বাঙালি রেসিপি: ঢেঁড়স এবং আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্না। || Bengali food Recipe.
ঢেঁড়স এবং আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ রান্না |
---|
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। আসলে আমার এখানে সেলারি প্রিওড চলছে, আমি যেহেতু ব্যাংক মেশিনারিজ নিয়ে কাজ করছি তাই ভীষণ ব্যাস্ত সময় পার করছি। একদম সকাল থেকে শুরু করে রাত দশটা পর্যন্ত টানা কাজ করতে হচ্ছে। যাইহোক এই হলো আমার অবস্থা যা সংক্ষেপে তুলে ধরলাম।
এবার আসি কাজের কথায়, আজ চিন্তা করলাম একটি রেসিপি পোষ্ট উপহার দেবো, তবে বেশ কিছু দিন বাসার বাইরে থাকায় তেমন কোন রেসিপি তৈরি করার সুযোগ নেই। এরপর হঠাৎ মনে পড়লো বাসায় থাকা কালীন একটি রেসিপি গুছিয়ে রেখেছিলাম পোস্ট করার জন্য। তাই তড়িঘড়ি করে পোস্টটি গুছিয়ে নিলাম। আসলে ঢেঁড়স সবজিটি অত্যন্ত পুষ্টিকর এবং খেতেও দারুন লাগে, হঠাৎ ঢেঁড়স দিয়ে মাছের মাখা মাখা ঝোল খেতে ইচ্ছে করছিলো তাই রেসিপিটি তৈরি করা হয়েছিল। তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের রেসিপি।
তেলাপিয়া মাছ | চার টুকরো | ঢেড়স | ৩০০ গ্রাম |
---|---|---|---|
আলু | ২০০ গ্রাম | পেঁয়াজ কুচি | এক কাপ |
হলুদ গুঁড়া | এক চামচ | মরিচ গুঁড়া | এক চামচ |
রসুন বাটা | এক চামচ | লবণ | স্বাদমতো |
সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো | মনের মাধুরি | ভরপুর |
প্রথমেই ঢেঁড়স এবং আলু প্রয়োজনীয় মাপের করে কেটে টুকরো করে নিলাম। এরপর চালনিতে নিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম। এরপর মাছের টুকরোগুলো ফ্রিজ থেকে বের করে ভালোভাবে ধুয়ে নিলাম এবং একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার মাছগুলো ভেজে নেয়ার আগে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে মাখিয়ে নিলাম।
এই ধাপে একটি কড়াইয়ে তেল দিয়ে দিলাম এবং তেল গরম হলে মাছের টুকরোগুলো ছেড়ে দিলাম। দুই পাশ ভালোভাবে ভাজা হলে মাছগুলো একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার একটি পাতিল চুলায় চাপিয়ে দিয়ে তাতে পরিমাণ মতো সোয়াবিন তেল ঢেলে দিলাম। তেল গরম হলে পেঁয়াজ কুচি দিয়ে বাদামী রঙের করে ভেজে নিলাম। এবার একে একে হলুদ গুঁড়া, মরিচ গুঁড়া, রসুন বাটা এবং লবণ দিয়ে একসাথে কষিয়ে নিলাম।
এবার আলু এবং ঢেড়স দিয়ে ভালো করে মসলার সাথে কষিয়ে নিলাম।
এই ধাপে পরিমান মতো ঝোল দিয়ে দিলাম এবং ভাজা মাছের টুকরোগুলো দিয়ে দিলাম।
এবার তরকারিটা চুলায় বিশ থেকে পঁচিশ মিনিট রান্না করলাম এবং ঝোলটা অনেকটাই মাখা মাখা হয়ে এলে চুলা বন্ধ করে দিলাম। আমাদের তরকারি রান্না হয়ে গেছে এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
স্বাদের বিবরণ দিতে গেলে বলতে হয় এটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু, আর পুষ্টিকর খাবার বটে। বিশেষ করে ঢেঁড়স বেশ পিচ্ছিল থাকায় বাচ্চাদের খাওয়াতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। সবমিলিয়ে বেশ ভালোই লেগেছে খেতে।।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | উত্তরখান, ঢাকা, বাংলাদেশ |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
এই রেসিপিটা আমার খুবই ফেভারিট। আর এরকম মজাদার রেসিপি দেখলে দুপুরবেলায় অনেক বেশি লোভ লেগে যায়। আমার তো ইচ্ছে করছে এখনই খেয়ে ফেলতে এই মজাদার রেসিপি টা। খিদে পেয়ে গিয়েছে মজাদার রেসিপি টা দেখে। এটা নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হয়েছিল আর আপনারা সবাই খুব মজা করে খেয়েছিলেন। পুরো রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1712532856755597656?t=yNmY8pBquCnSV878ATZ-Ow&s=19
আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আসলে ভাইয়া ঢেঁড়স অনেক খেয়েছি তবে এভাবে মাছ দিয়ে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপির কালারটা দারুণ এসেছে। প্রতিটি ধাপ অনেক সুন্দর করে দেখিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেকেই ঢেড়স মাছ দিয়ে খায়নি তাই চিন্তা করলাম এই রেসিপি উপস্থাপন করি। আশাকরি একদিন খেয়ে দেখবেন, খেতে কিন্তু দারুন লাগে।
বাঙালি রেসিপি নিয়ে আপনি হাজির হয়েছেন। বরাবরের মতোই ঢেড়স আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছ এটা আমারও খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে পরিবেশনা করেছেন এবং দেখে মনে হচ্ছে বেশ সুস্বাদু হয়েছে। ঢেড়স ভাজি আলাদা খেতেও ভাল লাগে কিন্তু সম্পূর্ণ মিক্সড করে রান্না করেছেন তো ভালো লাগলো।
আপনার ঢেঁড়স আর তেলাপিয়া মাছের রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। আপনর রেসিপি দেখে বুঝা যাচ্ছে রান্নাটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে। তেলাপিয়া মাছ আমার অনেক পছন্দের। আপনি রেসিপির প্রতিটা ধাপ সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই আমার রেসিপি দেখে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
ঢেঁড়স এবং আলু দিয়ে তেলাপিয়া মাছের রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই। এই খাবারটি খেতে দারুন এক কথায়।
ঢেঁড়স আমার কাছে খেতে খুবই ভালো লাগে, কিন্তু কখনো মাছের সঙ্গে রান্না করা হয়নি। আসলে আমার মনে থাকে না। আপনার আজকের তেলাপিয়া দিয়ে ঢেঁড়সের রেসিপিটি দেখে মনে পড়লো। বাসায় একদিন রান্না করে খেতে হবে। রেসিপিটি যে বেশ সুস্বাদু হয়েছিল তা আপনার রান্নার পদ্ধতি এবং কালার দেখেই বোঝা যাচ্ছে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্যের জন্য।
একদিন এভাবে ঢেঁড়স মাছ দিয়ে রান্না করে খেয়ে দেখবেন আশাকরি ভালো লাগবে।
ঢেঁড়স সবজিটা আসলেই অনেক বেশি পুষ্টিকর। ঢেঁড়স খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। আপনি আজকে অনেক মজাদার এবং লোভনীয় একটা রেসিপি তৈরি করেছেন, যেটা দেখেই বুঝতে পারছি অনেক বেশি সুস্বাদু হয়েছিল। আপনি এই রেসিপিটা তৈরি করার পদ্ধতি এত সুন্দর করে আমাদের মজা করে নিয়েছেন দেখে জাস্ট অসাধারণ লেগেছে।
ঢেঁড়স আমার অনেক পছন্দের একটা সবজি। তেলাপিয়া মাছটা রান্না করার আগে বেশ সুন্দর করে ভেজে নিয়েছেন দেখছি। আলু এবং ঢেঁড়স দিয়ে তেলাপিয়া মাছের রেসিপি টা বেশ দারুণ তৈরি করেছেন ভাই। রেসিপি টা দেখে বেশ লোভনীয় লাগছে। এবং দারুণ উপস্থাপন করেছেন রেসিপি টা। ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে রেসিপি টা শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।