গল্প: সুলাইমান কেন ফাঁসির আসামি?|| The Love story of a innocent Man.

গল্প: সুলাইমান কেন ফাঁসির আসামি?

_{^{সংগ্রহশালা}}

সুলাইমান গরিব চাষী রহমত মিয়ার একমাত্র ছেলে। রহমত মিয়া মারা যাওয়ার পর সে তার বৃদ্ধ মাকে নিয়ে কোনরকম দিনযাপন করতো। বাপের রেখে যাওয়া কিছু ধানের জমি আর অন্যের ক্ষেতে বর্গা চাষ করে মোটামুটি কেটে যাচ্ছিলো মা ছেলের জীবন। ছেলে বড় হয়েছে মা সুফিয়া বারবার বিয়ের জন্য বলতে থাকে সুলাইমানকে, তবে সুলাইমান রাজি হয়না। কারন তার যতটুকু আয় রোজগার এতে দুজনের চলতেই কষ্ট হয়ে যাবে, এর উপর যদি আরো একজনের দায়িত্ব নেয় তাহলে হিমসিম খেতে হবে সেটা সে ভালোই জানে।

বাবা যখন বেঁচে ছিল তাকে গাঁয়ের স্কুলে পড়িয়েছে কিন্তু তিনি চলে যাওয়ার পর তার মাথায় আকাশ ভেঙ্গে পড়েছিল , পড়াশোনা আর করা হলোনা। মা ছেলে অনেক কষ্ট করে জীবন পার করছে। সুলাইমান দেখতে সুদর্শন এবং ভীষণ জেদি মানুষ, শত কষ্টের মাঝেও কারোর কাছে হাত পাততে যায়নি। পরিশ্রম করে আর ঘাম ঝরিয়ে তার কষ্টের উপার্জন দিয়ে সংসার চালায়।

রুহেলা গরিব চাষীর মেয়ে, বেশ ছিমছাম সুন্দর মেয়ে। গাঁয়ের স্কুলে ক্লাশ টেন পড়ার পর বাবার অভাবের তাড়নায় আর পড়াশোনা হলো না। এদিকে রুহেলার বাবা বিয়ের চেষ্টা করছে কিন্তু রুহেলার মন সুলাইমানের কাছে বন্দি। রুহেলা স্কুলে আসা যাওয়ার পথে সুলাইমানের দিকে তাকিয়ে থাকতো, কেমন যেন ভালো লাগা কাজ করে তার প্রতি। তবে সুলাইমান বরাবরই এড়িয়ে যেতে চায় রুহেলাকে কারন সে মনে করে এসব ভাব ভালোবাসা গরিবের জন্য নয়।
দুজনের চোখে চোখাচোখি সবসময়ই হতো কিন্তু কেউ কাউকে কিছু বলতো না। এভাবেই চলছে দিনগুলো।

এদিকে গাঁয়ের চ্যায়ারম্যান আজগর শেখের চোখ পরে রুহেলার দিকে। বয়স পঞ্চাশের উপর, আগের বউ মরেছে বছর কয়েক আগে কিন্তু লোকটার মাথার কুবুদ্ধি খালি ঘুরতে থাকে। হঠাৎ রুহেলাকে দেখে তার মাথায় শয়তানি ভুত চেপে বসে, রুহেলাকে পাওয়ার লালসা কাজ করে। হঠাৎ করেই রুহেলার বাবাকে তার মেয়ের সাথে বিয়ের প্রস্তাব দিয়ে বসে খারাপ লোকটা। রুহেলার বাবা তেলে বেগুনে জ্বলে ওঠে প্রত্যাখান করে বিয়ের প্রস্তাব। আজগর শেখ রুহেলাকে উঠিয়ে নিয়ে বিয়ে করার হুমকি দেয় বয়স্ক মানুষটিকে। রুহেলা পাশের রুম থেকে সব শোনে এবং ভয়ে কুঁকড়ে যায়। এদিকে রুহেলার বাবা ছমির মিয়া কি করবে ভেবে পায় না।

পরদিন সকালেই রুহেলা ছুটে যায় মাঠে কাজ করা সুলাইমানের কাছে এবং তার ভালোবাসার কথা সরাসরি বলে। সুলাইমান শুনেও না শোনার ভান করে কাজ করতে থাকে। অবশেষে রুহেলা সব খুলে বলে বুড়া আজগর শেখ বিয়ার প্রস্তাব দিয়ে বাপের কাছে, আর বিয়া না দিলে আমারে নাকি তুইলা লইয়া যাইবো। অহন তুমি যদি আমারে বিয়া না করো তাইলে কিন্তু আমি বিষ খামু আর লেইখা দিয়া যামু তোমার কারনে আমি বিষ খাইছি। আমি তোমারে ভালোবাসি আর আমার শরীরে অন্য কোন বেডা মানুষ হাত দেওনের আগে আমি মইরা যামু।
সোলাইমান কি করবে ভেবে পায়না, এদিকে রুহেলা সুলাইমানের বুকে আছড়ে পড়ে কাঁদতে থাকে।

_{^{"চলবে}}

---

---

ছোট্ট পরিসরে পরিচিতি

আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।

আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

https://steemitwallet.com/~witnesses

---

---

VOTE @bangla.witness as witness

OR

SET @rme as your proxy

_{Posted using SteemPro Mobile}