আমাদের গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন (শেষ পর্ব)|| It's Family time 😍
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আমি আজকে আবারো ভ্রমণ পোস্ট নিয়ে হাজির হলাম।
আমরা ভালুকায় বসবাস করছি এবং ঠিক পাশেই চমৎকার একটি পার্ক রয়েছে। যার নাম হচ্ছে গ্রীন অরণ্য পার্ক।
এই পার্কটি এতটাই সুন্দর তা মুখের ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না। সত্যি বলতে সময়টা খুব দারুণ উপভোগ করেছিলাম পরিবার নিয়ে। শুরুতেই আমরা একটু ভুল করেছিলাম যদি সকালের দিকে যেতাম তাহলে পুরো দিন খুব ভালোভাবে চমৎকার পার্কটি ঘুরে দেখতে পারতাম। কিন্তু সকালের দিকে হঠাৎ করে আমার কাজের চাপ পরায় আমরা বের হতে হতে দুপুর হয়ে যায়। যাইহোক দুপুরের দিকটায় পার্কের অলিগলি যতটা সম্ভব সবাইকে নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছি। ভেতরে ঘুরতে ঘুরতে কখন যে সন্ধ্যা ঘনিয়ে এসেছিল তা মোটেই টের পাইনি।
যাইহোক চমৎকার পার্কটি ঘুরে আজকে তার শেষ পর্ব নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হলাম।
এই পার্কে একদমই শেষ প্রান্তে রয়েছে টয় ট্রেন এবং বিভিন্ন রকম চমৎকার রাইড। আমাদের ইয়ান টয় ট্রেন দেখে অনেকটা লাফিয়ে সেখানে উঠে যায়। আমি তার বেশ কিছু ছবি তোলার চেষ্টা করলাম।
আমরা যখন টয় ট্রেনের কাছাকাছি এসেছিলাম তখন অনেকটাই সন্ধ্যা হয়ে গেছে এবং লোকজন ধীরে ধীরে কমতে শুরু করেছিল। তাই টয় ট্রেন ঐ দিনের মতো বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। আমি ইয়ানকে ট্রেনের উপর বসিয়ে ওর মনের খায়েশ মিটিয়ে ছিলাম।
টয় ট্রেনের পাশেই ছিল রকেট রাইডার। ইয়ান সেখানেও ওঠার জন্য বেশ জেদ করতে শুরু করলো। কি আর করা আমি তাকে রকেট রাইডারে উঠিয়ে দিলাম ।
আমি নিজেও রকেট রায়ডারের সামনে একটি সেলফি তুলে নিলাম তবে ছবিটি ভীষণ বাজে এসেছে 😄
আমরা ওখান থেকে বেরিয়ে একটু সামনে আসতেই লাভ আকৃতির একটি জায়গা দেখতে পেলাম এবং সেখানেই দাঁড়িয়ে বেশ কিছু ছবি তোলার সিদ্ধান্ত নিলাম।
লাভ আকৃতির জায়গাটাতে দাঁড়িয়ে আমার হোম ম্যানেজার এবং ছেলে বেশ কিছু ছবি তুলেছিল। জায়গাটা কিন্তু সত্যিই বেশ চমৎকার।
আমার হোম ম্যানেজার একটি চমৎকার বাগানের সামনে বসে বেশ কিছু ছবি তুলেছিল সত্যিই জায়গাটা ভীষণ সুন্দর এবং ফুলের সমারোহ মনোমুগ্ধকর পরিবেশ তৈরি করেছিল।
দুপুর থেকে সন্ধ্যা অবধি পুরো পার্কটি ভ্রমণ করে আমরা বেশ ক্লান্ত এবং পার্ক বন্ধ হয়ে যাচ্ছিল। তাই আমরা ধীরে ধীরে প্রধান ফটকের কাছাকাছি চলে এলাম এবং বাসায় যাওয়ার প্রস্তুতি নিলাম। এটা গ্রিন অরণ্য পার্ক থেকে বের হওয়ার সময় রাতের ফটোগ্রাফি।
এই ছিল আমার আজকের আয়োজন আশা করি। আমার ভ্রমণ পোস্টটি আপনাদের ভালো লেগেছে যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই মন্তব্যের মাধ্যমে জানাবেন সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
দারুণ তো ভাইয়া গ্রীন অরন্য পার্ক টা। তার চেয়ে আরও সুন্দর লাগছে পরিবার নিয়ে ঘুরতে যাওয়াতে। আর আপনার বাসার সামনে হওয়াতে যেতেও মনে হয় বেশি সময় লাগেনি।তবে এমন জায়গা গুলো ঘুরতে গেলে সকাল সকাল যাওয়ায় ভালো। কারণ অনেকটা সময় আনন্দের সাথে উপভোগ করা যায়। যাইহোক আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখেই বুঝতে পারছি কতোটা আনন্দ করেছেন পরিবার নিয়ে। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাইয়া।
আমি ইদানিং সময় পেলেই পরিবার নিয়ে ঘুরতে চলে যাই। আমাদের এদিকে বেশ কয়েকটি ভালো বিনোদন কেন্দ্র রয়েছে। যাইহোক আমার পোস্টটি দেখে চমৎকার মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ জানাই আপু।
গ্রীন অরন্য পার্ক ভ্রমন নিয়ে বেশ কিছু পর্ব দেখা হয়ে গেলো। চমৎকার একটি পার্ক নামটি যেমন সুন্দর তেমনি ভিতরে দৃশ্য গুলো ও সুন্দর। পরিবার নিয়ে ভ্রমন করার মজাই আলাদা। শত ব্যাস্ততার মাঝে আপনি আপনার পরিবার নিয়ে পার্কে গিয়ে বেশ ইনজয় করেছেন। আপনাদের সবাইকে দেখতে পেয়ে খুশি হলাম। পার্কটি আমার কাছে ভালো লেগেছে কখনো সময় পেলে অবশ্যই যাবো ইনশাআল্লাহ। সবার জন্য শুভ কামনা রইলো ভালো থাকবেন।
আপনি শত ব্যস্ততার মাঝেও পরিবার নিয়ে গ্রীন অরন্য পার্কে ভ্রমন করেছেন দেখে খুবই ভালো লাগলো। মাঝেমধ্যে পরিবার নিয়ে এই ধরনের পরিবেশে গেলে খুবই ভালো লাগে। আপনার বাসা ভালুকায় তার জন্য গ্রীন অরণ্য পার্কে যেতে সহজ হয়েছে । গ্রীন অরণ্য পার্ক নাম যেমন সুন্দর দেখতেও তেমন সুন্দর লেগেছে। ইয়ান রাইটগুলোতে অনেক আনন্দ করেছে এই বিষয়টি আমার সব চাইতে বেশি ভালো লেগেছে। চমৎকার একটি ভ্রমণ পোস্ট আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল।
এই পার্কে দুপুরে না গিয়ে সকালের দিকে গেলেই ভালো হতো ভাই। তাহলে হয়তো আরো অনেকটা সময় ধরে ঘুরাঘুরি করতে পারতেন। যাইহোক, তারপরও যে পরিবারের সবাই মিলে গ্রীন অরন্য পার্কে সুন্দর সময় কাটিয়েছেন, সেটা জেনে অনেক ভালো লাগলো।
আপনার বাচ্চাটা যদি এই রাইড গুলোয় চড়তে পারতো, তাহলে হয়ত আরেকটু বেশি খুশি হত সে।
আসলে সেদিন সকালে যাওয়ার প্লেন ছিল কিন্তু হঠাৎ আমার কাজ পরাতে আর যেতে পারলাম না। এরপর দুপুরের দিকে যেতে পারলাম।
ধন্যবাদ ভাই পোস্ট পড়ে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
আচ্ছা ভাই, বুঝলাম ব্যাপারটা।
আপনাদের এই পার্ক ভ্রমণের কয়েকটা পর্ব আমার দেখা হয়েছে। আজকে শেষ পর্ব শেয়ার করেছেন। পার্কের সৌন্দর্যটা আসলেই মনমুগ্ধকর। আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। পার্কের প্রধান ফটকের ফটোগ্রাফি টা অসাধারণ হয়েছে। বাকি ফটোগ্রাফি গুলোও ভালো লেগেছে। মুহূর্তগুলো শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক ধন্যবাদ আপু মন্তব্যের জন্য।
সত্যিই পার্কটি অনেক সুন্দর। আমরা বেশ দারুন সময় কাটিয়েছি।
ঠিক বলেছেন ভাইয়া, পার্কে দুপুরে না গিয়ে, সকালে গেলেই মনে হয় পুরো দিনটা খুব সুন্দর ভাবে ঘুরতে পারতেন। পার্কটি দেখছি খুবই সুন্দর। তবে ইয়ান কিন্তু ট্রেনে চড়তে না পারলেও দেখছি বেশ আনন্দ করেছে। রকেট রাইটটাও দেখছি খুবই সুন্দর। আসলে বাচ্চারা এগুলো খুবই এনজয় করে। পার্কের পরিবেশটাও দেখছি খুবই অসাধারণ। এই ধরনের পার্কে আসলে বাচ্চারাই সবথেকে বেশি খুশি হয়। অনেক ভালো লাগলো আপনাদের এত সুন্দর সময় দেখে।
আসলে চেষ্টা করেছিলাম আপু ওখানে সকালের দিকে যাওয়ার কিন্তু কাজের চাপে পারলাম না।। যাইহোক তবুও যতটুকু সম্ভব উপভোগ করেছি।