লোভনীয় রেসিপি: মাছের কাটলেট 😋
শুভ রাত্রি আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। প্রতি সপ্তাহে চেষ্টা করি অন্তত একটি রেসিপি পোষ্ট করার। অনেকেই আছেন আমার রেসিপি পোস্টগুলো বেশ পছন্দ করেন, তাইতো চেষ্টা করে যাচ্ছি অন্তত একটি হলেও রেসিপি উপস্থাপন করতে। আজকে যে রেসিপিটি দেখাবো এটির সাথে সবাই মোটামুটি পরিচিত। আজ মাছের কাটলেট তৈরি প্রক্রিয়া দেখাবো খুব সহজ করে, আশাকরি যারা এটা তৈরি করতে পারেন না তাঁরাও তৈরি করতে পারবেন। তো চলুন দেখে নেয়া যাক আজকের লোভনীয় রেসিপিটি।
বড় মাছ | তিন টুকরো | ডিম | একটি |
---|---|---|---|
লেবু | এক টুকরো | পেঁয়াজ | এক কাপ |
ধনিয়া পাতা | স্বাদমতো | কাঁচা মরিচ | স্বাদমতো |
আটা | আধা কাপ | চিনি | আধা চামচ |
হলুদ গুঁড়া | আধা চামচ | মরিচ গুঁড়া | আধা চামচ |
জিরা গুঁড়া | আধা চামচ | রসুন বাটা | আধা চামচ |
লবণ | স্বাদমতো | সোয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
প্রথমেই মাছের টুকরো গুলো কেটে ধুয়ে নিলাম এরপর এটি পাতিলে রাখলাম।
এই ধাপে পাতিলে রাখা মাছগুলোর মধ্যে সমস্ত মসলা একে একে দিয়ে দিলাম এবং পরিমাণ মতো লবণ দিয়ে দিলাম। এরপর পরিমাণ মতো পানি দিয়ে ভালো করে মাছগুলো সিদ্ধ করে নিলাম।
এবার সিদ্ধ করা মাছগুলোর কাটা ছাড়িয়ে একটি বাটিতে উঠিয়ে নিলাম।
এবার পেঁয়াজ কুচি এবং কাঁচামরিচ কুচি দিয়ে দিলাম।
এবার একটি ডিম ফাটিয়ে নিয়ে দিয়ে দিলাম এবং সবকিছু একসাথে মাখিয়ে নিলাম।
এবার ধনিয়া পাতা এবং আটা দিয়ে মাখিয়ে দিলাম।
এবার সামান্য চিনি মিশিয়ে পুনরায় মাখিয়ে, কাটলেট আকৃতির করে একটি প্লেটে সাজিয়ে নিলাম।
এবার গরম তেলে কাটলেট গুলো মুচমুচে করে ভেজে নিলাম। এরপর একটি চালনিতে কাটলেট গুলো উঠিয়ে নিলাম। ব্যাস খাবার তৈরি এবার পরিবেশনের পালা।
🍱 পরিবেশন করলাম 🍱
আহা লোভনীয় খাবার 😋
পটাপট কয়েকটা পেটে চালান করে দিলাম, এরপর অবশ্য গরম ভাতের সাথে তৃপ্তি সহকারে খেলাম। আশাকরি আপনারা ঝটপট এই লোভনীয় খাবারটি তৈরি করে খাবেন।
সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে বিদায় নিলাম আজকের মতো।
ছবি যন্ত্র | রিয়েলমি সি-২৫ |
---|---|
ছবির কারিগর | @emranhasan |
ছবির অবস্থান | ভালুকা, ময়মনসিংহ, বাংলাদেশ। |
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
প্রথমত হচ্ছে আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি আমাকে অনেক বেশি মুগ্ধ করে। দ্বিতীয়ত হচ্ছে আপনার রেসিপি গুলো আরও বেশি আকৃষ্ট করে। সবকিছু মিলিয়ে আপনার ব্লগ গুলো অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে আপনার রেসিপির কালার গুলো খুবই সুন্দর হয়। আপনি মাছের কাটলেট তৈরি করেছেন। মাছের কাটলেট তৈরি করার পদ্ধতি সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করলেন। বেশ ভালই লেগেছে রেসিপিটি দেখে। অনেক ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু, মুগ্ধতার সাথে আমার পোস্টটি দেখার জন্য। আপনাদের অনুপ্রেরণায় এগিয়ে যাচ্ছি।
দোয়া করবেন।
ভাইয়া আপনার রেসিপি গুলো সবসময়ই আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আজকে আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাছের ভর্তা ও মাছের পিঠা খেয়েছি কিন্তু এভাবে মাছের কাটলেট কখনো খাওয়া হয়নি। এমন মজাদার রেসিপি দেখে জিভে জল চলে আসলো। মাছের কাটলেট দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। আপনার উপস্থাপনা লোভনীয় হয়েছে। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
এটা তৈরি করা খুব সহজ, চাইলেই আপনি তৈরি করে খেতে পারেন। দোয়া রইল।
https://twitter.com/emranhasan1989/status/1762154220336337390?t=mrit-pNmWFpjqCvmUeSpVA&s=19
প্রতি সপ্তাহে আপনি চেষ্টা করেন একটি করে রেসিপি পোস্ট দেওয়ার জন্য, আর এই রেসিপি পোস্টগুলো আপনি খুবই সুন্দর ভাবে পরিবেশন করেন। মাছের কাটলেট রেসিপি দেখে যেন সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এই রেসিপির পরিবেশন দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। আপনার রেসিপিট শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
তেলেভাজা খাবার খেতে একটু বেশি পছন্দ করি। মাছের কাটলেট অনেক বার খেয়েছি তবে কখনো বাসায় খাওয়া হয়নি। বাসায় অবশ্যই খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করবো আপনার রেসিপি দেখে দেখে। মাছের কাটলেট টমেটো সস দিয়ে খেতে ভীষণ মজা লাগে। আপনার রেসিপি দেখে ভালো লাগলো। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।
বাহ্ মাছের দারুন একটি রেসিপি শিখে নিলাম তো ভাইয়া। এই রেসিপিটি ছোট বাচ্চারা খেতে অনেক পছন্দ করবে যারা কিনা মাছ খেতে পছন্দ করে না। বেশ লোভনীয় লাগছে মাছের কাটলেট গুলো দেখতে। ধন্যবাদ ভাইয়া মাছের দারুণ একটু রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
মাছের কাটলেট করলে এমনিতেই খাওয়া হয়ে যায়। ভাগে খুব একটা থাকেও না।কাটা নেই,মুচমুচে সবাই তাই খুব পছন্দ করে। রেসিপি করতে একটু সময়ের ব্যাপার।কিন্তু খাওয়া হয়ে যায় খুব অল্প সময়েই।আপনার তৈরি করা মাছের কাটলেট খুবই লোভনীয় লাগছে ভাইয়া।আপনি তো গরম ভাত দিয়ে খেয়েছিলেন দারুন মজা করে।ভাবী কি ভাগে পেয়েছিল? এই অজানাকে জানতে চাওয়া আমার এই অবুঝ মন।😊
মাছের কাটলেট রেসিপিটি বেশ মজাদার হয়েছে। রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে। আপনি বেশ চমৎকারভাবে রেসিপিটি তৈরী করেছেন ও আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। অনেক শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনি আজকে খুবই মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। মাছের কাটলেট এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। রেসেপিটি আমার কাছে বেশ ইউনিক মনে হয়েছে। দেখে বোঝা যাচ্ছে এই রেসিপিটা খেতে ভীষণ সুস্বাদু হবে। আপনার পোস্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পেরে ভীষণ ভালো লাগলো। অসংখ্য ধন্যবাদ এতো সুন্দর ভাবে তৈরির প্রতিটা ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপন করে দেখানোর জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকবেন।
ভাইয়া আপনার রেসিপি দেখে লোভ সামলানো মুশকিল । সত্যি ভাইয়া এমন মাছের কাটলেট খেতে অনেক মজার। রাতে এমন মাছের কাটলেট থাকলে গরম ভাতের সাথে আর কিছু লাগে না। প্রতিটি ধাপ সুন্দর করে দেখিয়েছেন ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যিই তাই আপু, সেদিন তো গরম ভাত দিয়ে আমি বেশ কয়েকটি খেয়ে ফেলেছি। খেতে এককথায় অসাধারণ।