হবির বাড়ি হাট ভ্রমন, গ্রামীণ ঐতিহ্যের কাছাকাছি।(পর্ব-১) || Travelling to local hat (market), Close to rural tradition.
গ্রামীণ ঐতিহ্যের কাছাকাছি |
---|
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি #amarbanglablog পরিবার 🤗 সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। সবাই মোটামুটি জানেন আমি চাকরির সুবাদে ময়মনসিংহের ভালুকায় কর্মরত রয়েছি এবং বেশ বড় একটি জোনের ব্যাংক এটিএম মেশিনের টেকনিক্যাল সাপোর্টে কাজ করছি। আমাদের এদিকে প্রায় হাজার খানেক মেশিন রয়েছে, যেখানে মাত্র তিনজন ইন্জিনিয়ার দিয়ে কভার করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি আমরা। যাইহোক কাজের ফাঁকে ফাঁকে আমি আবার একটু আধটু ঘুরতে পছন্দ করি।
আমার আবার গ্রামের ভেতরের দিককার হাট গুলো ঘুরতে একটু বেশি ভালো লাগে কারন হচ্ছে হঠাৎ হঠাৎ এমন দারুন কিছু জিনিস চোখে পরে যা আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। আজ কিছু ভালো লাগার মতো জিনিস দেখাবো আর সামনের পর্বে আরো দারুন একটা জিনিস দেখাবো, যা হয়তো অনেকেই দেখেননি।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
গত সপ্তাহে গিয়েছিলাম হবির বাড়ি হাটে। সেদিন সকাল থেকেই বেশ বৃষ্টি হচ্ছিল এবং কাজের তেমন চাপ ছিল না। আমি আমার এক সহকর্মীকে নিয়ে চলে গেলাম হবির বাড়ি হাঁটে। ছবিগুলোতে নিশ্চয়ই দেখতে পাচ্ছেন বেশ কর্দমাক্ত আর পানি জমে রয়েছে চারিদিকে। যাইহোক আমার বেশ ভালো লাগছিলো কারন আমি জানি হয়তো আজও নতুন কিছু দেখবো যা আমার কাছে ভালো লাগবে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
প্রথমে ঢুকেই সামনে পরলো মাছ ধরার পলো আর বাইর, যদিও এগুলো আঞ্চলিক নাম। আপনাদের কার এলাকায় কি বলে আশাকরি জানাবেন সবাই। এগুলো দেখে এতটাই ভালো লাগলো আপনাদের বলে বোঝাতে পারবো না। এগুলোর সাথে আমার ছোট বেলার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। বিশেষ করে পলো দিয়ে তেমন মাছ ধরিনি, তবে বাইর দিয়ে অনেক মাছ ধরেছি। বেশ কিছু সময় দাড়িয়ে এগুলো দেখলাম আর ছবি তুললাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর দেখলাম একজন বৃদ্ধ মানুষ নারিকেল বিক্রি করছেন। বৃদ্ধ মানুষটির চলার সম্বল তার লাঠিটি রয়েছে পাশেই, তবে ক্রেতা কম মনে হয়েছে এখানে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
এরপর দেখলাম শুকনো মরিচসহ বিভিন্ন মসলার দোকান। শুকনো মরিচের রং বেশ দারুন লাগছিল, আমার পরিবার এখানে থাকলে হয়তো কিছু কিনে নিয়ে যেতাম। বেশ বিক্রি হচ্ছে দেখলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ঠিক পরের গলিতে খাবার জিনিসের দোকান। আমার মুল আকর্ষণের জায়গা হলো এটা 😊 যাইহোক প্রথমেই বিভিন্ন ধরনের গুড়ের দোকান দেখতে পেলাম। আমার কিন্তু তর সইছে না, সামনে কি খাবারের দোকান রয়েছে দেখার জন্য।😄
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
আহা জিলাপি 😋
গরম গরম গুড়ের জিলাপি আমার সবথেকে পছন্দের খাবারের মধ্যে একটি। দেরি না করে ঝটপট জিলাপি অর্ডার
দিলাম। ভাবতেও পারবেন না দুজনে মিলে কেজি খানেক খেয়ে ফেললাম 😄 আমাদের দুজনের মধ্যে কেমন যেন খাওয়ার প্রতিযোগিতা চলছিল কিন্তু দুঃখের বিষয় তিনি আমার থেকে বেশি খেয়ে ফেললেন।।।।।।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1703111303752204682?t=HU-V3Yj-F--9b9WuD4npeQ&s=19
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
হবির বাড়ি হাট ভ্রমন করতে গিয়ে দেখেছি চমৎকার মহূর্ত কাটিয়েছেন। আসলে অনেক দিন পরে মাছ ধরার পলো আর বাইর দেখলাম। এধরনের কাজ গুলো যখন করে তখন দেখতে আরো বেশি সুন্দর লাগে। শেষের দিকে তো জমিয়ে জিলাপি খেলেন। গুরের জিলাপি বলে কথা। চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি যে বর্তমানে ময়মনসিংহে থাকেন সেটা আপনার আজকের পোস্ট থেকেই জানতে পারলাম। তবে আপনার এই ঘোরাঘুরির অভ্যাস টা আছে শুনে ভালো লাগল। হবির বাড়ি হাট টা বেশ চমৎকার তো। গ্রামগঞ্জ ছাড়া এখন এইরকম হাট দেখাই যায় না। আর হাঁটে একেবারে সাধারণ একটা জীবনচক্র ফুটে উঠে। চমৎকার ছিল ভাই আপনার প্রথম পর্বের পোস্ট টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
গ্রামের কিছু ঐতিহ্যবাহী জিনিস গুলো বর্তমানে আর দেখা যায় না। আধুনিকতার ছোয়াতে ওইসব ঐতিহ্য গুলো যেন দিন দিন হারিয়ে গেছে। অনেকদিন পরে আপনার পোষ্টের মধ্য দিয়ে বেশ পুরনো একটি জিনিস দেখতে পেলাম ভাই আর সেটা হলো পলো। অনেকদিন এটা দেখি নাই আজকে দেখলাম আবার।ভবের বাড়ি হাট ভ্রমণের গ্রামের যে ঐতিহ্যবাহীর ফটোগ্রাফি করেছেন প্রত্যেকটা আমার বেশ ভালো লেগেছে। কিন্তু শেষের ফটোগ্রাফি এসে আমি দাঁড়িয়ে গেলাম, এই যে গরম গরম জিলাপি একাই খেলেন। গরম জিলাপি খেতে ভীষণ ভালো লাগে ভাই।
ধন্যবাদ ভাই।
চেষ্টা করেছি কিছু ঐতিহ্য তুলে ধরতে।
জিলাপি আমার কাছেও ভীষণ ভালো লাগে।
দাওয়াত রইলো, একদিন চলে আসুন।