একটি বর্ষন মুখর দিনের অনুভূতি। || A rainy day feel ....
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
গতকাল রাত থেকেই বেশ ভারী বর্ষণ হচ্ছে, সকাল থেকেই আজ কাজের বেশ চাপ ছিল। আমার পোস্ট যারা নিয়মিত পড়েন তারা জানেন আমি একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে কাজ করছি। সকাল বেলায় বৃষ্টি মাথায় নিয়েই কাজ শুরু করলাম। আমাকে ব্যাংকের বিভিন্ন মেশিনে সমস্যায় ছুটে বেড়াতে হয় দূর দূরান্তে। কাজের চাপে কখন সকাল গড়িয়ে দুপুর হয়েছে বুঝতেই পারিনি। হঠাৎ করেই কিছুটা সময় পেলাম, না দুপুরে খাবার খাওয়ার কোন সুযোগ ছিল না। কারনটা হলো যেখান কাজ করছিলাম তার আশেপাশে তেমন খাবারের হোটেল ছিল না।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
হঠাৎ ভীষণ খারাপ লাগছিলো, তাই চা খেতে ইচ্ছে করছিল।চা খাওয়া কেমন যেন ইদানিং নেশায় পরিনত হয়েছে। ব্যাংকের পাশেই ছোট্ট একটি চায়ের দোকান দেখতে পেলাম। বৃষ্টির মাঝে বেশ মানুষের জটলা ছিল। দোকানদার কেমন যেন বুঝতে পারলো আমি অস্বস্তি বোধ করছি। তিনি আমাকে দোকানের পেছনে চমৎকার একটি জায়গা দেখিয়ে দিলেন। জায়গাটা নদীর ধার ঘেঁষে, আমি তো অবাক চমৎকার জায়গাটা দেখে। দ্রুত এক কাপ কফি এবং কেক অর্ডার দিলাম।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যে জায়গায় বসলাম এখান থেকে ছোট্ট শাখা নদী স্পষ্ট দেখা যাচ্ছিল, নদী আর নৌকা আমার বরাবরই ভীষণ ভালো লাগে। নদীর ধারে বসে ধোঁয়া ওঠা কফিতে চুমুক দিচ্ছিলাম আর বৃষ্টি দেখছিলাম। বেশ ভালো লাগছিলো পুরো পরিবেশটা, সত্যি বলতে অল্প সময়ের জন্য কোথায় যেন হারিয়ে যাচ্ছিলাম বারবার। নদী এই বৃষ্টির কারণে আজ তার যৌবন ফিরে পেয়েছে, তার চারপাশটা কত সুন্দর আর প্রান প্রাচুর্যে ভরে গেছে। একটা সময় হয়তো আবার শুকিয়ে মরা নদী হয়ে যাবে, কেউ তখন আর তার এই বর্ষাকালীন সুন্দর রুপ মনে রাখবে না। আমাদের জীবনটাও অনেকটা এমন আপনি যতদিন মানুষের জন্য নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারবেন ঠিক ততদিন মানুষ আমাদের মনে রাখে, এরপর সেই মরা নদীর মতো অবস্থা হয়ে যায়।
যাক আকাশ পাতাল চিন্তা করতে করতে হঠাৎ একটা ফোন এলো অফিস থেকে, ছুটে যেতে হবে ব্যাংকের অন্য একটি শাখায় যেখানে আমার মেশিন খারাপ হয়ে পরে রয়েছে। কি আর করা দ্রুত চমৎকার জায়গাটা ছেড়ে উঠতে হলো। দোকানদারকে ধন্যবাদ দিলাম আর কফির দাম মিটিয়ে বৃষ্টি মাথায় নিয়ে ছুটলাম ইসলামী ব্যাংকের উদ্দেশ্যে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
রাত ৮.৩০ মিঃ কাজ সারতে সারতে কখন যে এতো বেজে গেছে খেয়াল করিনি। এদিকে অঝোর ধারায় বৃষ্টি পড়ছেই। ভীষণ দুশ্চিন্তায় ছিলাম বাসায় কিভাবে ফিরবো, এদিকে নয়টায় আবার হ্যাংআউট রয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
ইসলামী ব্যাংকের কাস্টোডিয়ান মিজান ভাই বললেন আপনি আমাদের গাড়িতে চলুন আপনাকে বাসার সামনে নামিয়ে দেবো। মনে মনে সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ দিলাম কারন এতো বৃষ্টির মধ্যে বাসায় ফিরতে গেলে ভিজে আমার অবস্থা খারাপ হয়ে যেতো। অবশেষে বাসার গেটের সামনে পৌঁছালাম, আর মিজান ভাইকে ধন্যবাদ জানালাম। দ্রুত বাসায় ঢুকেই ফ্রেস হয়ে বসলাম হ্যাংআউট শুনতে।
হাজার হোক ফ্যামেলি প্রোগ্রাম বলে কথা 🤗
.gif)
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
আরে ভাই আমরা যারা কর্মজীবী মানুষ তাদের কাজের জন্য অনেক জায়গায় ছোটা ছুটি করতে হয়। আর এক একজনের কাজের ধরন একেক রকম। আপনি হচ্ছেন মেশিন ইঞ্জিনিয়ার। তাই আপনাকে কাজের জন্য এক জায়গা থেকে আরেক জায়গায় দৌড়াতে হয়। আর এত ছোটাছুটি পরও যে, আপনি এক কাপ চা খেতে পেরেছেন সেটা শুনেই ভালো লাগলো। তবে ভাইয়া আপনার বৃষ্টির সাথে গরম গরম চা খাওয়ার পরিবেশটা কিন্তু আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। এবং আরো ভালো লেগেছে সর্বশেষ কাজের পরে এত বৃষ্টির মধ্যেও আপনার বাড়ি ফেরার জন্য আল্লাহ সুন্দর একটা পথের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। এবং সর্বোপরি হ্যাংআউটে জয়েন করতে পেরেছে। ধন্যবাদ ভাই আপনাকে।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1709984594563563829?t=2DssfpPfl5Hi3RC8LOMrFA&s=19
Heres a free vote on behalf of @se-witness.
হ্যাঁ কয়েকদিন ধরেই প্রচুর পরিমাণে বৃষ্টি হচ্ছে আর বৃষ্টির দিনে চা ভালো লাগবে এটা স্বাভাবিক। তবে রাতের বেলায় বাসায় ফিরতে অনেক দেরি হয়েছিল আর ওই ভাই আপনাকে হেল্প করেছিল বলে ভালোভাবে বাসায় পৌঁছাতে পেরেছেন । যাই হোক পরবর্তীতে আবার হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করেছিলেন, আসলেই এটা আমাদের ফ্যামিলি প্রোগ্রাম।
জি ভাই উনি হেল্প না করলে সত্যিই কষ্টকর হতো বাসায় ফিরতে। ধন্যবাদ আপনাকে মন্তব্যের জন্য।
পুরো দিনটা বেশ ছোটাছুটি করেছিলেন দেখছি। আসলে অনেক সময় আমাদেরকে প্রত্যেকটা কাজে এদিক সেদিক ছোটাছুটি করতে হয়। বৃষ্টির সময় চা খেতে কিন্তু অনেক বেশি ভালো লাগে। ওই ভাইয়াটা আপনাকে আপনাদের বাসার সামনে নামিয়ে দিয়েছিল, যার কারণে আপনি তাড়াতাড়ি আসতে পেরেছিলেন এই বৃষ্টির মধ্যে। এত কিছুর পরেও ঠিক সময়ে হ্যাংআউটে উপস্থিত হয়েছিলেন। এটা কিন্তু সত্যি বলেছেন এটা আমাদের ফ্যামিলি প্রোগ্রাম, আর এতে তো উপস্থিত হতে হবেই।
ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে গতকাল ঐ ভাই হেল্প না করলে অনেক রাত হয়ে যেতো বাসায় পৌঁছাতে।
এরকম একটা পরিবেশে যদি কফি খাওয়া যায় তখন তো অনেক বেশি ভালো লাগবে। পরিবেশটা উপভোগ করতে করতে বেশ ভালোভাবেই কফি খাওয়া হয়েছিল দেখে বুঝতে পারছি। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বেশ ছোটাছুটি করেছিলেন। ঠিক সময়ে হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করতে পেরেছিলেন, এটা জেনে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লেগেছে।
ধন্যবাদ ভাই।
আসলে বৃষ্টির মধ্যে গতকাল খুব খারাপ অবস্থায় পরেছিলাম। যাইহোক শেষ পর্যন্ত হ্যাংআউটে অংশগ্রহণ করতে পারলাম এটাই বড় ব্যাপার।
শেষটা ভালো ছিল যে ইসলামি ব্যাংকের মিজান ভাই আপনাকে গাড়িতে করে পৌছে দিয়েছে। না হলে ঐ রাতে বৃষ্টিতে বেশ ঝামেলায় পড়ে যেতেন বাড়ি ফিরতে। আর সত্যি যাদের এখানে ওখানে ছুটে যেতে হয় আপনার মতো তাদের এইরকম বৃষ্টি হলে কিন্তু বেশ অসুবিধা হয় ভাই। আপনার শেয়ার করা নদীর ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার ছিল ভাই।
এতো কাজের চাপের মাঝে এমন একটা নির্মল পরিবেশ সাথে এক কাপ চা হলে শরীরের টায়ার্ডনেস কিছুটা হলেও কমে যাবে! তবে আপনি যে এতো ব্যস্ততার পরে হ্যাংআউট এ জয়েন দিয়েছেন সেটা জেনে খুব ভালো লাগল। বুঝায় যাচ্ছে ভাইয়া আপনার সময়গুলো বেশ ব্যস্ততার মাঝেই যাচ্ছে।