরগোশ ঠিক আমার দিকে তাকিয়ে আছে। আমি খরগোশ ভীষণ পছন্দ করি এবং খরগোশগুলোর চোখগুলো এতটাই সুন্দর আর আকর্ষণীয় দেখাচ্ছিল, যে আমার সত্যিই ইচ্ছে করছিল এক জোড়া খরগোশ কিনে নিয়ে যাই। কিন্তু আমি যেহেতু এখানে অস্থায়ীভাবে রয়েছি তাই খরগোশ কেনার চিন্তাটা মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলা ছাড়া আর কোন বুদ্ধি ছিল না। আমি যখন খরগোশ গুলোর ছবি তুলছিলাম দোকানদার আমার দিকে বারবার তাকাচ্ছিল, শেষ পর্যন্ত তিনি বলেই ফেললেন আমি যাতে একজোড়া খরগোশ তার কাছ থেকে কিনি। সত্যি বলতে সেদিন ক্রেতার উপস্থিতি এতটাই কম ছিল দোকানদার আমাকে খুব কম মূল্যে খরগোশ জোড়া দিতে চাইছিল কিন্তু সত্যিই আমি এখন খরগোশ কেনার মত অবস্থায় একদমই ছিলাম না, তাই তাকে বিষয়টি বুঝিয়ে বললাম। এরপর সামনের দিকে অন্যান্য পশু পাখি দেখার জন্য এগিয়ে গেলাম।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
একটু সামনে এগিয়ে আসতে চোখে পরল আমার পছন্দের লাভ বার্ড এবং কবুতরের খাঁচা। আমার বাসায় মোটামুটি কয়েক জোড়া লাভ বার্ড রয়েছে তাই এই পাখিগুলোর প্রতি একটা আলাদা ভালোলাগা কাজ করে। আমি বেশ কিছুক্ষণ সময় নিয়ে লাভ বার্ড গুলো দেখলাম তারপরেই চোখ পরল কবুতরের খাঁচার দিকে বেশ কিছু কবুতর রয়েছে এখানে তবে অধিকাংশ দেশীয় জাতের কবুতর। কবুতরগুলো দাম বেশ কম মনে হয়েছে আমার কাছে, তবুও তেমন ক্রেতা চোখে পরলো না।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
ঠিক সামনে যে খাঁচাগুলো রয়েছে তাতে টিয়া পাখি এবং টার্কি মুরগি চোখে পরল। আমি কখনো টার্কি মুরগির মাংস খাইনি তাই এর স্বাদ সম্পর্কে আমার তেমন ধারণা নেই। যাই হোক অল্প আলোতে টিয়া পাখি গুলোর বেশ সৌন্দর্য চোখে পড়ল।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
এবার দেখলাম ছোট দেশি মুরগির বাচ্চা এবং কোয়েল পাখি। দেশি মুরগির নাম শুনলেই কেমন যেন একটা লোভনীয় খাবারের কথা মনে পড়ে যায় । আর একটা সময় বেশ কিছু কোয়েল পাখি লালন পালন করেছি এবং প্রচুর ডিম খেয়েছিলাম। যাই হোক এখন আমার কোয়েল পাখি আর নেই তবে এখানকার কোয়েল পাখি গুলো দেখে ভীষণ ইচ্ছে করছিল আবার কিছু পাখি কিনে নিয়ে লালন পালন করি।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
একটু সামনে এগোতেই আবার খাবারের দোকানগুলো চোখে পড়ছিল। হঠাৎ আখের গুড়ের দোকান দেখতে দেখতে পেলাম। দোকানদার বেশ ব্যস্ত সময় পার করছে তার আখের গুড় বিক্রি করার উদ্দেশ্যে। আমার সহকর্মীরা বলেন এই দোকানের আখের গুড় যথেষ্ট খাঁটি এবং খেতেও ভীষণ স্বাদের।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
এরপর আমার সহকর্মীরা আমাকে একটি আইসক্রিমের দোকানে নিয়ে গেলেন। দোকানটির নাম হচ্ছে দাদা কাশ্মেরী রোলার আইসক্রিম। এ ধরনের আইসক্রিমের দোকান আমি প্রথম দেখলাম তাই বেশ অবাক চোখে দেখছিলাম কিভাবে দোকানদার ছেলেটি তার নিপুন হাতে আইসক্রিম তৈরি করছে এবং কাস্টমারদের বিতরণ করছে। আপনারা কেউ এরকম দোকান দেখে থাকলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। আমি খেয়াল করলাম বিভিন্ন ফলের রস ফুড কালার মিষ্টি জাতীয় কিছু উপাদান দিয়ে এই চমৎকার রোলার আইসক্রিম তৈরি করা হচ্ছে এবং কাস্টমার বেশ তৃপ্তি সহকারে খেয়ে চলেছে। আমার ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছিল এই চমৎকার স্বাদের আইসক্রিম কিন্তু হঠাৎ করে একটি বিশেষ কাজে আমাদের সবাইকে তলপ করার কারণে সেখান থেকে দ্রুত বের হতে হয়েছে। তবে আমার ভীষণ ইচ্ছে রয়েছে সেখানে আরো একবার ভ্রমণ করে সেই আইসক্রিমটি খাওয়া।
ছবির অবস্থান :- লোহাই বাজার হাট, শ্রীপুর, গাজীপুর,বাংলাদেশ।
যেহেতু হঠাৎ করে একটি জরুরী কাজের খবর এসেছে তাই এই চমৎকার লোহাই বাজার হাট থেকে আমাদের দ্রুত শহরের দিকে ফিরে আসতে হয়েছে। সব মিলিয়ে ভীষন আনন্দঘন একটি সন্ধ্যা উপভোগ করলাম এই লোহাই বাজার হাটে। আর আপনারাও আশা করি আমার পোষ্টের মাধ্যমে কিছুটা হলেও চমৎকার হাটের সম্পর্কে ধারণা পেয়েছেন। আমার পোস্ট আপনাদের কেমন লেগেছে আশা করি মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আমার পোস্টটি আজকের মত এখানে সমাপ্ত করলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
লোহাই বাজারে বেশ সুন্দর মুহূর্ত অতিবাহিত করেছেন। খাওয়া-দাওয়ার মুহূর্ত গুলো দুর্দান্ত ভাবে কাটিয়েছেন। আখের গুড় খেতে বেশ ভালো লাগে। তবে আমাকে এদিকে আখের গুড় তেমন একটা পাওয়া যায় না। রোলার আইসক্রিম দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে ভাই। এই ধরনের রোলার আইসক্রিম আগে কখনো দেখি নি। আপনার প্রত্যেকটি ফটোগ্রাফি খুবই দুর্দান্ত হয়েছে। এত চমৎকার পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি তো তাহলে লোহাই বাজারে খুব সুন্দর সময় কাটিয়েছেন। এর সাথে আপনি খুব সুন্দর কিছু পশুপাখির ফটোগ্রাফি করেছেন। খরগোশ গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। লাভ বার্ড পাখি আমার কাছেও অনেক ভালো লাগে। আমাদের বাসায়ও ছিল। আমরাও ডিমের জন্য কোয়েল পাখি এনেছিলাম কিন্তু বেশ কয়েক মাস পালার পর ডিম না দেওয়াতে জবাই করে দিয়েছে। আপনি যেই আইসক্রিমের কথা বলছেন এটা আমাদের এখানেও আছে কিন্তু কখনো সিরিয়াল পাইনি বলে খাওয়া হয়নি। যাই হোক সুন্দর মুহূর্তের গল্প এভাবে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
এই আইসক্রিম খেতে বেশ সিরিয়াল ধরতে হয় আমিও দেখেছি। সেদিন আমিও খেতে পারিনি, তবে ইচ্ছে আছে খাওয়ার।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
আপনার এই পোস্টটির অপেক্ষায় ছিলাম। রোলার আইসক্রিম খেয়েছি প্রায় ১০ বছর আগে এক মেলায় গিয়ে। খেতে ভীষণ মজা লাগে। আজকে আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে দেখে মনে পড়ে গেলো। খরগোশ লাভ বার্ড পাখি গুলো দেখতে ভীষণ পছন্দ করি। টার্কি মুরগি অনেক দিন পরে দেখলাম। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
দেখে বোঝা যাচ্ছে লোহায় বাজারে খুব সুন্দর একটি মুহূর্ত কাটিয়েছেন। যা দেখে খুবই ভালো লাগছে। হাতে নানা ধরনের ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আইসক্রিমের ফটোগ্রাফটা বেশি ভালো লেগেছে। আজকে নতুন একটি প্রসেস দেখতে পারলাম। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট আমাদেরকে উপহার দেওয়ার জন্য।
আইসক্রিমের প্রসেসটা সত্যিই দেখার মতো ছিল।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের মাধ্যমে অনুপ্রাণিত করার জন্য।
আপনাকে স্বাগতম ভাই।
ভাইয়া আপনার জরুরী ফোনের জন্য না জানি আরো কত সুন্দর সুন্দর জিনিষ দেখা মিস করলাম। লোহাই বাজার তো মনে হচ্ছে অনেক বড়। অনেক রকম পাখি,খরগোশ দেখলাম। আর আমিও আপনার মত দাদা কাশ্মেরী রোলার আইসক্রিম কখনো খায়নি,দেখিও নাই। ধন্যবাদ।