ইলমার কান ফোঁড়ানো হয়েছে।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। গত সপ্তাহে আমার বাবা-মা, ভাই, বোন সবাই আমাদের বাসায় বেড়াতে এসেছিল। আর সেই সময়টাতেই ইলমার জন্য তারা কানের একজোড়া স্বর্নের দুল তৈরি করে এনেছিল। এখনকার সময়ে স্বর্ণের অলংকার বেশ দামী হয়ে গেছে, যাইহোক আব্বা আম্মার অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ইলমাকে স্বর্ণের জিনিস তৈরি করে দেবে। ইলমা স্বর্ণের দুল দেখে রীতিমত আনন্দে আত্মহারা, আর আনন্দ হবে না কেন বলুন, দুল জোড়া দেখতে অসম্ভব সুন্দর এবং ডিজাইনটা একদমই নতুন।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যখন থেকে ইলমা উপহার হাতে পেয়েছে তখন থেকেই সে বেশ অস্থির কখন তার কান ফোড়ানো হবে এবং কিভাবে তার কান ফোঁড়ানো হবে 😄 আমাকে বারবার বিভিন্ন প্রশ্ন করে শুধু বিরক্ত করতে থাকে। যাইহোক সপ্তাহ খানেক থেকে আমি ভীষন ব্যস্ত সময় পার করছি। ইলমা মাঝে মাঝে আমাকে মনে করিয়ে দিলেও আমি সময় সুযোগের অভাবে অভাবে তার কান ফোঁড়াতে নিয়ে যেতে পারছিলাম না। অবশেষে আজকে অফিসের কাজ শেষ করে ওদের নিয়ে ভালুকার একটি পার্লারে চলে গেলাম কান ফোঁড়ানোর জন্য।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
পার্লারটি দেখতে ভীষণ সুন্দর তবে সেখানে পুরুষ প্রবেশের কোন অনুমতি নেই। প্রথমে আমার স্ত্রী ইলমা এবং ইয়ান ওরা ভেতরে প্রবেশ করে প্রয়োজনীয় কথাবার্তা সেরে নিল। এরপর ইলমাকে যখন কান ফোঁড়ানোর জন্য কানে দাগ দেওয়া হল, ঠিক তখনই বিপত্তি ঘটলো। ইলমা ভয় পেতে শুরু করলো এবং আমাকে ভেতর থেকে ডাকতে শুরু করল। সে আমাকে ছাড়া কিছুতেই কান ফোঁড়াবে না। কি আর করা অবশেষে পার্লারের দায়িত্বে যারা ছিলেন তারা আমাকে ভেতরে প্রবেশ করার অনুমতি দিলেন। আমি তো অবাক পার্লারের ভেতরটা বেশ গোছালো এবং সুন্দর দেখাচ্ছে। চতুর্দিকে বিভিন্ন আয়না এবং ডেকোরেশন দিয়ে মোটামুটি একটা চমৎকার পরিবেশ তৈরি করা হয়েছে।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
যাই হোক অবশেষে তার কান পোড়ানোর কাজ শুরু করা হলো। তারা বেশ যত্ন সহকারে ব্যথা নাশক স্প্রে করল এবং দুই কান ছিদ্র করে দিল। কান ছিদ্র করার সাথে সাথেই তাদের একজোড়া কৃত্রিম দুল কানে পড়িয়ে দিয়েছে। এগুলো দেখতেও কিন্তু বেশ সুন্দর।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
তারা কান ছিদ্র করার পর বলে দিয়েছে, আপাতত আজকে রাতে একটি ব্যথা নাশক ওষুধ খাওয়ার জন্য এবং এলার্জি জাতীয় খাবার পরিহার করার জন্য। আর আপাতত তাদের দেওয়া ইমিটেশনের দুল ৩ দিন কানে পড়ানো থাকবে। এরপর ইলমার পাওয়া উপহারের দুলগুলো সে পরতে পারবে। যাইহোক সবাই ইলমার জন্য দোয়া করবেন সে যেন সুস্থ থাকতে পারে। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মত এখানেই বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
আমি একদিন ছোট একটা বাচ্চার কান ফোড়াতে দেখেছিলাম। তখন তো আর এমন আধুনিক ব্যবস্থা ছিল না। সুচ দিয়ে কানা করছিল গ্রাম্য পর্যায়ে। সম্ভবত সেটা গরম করে হতে পারে। বাচ্চাটা সে কি কান্না করছিল। তখন আমি মনে মনে ভেবেছিলাম ভাগ্য ভালো ছেলে মানুষ হয়েছি। একদম পুরনো দিনের শেষ স্মৃতি মনে ভেসে উঠল আপনার আজকের এই পোস্ট দেখে।
ইলমার কান ফোঁড়ানো হয়েছে দেখে আমারও অনেক আনন্দ লাগছে। সব চাইতে বেশি ভালো লাগছে একজোড়া স্বর্নের দুল দেখে। ইলমার কানে এই দুলটি খুব সুন্দর মানাবে। আঙ্কেল আন্টির হয়তো অনেক দিনের ইচ্ছা ছিল ইলমাকে স্বর্ণের জিনিস তৈরি করে দেবে। আশাকরি ইলমার কানে এই দুলটি খুব সুন্দর মানাবে। আপনার পরিবারের জন্য শুভকামনা রইল ভালো থাকবেন ভাই।
বাহ সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করলেন ভাইয়া। ছোট বেলায় কান ফোঁড়ানো আর নাক ফোঁড়ানোর কথা মনে পড়ে গেল। তখন বেশ উত্তেজিত থাকতাম কখন কান ফোঁড়াবো। কখন যে কান ফোঁড়ায়ে কানের দুল দেব সেই আনন্দটুকু এখনো মনে আছে। এখন তাদের বয়স অর্থাৎ আমাদের মেয়েদের বয়স কান ফোঁড়ানোর। গত বছর আমিও আমার মেয়ের কান ফোঁড়ায় দিলাম এবং সাথে কানের দুল নিয়ে দিলাম। সত্যি কথা বলতে স্বর্ণের ধারে কাছেও যাওয়া যায় না এত দাম বেশি। মেয়েকে তো কান ফোঁড়ানোর পরেই মাশাআল্লাহ বেশ ভালোই দেখাচ্ছে। বাঙ্গালী নারীদের বাঙালি মেয়েদেরকে কানের দুল আর নাকের ফুলে বেশ ভালো মানায়।
প্রথমেই ইলমা মামুনীর জন্য অনেক দোয়া রইল। তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠবে ইনশাআল্লাহ। বর্তমান সময়ে সব কিছু ডিজিটাল। আগে সুঁই সুতা দিয়ে কান ফোঁড়ানো হতো। এখন বেশ সুন্দর করে কান ফোঁড়ানো হয় দেখছি। ইলমার কান ফোঁড়ানো হয়েছে দেখে ভালো লাগলো। সব থেকে বেশি ভালো লাগলো। দাদা দাদীর কাছে থেকে ইলমা স্বর্ণের দুল পেয়েছে জেনে খুশি হলাম। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইলো ভালো থাকবেন সবসময় এই কামনাই করি।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1783549265798918528?t=mn3ozEimIKxjLTC1u5lN_A&s=19
বাহ! মাশাল্লাহ ভাই। কান ফোড়ানোর পর ইলমা কে বেশ সুন্দর লাগছে 😍 আপনার মেয়ে তো খুব সাহসীই বলা চলে৷ আমার নাক ফোড়ানোর সময় তো আমার চোখ দিয়ে অটো জল বেড়িয়ে গিয়েছিলো ব্যাথায় বা ভয়ে!! সে তুলনায় আপনার মেয়ে তো বেশ স্ট্রং ই ছিলো মনে হচ্ছে! অবশ্য তার সুপারম্যান বাবা পাশে ছিলো, সেকারণেও হয়তো সাহস পেয়েছে। আর দাদা-দাদীর থেকে পাওয়া দুল জোড়াও ভীষণ সুন্দর হয়েছে। মেয়ে যেন বারবার হাত না দেয় কানে আপাতত সেটুকু খেয়াল রাখবেন। বারবার হাত দিলে পেঁকে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। শুভকামনা রইলো।
ধন্যবাদ আপু।
প্রথমে সে বেশ ভয় পেয়েছিল কিন্তু পরে আমি যখন এলাম তখন আর তেমন ঝামেলা করেনি 😄
যাইহোক রাতে বেশ ব্যাথা করছে বলছিলো, তখন নাপা খাওয়ানো হয়েছে। দোয়া করবেন ও যেন ভালো থাকে।
আপনার পরিবার ভালো থাকুক এই কামনা করছি।
আসলে আগে দেখতাম গ্ৰাম অঞ্চলের বাচ্চাদের কান নানি দাদিরা সুঁই সুতা দিয়ে ফোঁড়িয়ে দিতো। এখন সময়ের সাথে চমৎকার কান ফোড়ানো পদ্ধতি বেড় হয়েছে দেখছি। তবে ইলমা মামুনির কান ফোড়ানো দেখে ভীষণ ভালো লাগলো। দোয়া রইলো যেনো দ্রুত সুস্থ হয়ে উঠতে পারে। ধন্যবাদ সুন্দর একটি মুহূর্ত আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
দেখতে দেখতে ইলমা অনেক বড় হয়ে গেছে। আসলে মেয়েদের কানের দুল দেখলে আরও বেশি ভালো লাগে। বিশেষ করে সোনার দুল মেয়েরা খুবই পছন্দ করে। আপনার বাবা-মার ইলমার জন্য সোনার দুল বানিয়ে নিয়েছে। যাই হোক ইলমা আর কান ফুটা করা হয়ে গেল, এটা দেখতে ভালো লাগলো।
আপনার পোস্টটি দেখে ছোটবেলার কথা মনে পড়ে গেল। ছোটবেলায় প্রত্যেকটি মেয়েই কান ফুরানোর জন্য ব্যস্ত হয়ে থাকে। কখন কান ফুরাবে সেই কানে ছোট্ট একটি কানের দুল পড়বে সেই মুহূর্তটা অনেক আনন্দের ।
তবে আধুনিক যুগে এসে কান ফুরানোর মেশিন দিয়ে কান ফুরাতে তেমন ঝামেলা পোহাতে হয় না। ইলমা মামনির কানের দুল জোড়া অনেক সুন্দর।দাদা দাদির কাছ থেকে ইলমা কানের দুল উপহার পেয়েছে জেনে অনেক ভালো লাগলো। আপনার পরিবারের জন্য দোয়া রইল ভাই ভালো থাকবেন।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যিই এখনকার সময়ে কান ফোঁড়ানো অনেক সহজ হয়ে গেছে। হ্যা ইলমা দাদা দাদীর কাছ থেকে চমৎকার একটা উপহার পেয়েছে।