শীতের মধ্যে চিতই পিঠা খাওয়ার মূহুর্ত।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। শীতকালে আমরা বিভিন্ন ধরনের পিঠা খেতে পছন্দ করি। আমাদের বাসা বাড়িতে পিঠা পুলি তৈরি করায় সবাই ব্যাস্ত হয়ে পরে। আমাদের বাসায় এখনো তেমন আয়োজন করা হয়নি কারন ইলমার পরীক্ষার কারনে ওরা বেশ কিছুদিন ঢাকায় ছিল। যাইহোক পিঠা খাওয়া তো আর বন্ধ থাকতে পারে না।
সেদিন ডাচ বাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার আমাদের পিঠা খাওয়ার জন্য পাশের একটি পিঠার দোকানে নিয়ে যায়।
![]() | ![]() |
---|
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
সবথেকে মজার ব্যাপার হলো যে পিঠা তৈরি করছে সে এক সময় ডাচ বাংলা ব্যাংকের সিকিউরিটির চাকরি করতো। তবে ছেলেটা বেশ চটপটে এবং স্মার্ট। সে এখানে পিঠা তৈরির অস্থায়ী কাজ নিয়েছে। তার ডিউটি বিকেল চারটা থেকে রাত এগারোটা পর্যন্ত। এই সময় সে যে কয়টা পিঠা তৈরি করতে পারে, মজুরি তিনশ টাকা। সে তার কাজটি বেশ উপভোগ করছে।
যাইহোক ছেলেটার আচার ব্যাবহার বেশ ভালো লেগেছে আমার কাছে। সে আমাদের সাথে কুশল বিনিময় করলো, এরপর এফটি ম্যানেজার আমাদের জন্য পিঠা অর্ডার দিলেন। পিঠার দোকানটির চারপাশে মানুষের জটলা রয়েছে এবং কাস্টোমারের অভাব নেই। সে আমাদের কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতে বললো, আসলে কাকে কখন দেবে সে সেটাই বুঝতে পারছেনা।
ছবির অবস্থান :- ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ।
অবশেষে বিশ মিনিট অপেক্ষা করার পর আমাদের পালা আসে আমরা পাঁচটা পিঠা অর্ডার দিলাম। বেশ কিছু সময় পর পিঠা হাতে পেলাম আর দুই তিন রকম ভর্তার সংমিশ্রণে।
সত্যি বলতে পিঠাগুলো এতটাই সুস্বাদু লেগেছে তা হয়তো বলে শেষ করতে পারবো না। আমরা বেশ কয়েকজন কলিগ মিলে বেশ তৃপ্তি সহকারে পিঠাগুলো খেলাম। যাইহোক আজ আর লিখছি না। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম আজকের মতো।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
https://steemitwallet.com/~witnesses
VOTE @bangla.witness as witness
OR
![witness_vote.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmW8HnxaSZVKBJJ9fRD93ELcrH8wXJ4AMNPhrke3iAj5dX/witness_vote.png)
শীতকালে শীতের পিঠা খেতেও খুব ভালো লাগে।। ডাচবাংলা ব্যাংকের ম্যানেজার আপনাদেরকে পিঠা খাওয়ানোর জন্য দোকানে নিয়ে গেল। তবে আমাদের এইদিকেও পিঠা দোকানে গেলে পিঠাগুলো আসতে একটু দেরি হয়। ২০ মিনিট দেরি হলো আপনারা মজার পিঠাগুলো পেয়েছেন এবং মজা করে খেয়েছেন। দোকানে পরিচিত লোক থাকার কারণে মনে হয় একটু সুবিধা বেশি পেয়েছেন। ২০ মিনিটের মধ্যে পিঠা সামনে চলে আসলো। সুন্দর করে পোস্টটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
Thank you, friend!
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmd7of2TpLGqvckkrReWahnkxMWH6eMg5upXesfsujDCnW/image.png)
![image.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmWDnFh7Kcgj2gdPc5RgG9Cezc4Bapq8sQQJvrkxR8rx5z/image.png)
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
please click it!
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)
The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.
এতো বড় বড় চিতই পিঠা আগে কখুনো খাইনি আমি দেখেই তো লোভ লেগে যাচ্ছে ভাই।খুব সুন্দর ভাবে আপনি উপস্থাপন করেছেন আপনার শিতের পিঠা খাওয়ার মুহুর্ত ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম ৷ বাসায় পিঠা তৈরি না হলেও বাজারে ঠিকই পিঠা পাওয়া যায় ৷ পিঠা খাওয়া থেকে কেউ কাউকে আটকাতে পারবে না কোনো ভাবে শীতের এই দিনে ৷ যাই হোক , আপনি এবং ম্যানেজার দোকান থেকে চিতই পিঠা খাওয়ার সুন্দর সময় কাটিয়েছেন জেনে ভালো লাগলো ৷ বিশেষ করে পিটা তৈরির ছেলেটার ব্যাপারে জেনে অবাক হলাম ৷ চাকরির ফাকে দোকান সামলাচ্ছে বিষয়টা সত্যিই অবাক করার মতো ৷ যাই হোক, ধন্যবাদ আপনাকে আপনার সুন্দর অনুভূতি শেয়ার করার জন্য ৷
শীতকাল মানেই পিঠা উৎসব।
আমরা বিভিন্ন রকম পিঠা তৈরি করার চেষ্টা করি।
যাইহোক সেদিন বেশ উপভোগ করলাম চিতই পিঠা।
আর ছেলেটা আসলে এখন আর ডাচ বাংলা ব্যাংকে কাজ করে না, সে অস্থায়ী পিঠা তৈরির কাজ করছে।
পিঠা খাওয়ার মুহূর্ত আপনি বেশ উপভোগ করলেন বোঝা যাচ্ছে। ঠিক বলছেন ভাই আসলে ব্যস্ততার কারণে যদিও পরিবারের কাছে নেই আপনি এখন। কিন্তু আজকাল পিঠা খেতে তো খুবই সহজ হয়। কারণ বাইরে বেশ মজার মজার পিঠা তৈরি করা হয় শীতকাল আসলে। অনেক্ষণ অপেক্ষা করার পরে সেই মজার পিঠা গুলো খেতে পারলেন। দেখে তো লোভ সামলানো যাচ্ছে না এমন অবস্থা।
শীত মানেই পিঠা খাওয়ার ধুম পরে যায়।আপনার মতো আমার ও বাসায় পিঠার আয়োজন এখনও হয়নি তবে ডাচ বাংলার ম্যানেজার আপনাদের ভালো ই পিঠা খাওয়ার জন্য নিয়ে গেলো।আর ২০ মিনিট পর পিঠা হাতে পেয়েছেন।গরম গরম চিতই পিঠাগুলো নানা রকমের ভর্তা দিয়ে খেতে ভীষণ মজার হয়। আপনাদের পিঠা খাওয়া দেখে আমার ভীষণ খেতে ইচ্ছে করছে।ধন্যবাদ ভাইয়া অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
সত্যি বলতে পিঠাগুলো খেতে অসম্ভব স্বাদের ছিল।
শীতের সময় পিঠা খাওয়ার মজাটাই আলাদা। আর ভাপা পিঠা ও ভর্তা দিয়ে চিতই পিঠা খেতে খুবই ভালো লাগে। প্রায় সময় ভর্তা দিয়ে চিতই খাওয়া হয়। আপনার ফটোগ্রাফিতে চিতই পিঠা দেখেই এখন খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর একটি মুহূর্ত শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
শীতের সন্ধ্যায় চিতই পিঠা খাবার মজাটাই যেন অন্য রকমের। শহরের মোড় গুলোতে সন্ধ্যার সময় হলেই এই ধরনের পিঠা তৈরি হতে দেখতে পাওয়া যায়। আমার কাছে শুটকি ভর্তা দিয়েছি চিতই পিঠা খেতে সব থেকে বেশি ভালো লাগে।
সত্যিই শীতের সন্ধ্যায় পিঠা খাওয়ার অনুভূতি এককথায় অসাধারণ।
ধন্যবাদ ভাই পোস্টটি পড়ে সুন্দর মতামত দেয়ার জন্য।
আমাদের এখানে এ পিঠার নাম বলা হয় সারা পিঠা। যাইহোক শীতের সময় কিন্তু এ জাতীয় গরম গরম পিঠাগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। এজন্য আমিও ভাপা পিঠা খাওয়ার উদ্দেশ্যে ১০ কিলো পথ অতিক্রম করে বামুন্দিবাজারে একটু সন্ধ্যাকালীন মুহূর্তে কেনাকাটার উদ্দেশ্যে যায় এবং খাওয়ার চেষ্টা করি। যাই হোক বেশ ভালো লাগলো সুন্দর ব্লগ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন দেখে।
ও আচ্ছা, একেক এলাকায় একেক নাম। সারা পিঠা নামটা সত্যিই সুন্দর।
ধন্যবাদ ভাই চমৎকার মন্তব্যের জন্য।