স্বরচিত কবিতা: দুমুঠো খাবারের দাম। || Original Poetry by @emranhasan.
বেঁচে থাকতে হলে খাবার খেতে হবে, কিন্তু পৃথিবীতে কতজন মানুষ দুবেলা দুমুঠো খাবার খেতে পারছে সেটা কি আমরা চিন্তা করি? বেশি দূরে যেতে হবে না আপনার বাসার পাশের বস্তিটায় একটু খবর নিয়ে দেখুন সেখানে খাবারের অভাবে কত শিশু চিৎকার আর আর্তনাদ করে চলেছে। এমন কিছু অসহায় মানুষ রয়েছে যারা ক্ষুধার জ্বালা সহ্য করতে না পেরে বিভিন্ন অপরাধে লিপ্ত হয়ে যাচ্ছে। পত্রপত্রিকায় কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে চোখ বুলালে হয়তো এমন ছবিও দেখতে পাবেন যেখানে সামান্য একটি রুটি চুরির দায়ে শিশু বাচ্চাকে অমানুষিক নির্যাতন করা হচ্ছে। আসলে কথাটা বলতে খারাপ লাগলেও পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পেয়েছে আশঙ্কাজনক হারে, যেখানে দু'মুঠো খাবার চেয়েও অত্যাচার আর লাঞ্ছনার শিকার হতে হয় প্রতিনিয়তই।
আবার কিছু আধুনিকতায় মোড়ানো মানুষ রয়েছে যারা খাবার নষ্ট করে অবলীলায়, তবুও গরিব অসহায়দের মুখে খাবার দিতে নারাজ। আপনি হয়তোবা খেয়াল করে থাকবেন বিভিন্ন বিয়ে কিংবা সামাজিক অনুষ্ঠানে প্রচুর খাবার নষ্ট হয় কিন্তু তারা গরীব-দুখী কিংবা মিসকিনদের খাবার খেতে দেয় না। এগুলো চরম মাত্রার সামাজিক অবক্ষয়ের নমুনা এবং এর ফলশ্রুতিতে মানবিক বিপর্যয় ডেকে আনতে পারে।
আসুন আমরা খাবারের অপচয় রোধ করি এবং অতিরিক্ত খাবার গরিব মিসকীনদের বিলিয়ে দিয়ে মানবিকতা বাঁচিয়ে রাখি। একজন মিসকিনকে খাওয়ালে এই দোয়াটা সৃষ্টিকর্তার আরশ পর্যন্ত পৌঁছাতে সক্ষম।
জানে বস্তির ঐ ক্ষুধার্ত ছোট্ট ছেলেটা
আরো জানে ইট ভাটায় গতর খাটা
অল্প অক্সিজেনে বেঁচে থাকা মানুষটা।
জানে বাপ হারা সেই পথশিশু
যে রুটি চুরির দায়ে মার খেয়েছে
মানুষ চুরি দেখেছে ক্ষুধার জ্বালা দেখেনি।
জানে জেলে পচতে থাকা কয়েদি এক পিতা
যে সন্তানের মুখে খাবার দিতে গিয়ে কয়েদি বনেছে
করুনা করেনি তাকে মুখোশধারী শয়তানরা।
জানে শরীর বেঁচে দেয়া অভাগা এক মা
যে জানে পৃথিবীতে কোন মানুষ অবশিষ্ট নেই
শুধুমাত্র শকুনের দল রয়েছে যারা কিছু পয়সা দেয়।
না তুমি জানো না, খাবার কতোটা দামী।
জানলে আস্তাকুঁড়ে ফেলতে না নর্দমায়,
পেটপুরে খেতে পারছো সৃষ্টিকর্তা সহায় বিধায়।
নিজের মতো গুছিয়ে লিখার চেষ্টা করেছি, ভুল ত্রুটি মার্জনা করবেন।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আজকের কবিতাটি চমৎকার লিখেছেন আপনি।আমাদের সমাজে এখনো দুমুঠো খাবারের জন্য কতো অসহায় দরিদ্র শিশুরা নির্যাতিত হচ্ছে।আর এগুলো আমরা আমাদের চারপাশে প্রতিনিয়ত ঘটে যেতে দেখছি।অনেক ভালো লেগেছে কবিতাটি।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1694594740044570857?t=1-6OE6SjqEEe1lzBN2bW2Q&s=19
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
ঠিক বলেছেন ভাইয়া পৃথিবীতে মানুষের সংখ্যা দিন দিন হ্রাস পেয়েছে। এখন মানুষের মধ্যে মনুষ্যত্ব বলতে কিছুই নেই। যদি থাকতো তাহলে গরিব মানুষের মুখের খাবার এভাবে কেড়ে নিতে পারতো না। বিভিন্ন অনুষ্ঠানে যে পরিমাণ খাবার নষ্ট হয় এই খাবার গরিব মানুষকে দিলে তাদের একটু হলেও খুদা নিবারণ হবে। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর কবিতা লিখেছেন। সম্পূর্ণ কবিতা পড়ে আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। প্রতিটা লাইন খুব সুন্দর লিখেছেন। ধন্যবাদ এত কবিতা শেয়ার করার জন্য।