হবির বাড়ি হাট ভ্রমন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের কাছাকাছি।(পর্ব-২) || Travelling to local hat (market), Close to rural tradition.
গ্রামীণ ঐতিহ্যের কাছাকাছি |
---|
শুভ রাত্রি #amarbanglablog পরিবার 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। সবাই মোটামুটি জানেন আমি চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের ভালুকায় কর্মরত রয়েছি এবং বেশ বড় একটি জোনের ব্যাংক এটিএম মেশিনের টেকনিক্যাল সাপোর্টে কাজ করছি।
বেশ ব্যাস্ত সময় পার করলেও মাঝে মাঝেই একটু সময় পেলেই বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়াতে বেশ ভালো লাগে। বিশেষ করে সহকর্মীরা ভীষণ আন্তরিক এবং তাদের সাথে সময় কাটাতে ভালোই লাগে। সেদিন তাদের সাথে নিয়ে হবির বাড়ি হাটে ঘুরতে গিয়েছিলাম, ইতিমধ্যে প্রথম পর্ব প্রকাশ করেছি। গত পর্বে বলেছিলাম সামনের পর্বে চমৎকার একটি জিনিস দেখাবো, যাইহোক আজ দ্বিতীয় পর্ব নিয়ে হাজির হলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
গত পর্বে বলেছিলাম ভিন্নধর্মী কিছু দেখাবো, আর এটাই হলো সেই জিনিস। এটা একধরনের গাছের টুকরো অংশ, এর মাঝখানে নরম অংশ নাকি খাওয়া যায়। আর নাকি মিষ্টি আর নোনতা স্বাদের হয়ে থাকে। তবে আমি এই গাছের নামটা জানিনা। চেষ্টা করেছিলাম নাম এবং কার্যকারিতা জানার জন্য কিন্তু বিক্রেতার দেখা পেলাম না। আমার হাতে সময় কম থাকায় বেশিক্ষণ সেখানে দাঁড়াতে পারলাম না।
আপনারা কি কেউ এর নাম জানেন?
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
বাঁশের মাছ ধরার জিনিসপত্র দেখার পর, সামনেই বাঁশের তৈরি ঝুড়িসহ বিভিন্ন জিনিস চোখে পড়লো। একজন বয়স্ক মানুষ সেগুলো বিক্রির জন্য বসে রয়েছে, তবে খরিদ্দারের তেমন দেখা পাওয়া যাচ্ছে না। আসলে এখন আধুনিকতার ছোঁয়ায় গ্রামের দিকেও বাঁশ বেতের তৈরি জিনিসপত্রের প্রচলন কমতে শুরু করেছে, তাছাড়াও বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল। আমি মুরুব্বি চাচার চোখে মুখে কষ্টের ছাপ স্পষ্ট দেখতে পেলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এগুলো কচুর ছড়ার মতো মনে হলো তবে আকারে বেশ বড় দেখতে। আমার পরিবার যেহেতু দূরে রয়েছে নাহলে এটা অন্তত এক কেজি কিনে নিয়ে খেয়ে দেখতাম কেমন লাগে খেতে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর মাছ হাটির দিকে এগিয়ে গেলাম। কি তরতাজা সব মাছ, দেখে চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। কি আর করা পরিবার যেহেতু নেই আফসোস করে লাভ নেই, শুধু দেখেই মনকে শান্তনা দিলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
একজন জুতা বিক্রেতা দেখতে পেলাম, কি বাহারী সব জুতা। তবে অধিকাংশ জুতা কিছুটা সস্তা দামে বিক্রি করছেন, তিনি তার ক্রেতার সাধ্যের কথা চিন্তা করে এধরনের জুতার পসরা সাজিয়েছেন।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
একজন ক্রেতা তার পছন্দের কিছু পাখি কিনে বাড়ির দিকে রওনা হয়েছেন। আমি পাখি ভীষণ পছন্দ করি, তার পাখিগুলো দেখে আমারও ইচ্ছে করছিল কিছু পাখি কিনি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
সবশেষে বেশ কিছু গবাদি পশু দেখতে পেলাম, যেগুলো বিক্রির জন্য রাখা ছিল। আবহাওয়া বেশ খারাপ থাকায় ক্রেতার সংখ্যা একদমই কম, তবুও বিক্রেতারা চাতক পাখির মতো খরিদ্দারের দিকে চেয়ে আছে।
পুরো হাট ঘুরতে ঘুরতে অনেক দেরি হয়ে গেছে। গত পর্বে দেখিয়েছিলাম আমরা গরম গরম এক কেজি জিলাপি খেয়েছিলাম 😋। যাইহোক এবার ফেরার পথ ধরলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1705617260050776424?t=d9VBlXrFYc5wGvCczTAbjQ&s=19
আপনি প্রথমেই যে ছবি শেয়ার করেছেন, আমি এম৯ন কিছু আগে শুনি নি। আজকে আপনার পোষ্ট এর মাধ্যমেই জানতে পারলাম। এবং অবাক ও হলাম... আশেপাশে দোকানদার থাকলে বেশ ভালো হতো, মনের প্রশ্নটারও উত্তর পেয়ে যেতাম আপনার পোস্ট থেকেই...
সেটাই তো ব্যাপার।
আমি বেশ কিছু সময় অপেক্ষা করেছিলাম কিন্তু বিক্রেতার দেখা পেলাম না। আমার হাতে সময় কম থাকায় ফিরতে হয়েছে সেখান থেকে।
গ্রামীণ ঐতিহ্যের হবির বাড়ি হাট দেখে মনে হচ্ছে বেশ বড় একটি হাট। মাছের বাজার দেখলাম বিশাল বড়। কম বেশি সব কিছু হাটে রয়েছে। আপনার পোস্ট এর মাধ্যমে ভিন্ন রকম কিছু দেখতে পেলাম ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
টাটকা মাঝ থেকে শুরু করে সবকিছুই তো সেখানে পাওয়া যায়। তবে গাছের নামটা আমিও জানি না কিন্তু দেখতে দারুণ লাগছে আবার বলছেন মাঝের অংশ খাওয়া যায়। আসলে দোকানদারের খুব দরকার ছিল তাহলে সেই সুবাদে আমরা গাছের নামটা জানতে পারতাম।
গাছের ঐ অংশটা যে খাওয়া যায় ওটা যে ঠিক কী বা কোন গাছের সেটা আমিও জানি। তবে বিষয়টি বেশ কৌতূহলের। সাধারণত একেবারে গ্রামের হাট গুলোতে এইধরনের জিনিস পাওয়া যায়। কিন্তু শহরে আপনি পাবেন না। আবার পাশেই দেখছি গরুর হাট রয়েছে। হবির বাড়ি হাট এর দ্বিতীয় পর্ব টা বেশ ভালো লাগল ভাই।।
সেটাই তো ব্যাপার।
হাতে সময় কম থাকায় ব্যাপারটা পরিষ্কার হলো না, তবে ইচ্ছে রয়েছে আরো একবার গিয়ে ব্যাপারটা দেখা।
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
উপরে শক্ত আর ভেতরের নরম অংশ দেখে মনে হচ্ছে এই গাছ কখনো দেখিনি। নাম জানা তো দূরের কথা ভাইয়া। নামও জানা নেই। যাইহোক ভাইয়া আপনার ভ্রমণ পর্বের এবারের পোস্ট দেখে অনেক ভালো লাগলো। আর সেই সুযোগে গরম গরম জিলাপি খেয়েছেন জেনে ভালো লাগলো।