শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কখনো জীবনে বাধা হতে পারে না। || Physical handicap can never be a hindrance in life.
আপনি কতটা স্বয়ংসম্পূর্ণ?
প্রশ্নটা হয়তো বোঝাতে পারিনি, আমি বলতে চেয়েছি আপনি কি নিজেকে পরিপূর্ণ এবং নিখুঁত মনে করেন? সবাই হয়তো বলবেন না আমার বিভিন্ন শারীরিক প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। এটাই আসলে বাস্তবতা, উপর ওয়ালা কোন মানুষকেই একদমই নিখুঁত করে সৃষ্টি করেননি। তবে কেউ যদি অতিরিক্ত বাহাদুরি করে নিজেকে একদমই পরিপূর্ণ মানুষ বলেন তাহলে এটা ডাহা মিথ্যা কথা।
যাইহোক আমাদের প্রত্যেকের বিভিন্নরকম সীমাবদ্ধতা রয়েছে যেমন কেউ চোখে দেখতে পান না, কেউ কানে শোনেন না, কথা বলতে পারেন না, আবার কারো কারো বিভিন্ন অঙ্গ নেই, কেউবা সাদা, কেউবা কালো, কেউ খাটো, কেউ কদাকার আরো রয়েছে নিরব রোগ অটিজম, কেউ পাগল আবার কেউবা বেশি বোকা। এছাড়াও আরো কত শারীরিক সীমাবদ্ধতা রয়েছে সেটা হয়তো বলে শেষ করতে পারবোনা।
এতো সীমাবদ্ধতার পরেও কি জীবন থেমে আছে?
অন্তত আমার তা মনে হয় না। যদি কেউ দ্বিমত পোষণ করেন তবে তাকে বলবো যে ব্যাক্তিটি বোবা কিংবা অন্ধ অথবা হাত পা নেই তার কাছে যেয়ে দেখুন তাকেও উপর ওয়ালা কোন না কোন ভাবে ঠিকই খাইয়ে পরিয়ে দেখভাল করে যাচ্ছেন। এই মানুষগুলোর দিকে তাকলে নিজেকে অনেক সুখী মানুষ মনে হয় আবার নিজের থেকে একটু ভালো অবস্থা সম্পন্ন মানুষকে দেখালে হতাশায় ডুবে যাই আমরা।
যখন একজন শারীরিক প্রতিবন্ধী উন্নতির চরম শিখরে পৌছায় তখন বিষয়টি কেমন লাগে?
যারা শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে বুড়ো আংগুল দেখিয়ে রীতিমতো দূর্বার গতিতে এগিয়ে চলেন আমি তাদের রিয়েল হিরো বলি। এদের বাহ্যিক দিকটা দূর্বল মনে হলেও এদের আভ্যন্তরিক দিক ইস্পাতের মতো কঠিন। সত্যি বলতে তাদের থামিয়ে রাখা কঠিন কারণ তারা হেরে যাওয়ার ভয় করে না। এই মানুষগুলো নিজের প্রতিটি দিন সৃষ্টি কর্তার দেয়া উপহার হিসেবে মনে করে। তবে যতোটা সহজ আমরা তাদের জীবন মনে করি আসলে তা নয়। তারা প্রতিনিয়ত সমাজের অসুস্থ কীটদের দ্বারা লাঞ্ছিত হতে থাকে, কিছু যোদ্ধা আবার কিন্তু হেরে গিয়েও এগিয়ে যাওয়ার জন্য পা বাড়ায়।
পৃথিবীতে এমন অনেক নজির রয়েছে যাদের আমরা প্রতিবন্ধী বলি তারা ভীষণ বড় কিছু করে দেখিয়েছেন। একজন সুস্থ মস্তিষ্কের মানুষ হিসেবে আমাদের এই মানুষগুলোকে সম্মান করা উচিত এবং নিজের যেসমস্ত প্রতিবন্ধকতা রয়েছে সেগুলোকে নিজের বুদ্ধি, সৃজনশীলতা, কর্মদক্ষতা দিয়ে পূর্ণ করে এগিয়ে যেতে হবে। মনে রাখবেন পৃথিবীতে কোন মানুষ পরিপূর্ণ নয়, তবে একমাত্র সৎকর্ম তাকে পরিপূর্ণ করে তুলতে পারে।
আপনি কিভাবে আপনার শারীরিক প্রতিবন্ধকতা কাটিয়ে উঠছেন?
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
একেবারে সত্য কথা বলেছেন ভাইয়া শারীরিক প্রতিবন্ধী কথা কখনো বাধা হতে পারে না। মনের জোর হলো সবচেয়ে বড় কথা। পৃথিবীতে যার মনের জোর যত বেশি তার সফলতায় তত বেশি। দারুন একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন ভাইয়া।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1717600285558993363?t=hZaQv8LlGLGHY3EHq1Q5AA&s=19
আমি এমন অনেক দেখেছি হাত নেই, অথচ পা দিয়ে কম্পিউটার চালিয়ে ঘরে বসে ফ্রিল্যান্সিং করে ইনকাম করছে। আসলে তারাই তো রিয়েল হিরো। প্রতিটা দিন শুরু করে নতুন কোনো চ্যালেঞ্জ দিয়ে। ভালো থাকুক এমন মানুষগুলো