কাজকে ভালোবাসুন, জীবন বদলে যাবে। || Love your work, life will change.
আপনি আপনার কাজকে কতটুকু ভালোবাসেন?
যদি আপনাকে এই প্রশ্নটা করি তাহলে হয়তো উত্তরটা আসবে কাজ করতে হয় তাই করি অথবা জীবন জীবিকার তাগিদে কাজ করে চলেছি। আমাদের ক্ষেত্রে অনেকটাই বাধ্য হয়ে অনেক অপছন্দের কাজ করে যেতে হয়, অনেক ক্ষেত্রে কাজের পরিবেশ এতটাই তিক্ত হয়ে উঠে তবুও কাজ ছাড়তে পারে না অনেকেই। কারনটা একদমই পরিষ্কার, বিকল্প উপার্জনের ব্যাবস্থা না থাকা। যাইহোক কেউ যদি এরকম তিক্ত পরিবেশ এবং মনের বিরুদ্ধে দীর্ঘদিন কাজ করতে থাকে তখন সেই মানুষটি ভেতরে ভেতরে ধ্বংসের মুখে পতিত হয়। তার শারীরিক এবং মানসিক বিভিন্ন জটিলতা দেখা দিতে পারে। অনেকে এগুলো জেনে বুঝেও কাজকে ভালো না বেসে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। কিন্তু এভাবে কতদিন চলবে?
কাজকে ভালো না বাসলে সেখানে কখনো ভালো কিছু হবেনা, আপনি সেখানে নিজের অজান্তেই নিজের ক্ষতি করতে থাকবেন। দেখা যাবে একটা সময় পুরো পরিবেশটা নরকে পরিণত হবে। আমি বলছি প্রাইভেট সেক্টরে কাজ করা লক্ষ লক্ষ মানুষের কথা, আমি সেই সমস্ত মানুষের কথা বলছি যারা সকাল থেকে গভীর রাত অবধি মাথার ঘাম পায়ে ফেলে কোম্পানিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে। কিন্তু বিনিময়ে তাদের ন্যায্য পারিশ্রমিক এবং সম্মান পায় না। তবুও তারা জীবিকার তাগিদে কঠিন সংগ্রাম করে কাজগুলো করতে থাকে।
আমি সেই অফিসের ম্যানেজারের কথা বলছি যে কোম্পানির বড় পদে চাকরি করেও নিজের কোন স্বাধীনতা নেই কিংবা নিজের সিদ্ধান্ত নেয়ার মতো ক্ষমতা নেই। একমাত্র মালিকের কথায় সকাল বিকাল হুকুম তামিল করতে হয়। কি দাম ঐ ম্যানেজারের চেয়ারের যেখানে তার কাজের প্রতি ভালোলাগা তৈরি হবার কোন সুযোগ নেই।
তবে আমি মনে করি ঐ বড় চেয়ারে বসা ম্যানেজারের চেয়ে মাঠে কাজ করা সেই কৃষক বড় সুখি মানুষ কারন সে তার কাজকে ভালোবাসে কিংবা ভালোবাসার সুযোগ পেয়েছে। কৃষক তার কাজে বৈচিত্র্য এনেছে বিভিন্ন রকম ফসল ফলিয়ে এবং দিনদিনই তার ফলন বেড়েছে। তাছাড়াও নতুন নতুন প্রযুক্তি ব্যাবহার করে চলেছে তার খেয়াল খুশি মতো। দিনশেষে সেই সবথেকে সুখি মানুষ কারন সে তার কাজকে ভালোবাসে।
আপনি একজন প্রকৌশলী আপনাকে দেয়া হলো সুপারভাইজারের কাজ তাহলে আপনি কতদিন সেটা করতে পারবেন? বেশিদিন না, কারন এই কাজটা আপনার দিকে যায় না। তবুও অসংখ্য মানুষ করে চলছে শুধুমাত্র পেটের দায়ে। যেকোন কাজ শুরু করার পূর্বে নিজে আগে বিচার বিশ্লেষণ করতে হবে সত্যিই কি এই কাজটা আমার জন্য উপযুক্ত কিনা। প্রথমেই যদি আপনি ভুল কাজে যোগদান করেন তাহলে আপনি কখনই কাজকে ভালোবাসতে পারবেন না এবং সেখানে এগিয়ে যেতে পারবেন না।
নিজের পছন্দের কাজটি পাওয়ার পর কাজটিকে ভালোবেসে সঠিক কর্ম পরিকল্পনা সাজাতে হবে এবং কর্ম পরিকল্পনা আর কাজের প্রতি ভালোবাসা আপনাকে সুনিশ্চিত ভালো ফলাফলের দিকে ধাবিত করবে। কাজের ক্ষেত্রে দায়িত্ববোধ, সততা এবং পরিশ্রম যেমন প্রয়োজন তেমনি ভালোবাসা সবকিছুকে গতিশীল এবং প্রানোছ্বল করতে প্রয়োজন। আপনি যদি আপনার পছন্দের কাজটি পেয়ে থাকেন তবে আপনাকে অভিনন্দন জানাই। এবার নিজের কাজটি ভালোবেসে করার চেষ্টা করুন, দেখবেন আপনি কঠিন থেকে কঠিনতর কাজ খুব সহজেই সমাধান করতে সক্ষম হবেন।
কর্মের মাঝে ভালোবাসা, বাড়ায় পদোন্নতি আর আস্থা
কর্মের মাঝে ভালোবাসা, কাজকে করে আনন্দময়
কর্মের মাঝে ভালোবাসা, জীবনকে করে বৈচিত্র্যময়।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
আপনি সব সময়ই ভিন্ন ধরনের বিষয় নিয়ে লেখার চেষ্টা করেন। আপনার লেখা গুলো বাস্তবতার সাথে মিলে গেছে। সত্যি আমাদের কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকলে কাজটা অনেক সহজ হয়ে যায়। ভালো লাগলো আপনার লেখা গুলো পড়ে। উপরের লাইন গুলো সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। আপনার পুরো পরিবারের জন্য অনেক অনেক দোয়া এবং ভালোবাসা রইলো ❣️
বাহ্! দারুণ ছন্দ মিলিয়েছেন ভাই। কাজকে ভালোবাসলে অবশ্যই জীবন বদলে যায়। আমি এটা সবসময়ই বিশ্বাস করি যে,যেকোনো কাজ ভালোবেসে করতে হয়,তাহলে সেই কাজটা করতে ও ভালো লাগে এবং সেই কাজে সফলতা অর্জন করার সম্ভাবনা সবচেয়ে বেশি থাকে। নিজের ইচ্ছার বিরুদ্ধে কোনো কাজ করতে গেলে সেটা বেশি দূর কন্টিনিউ করা যায় না। একটা সময় ব্যর্থ হয়ে যেতে হয়। তবে জীবন জীবিকার তাগিদে অনেক মানুষকে, অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও বিভিন্ন ধরনের কাজ করে যেতে হয়। যাইহোক এতো সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1738611535726133362?t=7SOQVt9iW84n_FaxZ3tqbg&s=19
সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে পোস্ট শেয়ার করলেন। আপনি এটা ঠিক বলেছেন কাজ শুধু করলেই হবে না।কাজের প্রতি ভালোবাসা থাকতে হবে।ভালোবেসে কাজ করলে জীবন আমাদের বদলে যাবে।জীবন আমাদের সুন্দর হবে।ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর এই বিষয়ে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য।
আপনি একদম বাস্তবসম্মত কথা বলেছেন ভাই। আমাদের এখানকার নিয়মই যেন এটা, যে খুব কম সংখ্যক মানুষের তার পছন্দের বিষয় এ কাজ করার সুযোগ পায়। অথচ বেশিরভাগ মানুষ ই দিনরাত কাজ করে যায় শুধুমাত্র ইনকাম করার জন্য।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
ভাইয়া আমার মনে হচ্ছে আপনি বেশ সঠিক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করলেন। তবে আমি কিন্তু বলবো এই সমস্যা শুধু প্রাইভেট সেক্টরে নয়, আজকাল এই সমস্যা গুলো সরকারি অফিসেও ঝেকে বসেছে। যার কারনে অনেকে কাজের প্রতি ভালোবাসার থাকার পড়েও মূল্যায়ণ না পাওয়ার কারণে কাজের প্রতি অনিহা প্রকাশ করে। আবার তেলবাজদের কারনে বা স্বজনপ্রীতির কারনে অনেকে তাদের সঠিক মূল্যায়ণও পায় না। তাই অনেক মানুষ মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে। আমি মনে করি তার চেয়ে গ্রামের স্বাধীন কৃষকও অনেক ভালো আছে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি পোস্ট করার জন্য।
একদমই বাস্তব কিছু বিষয় ফুটিয়ে তুলেছেন আজকে আপনার এই পোস্টের মাধ্যমে৷ শুধুমাত্র কাজ করলে হবে না, কাজের প্রতি ভালোবাসাও থাকতে হবে৷ যদি কাজের প্রতি ভালোবাসা না থাকে তাহলে কখনোই কাজের মধ্যে মন বসবে না এবং ভালোবাসা ছাড়া কোন কিছুকে জয় করা যায় না৷ তাই কাজকে ভালোবাসার মাধ্যমে কাজের করা যাবে৷ অসংখ্য ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য৷
পৃথিবীতে মানুষ প্রত্যেক জন ভিন্ন ভিন্ন পেশায় নিয়োজিত থাকে। নিজের যেমনই হোক না কেন যদি সেই পেশার প্রতি ভালোবাসা থাকে তাহলে সেখান থেকে অনেক কিছু করা সম্ভব। ভালোবাসা না থাকলে সেখান থেকে বহু দূরে এগোনো যায় না। অফিসার এবং কৃষকের যুক্তি প্রকাশ করেছেন এটা আমার কাছে বেশ ভালো লেগেছে ভাই আর এটাই বাস্তব। নিজের জীবনের স্বাধীনতা যদি না থাকে তাহলে আপনি কোন কাজ করলে সেই কাজের প্রতি ভালোবাসা তৈরি হবে না। আর ভালোবাসা আন্তরিকতা না থাকলে ভালো কিছু করা সম্ভব না।