একদিন জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালায় আমি (শেষ পর্ব)। One day I was in the Zainul Abedin Museum.
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন।
গত কিছুদিন আগে আমি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরে বেড়ানোর চেষ্টা করেছি, আর সেই সময়টাতে শিল্পী জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালায় গিয়েছিলাম। জায়গাটাতে ঘুরে শিল্পীর প্রতি একটা আলাদা ভালো লাগা তৈরি হয়। ইতিমধ্যে আমি কয়েকটি পর্বের মাধ্যমে পুরো জায়গাটার বিস্তারিত বর্ননা করার চেষ্টা করেছি। তবে একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম সবাই আমার পর্বগুলো বেশ পছন্দ করেছেন। আজ শেষ পর্ব নিয়ে হাজির হলাম আশাকরি আপনাদের ভালো লাগবে। আজকের পর্বে শিল্পীর একদমই ব্যাক্তিগত কিছু জিনিসপত্র দেখাবো। এগুলো খুব সতর্কতার সাথে দুটো রুমে সিসিটিভি ক্যামেরা এবং দুজন নিরাপত্তা কর্মী দিয়ে সারাক্ষণ পাহারা দেয়া হচ্ছে।
আমি ভেতরে প্রবেশ করার সময় সামনে বড় একটা সাইনবোর্ড দেখতে পাই যেখানে স্পষ্ট লিখা ছবি তোলা নিষেধ। আমি অনেকটা দেখেও না দেখার ভান করে ভেতরে প্রবেশ করলাম। 😄 কারন আমার টার্গেট হলো কয়েকটি ছবি অন্তত আমি তুলবো যেভাবেই হোক, যাতে আপনাদের অন্তত দেখাতে পারি।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
ভেতরে প্রবেশ করে প্রথমেই শিল্পীর নিজের আঁকা ছবিগুলো দেখে মনটা ভরে গেল। আসল উনার ছবিগুলো দেখলে বোঝা যায় তিনি বাস্তবতার কতটুকু কাছাকাছি ছিলেন এবং দারিদ্র্যতা আর মানুষের কষ্টগুলো কতটুকু উপলব্ধি করতেন। তিনি অসংখ্য ছবি এঁকেছেন দুর্ভিক্ষের পটভূমি নিয়ে এবং মানুষের বাস্তবচিত্র ফুটিয়ে তুলেছেন। সত্যিই ভেতরটা বারবার কেঁপে উঠছিল ছবিগুলো দেখে। আমি অনেক চেষ্টা করেও আপনাদের শিল্পীর আঁকা সবগুলো ছবি দেখাতে পারিনি। যতটুকু কষ্ট করে সংগ্রহ করতে পেরেছি এতটুকু দেয়ার চেষ্টা করলাম।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
দুই পাশে শিল্পীর আঁকা ছবিগুলো সাজানো আর মাঝ বরাবর শিল্পীর ব্যাবহৃত বিভিন্ন জিনিস সাজানো রয়েছে টেবিলের উপর। যা দেখে আমার বারবার মনে হচ্ছিল যেন আমি যেন ঠিক শিল্পীর পাশেই দাঁড়িয়ে আছি, সত্যি বলতে আমি শিল্পীকে অনুভব করছিলাম। তার ছবি আঁকার সরঞ্জামগুলো একটু হাত বুলিয়ে দেখতে ইচ্ছে করছিলো। কিন্তু গ্লাস দিয়ে ঢাকা ছিল।
ছবির অবস্থান :- ময়মনসিংহ সদর, বাংলাদেশ।
এখানে শিল্পীর পরিধেয় বিভিন্ন কাপড় ছিল, যা দেখে সত্যিই আমি আবেগ আপ্লুত হয়ে পরি। একটা সময় মানুষটি এই কাপড়গুলো পরে দাঁড়িয়ে ছিলেন কিন্তু আজ অতীত হয়ে গেছেন, তবে তিনি সৌভাগ্যবান তার কীর্তিগুলো অমর হয়ে বেঁচে রয়েছে কোটি মানুষের হৃদয়ে।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1760720149768982752?t=g5uiyF2wf0hxxOfMK3YnMQ&s=19
জয়নুল আবেদীন সংগ্রহশালায় শেষ পর্ব আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপনা করেছেন এবং সমাপ্ত করেছেন। আমি আপনার আগের পর্ব গুলো পড়েছি।
এখানে শিল্পীর পরিধেয় বিভিন্ন কাপড় ছিল যা দেখে সত্যিই আমি অবাক হয়ে গিয়েছি। অনেক গুরুত্বপূর্ণ বিষয় আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই ভালো থাকবেন।