বাস্তব জীবনের গল্প: জীনের আছর || বিশেষ তদবির। (১ম পর্ব)

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago (edited)
বাস্তব জীবনের গল্প: জীনের আছর
(১ম পর্ব)

বাস্তব জীবনের গল্প জীনের আছর.jpg

ছবিটি পিক্সাবে থেকে নিয়ে কেনভা দ্বারা তৈরি

শুভ দুপুর আমার বাংলা ব্লগ পরিবার। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে শুরু করছি। আজকে জীবনের একটি ভয়ঙ্কর রাতের গল্প নিয়ে হাজির হলাম। প্রথমেই বলি ভূত প্রেত এসব বিষয়ে আমি একদমই বিশ্বাসী নই। তবে জীন রয়েছে এটা আমি বিশ্বাস করি। তবে কখনো কাছ থেকে দেখার কিংবা বোঝার সুযোগ হয়নি। তবে আজ থেকে বছর দুয়েক আগে একবার আমি নিজের চোখে একজন মানুষকে আছর করতে দেখেছি এবং তার আচরণ কেমন হয় সেটা বুঝেছি। আমি জানি না আজকের বিষয়টি কে কিভাবে নেবেন। তবে বলে রাখি যারা একটু ভয় পান তারা এখান থেকেই আমার পোস্টটি পড়া বন্ধ করুন। কারন যে বিষয়টি লিখতে চলেছি তা হয়তো ভয়ের কারন হতে পারে।



আজ থেকে বছর দুয়েক আগে কুমিল্লা গিয়েছিলাম শ্বশুর বাড়িতে। সেখানে আমরা যাওয়ার পর আমাদের দেখতে আমাদের বেশ কিছু আত্মীয় স্বজন সেখানে আসে। তাদের মধ্যে আমার স্ত্রীর বড় বোন এসেছিলেন। একেবারে বাড়ি ভর্তি মানুষ, বেশ আনন্দের সাথে কেটেছে দুদিন। সত্যি বলতে সেখানে গেলে খাতির যত্নের অভাব হয়না।
একদিন সন্ধ্যায় সবাই একসাথে বসে গল্প করছে, আমিও পাশে বসে মোবাইলে কিছু কাজ করছিলাম। হঠাৎ তাদের গল্পের মধ্যেই শুনলাম তাদের পুরনো বাড়ির জীনের গল্প। সেটা এরকম ছিল, তাদের বাড়ির ঠিক পেছনেই বিশাল বড় একটি তাল গাছ ছিল। আর সেই তাল গাছেই নাকি সাত জীনের বসবাস। এরা যখন তখন মানুষের উপর আছর করতো এবং বেশ জ্বালাতন করতো। ভয়ে সেই গাছের আশেপাশে কেউ যেতো না। তবে তার আশেপাশে বেশ কিছু ফলের গাছ রয়েছে আর সেই ফল পারতেই আমার স্ত্রীর বড় বোন রত্না সেখানে আজ গিয়েছিল। আমার তো শুনেই কেমন গা ছমছম করতে লাগলো। মুরুব্বিরা শোনার পর বকা দিয়েছেন তাকে এবং ভুলেও যাতে সেখানে আর কেউ না যায়।

একটু পরেই আমাদের খাবার দেয়া হয়েছে এবং যথারীতি লোভনীয় খাবারে পেট ভরিয়ে শুয়ে পড়লাম। তবে কেমন যেন ঘুম আসছিলো না। মোবাইলে কাজ করছিলাম তখন স্টীমিটে কাজ শুরু করেছিলাম। হঠাৎ করেই পাশের রুমে চিৎকার শুনে বেশ ভয় পেয়ে গেলাম, ভেবেছিলাম কেউ হয়তো হঠাৎ করেই অসুস্থ হয়ে পরেছে। তাই দ্রুত আমার স্ত্রীকে ঘুম থেকে উঠিয়ে দিলাম এবং পাশের রুমে গেলাম। ততক্ষণে পুরো বাড়ির লোকজন ওখানে চলে এসেছে।

ঘটনাটা হলো না কেউ অসুস্থ হয়নি তবে তার বোন কেমন অস্বাভাবিক আচরণ করছে। অনবরত সে হেসে চলেছে, না এ হাসি থামার কোন লক্ষন নেই। তার দুই ছেলে মেয়ে বেশ ভয় পেয়ে চিৎকার করছিলো, কারন তাদের মায়ের এরকম অবস্থা কখনো দেখিনি। হঠাৎ হাসি থামিয়ে একদমই সে চুপ হয়ে গেছে। এখন সবাই তাকে প্রশ্ন করে চলেছে কি হয়েছে তোমার?
না কোন সাড়া শব্দ নেই, একটু পরেই আবারো হেসে উঠলো সে। এবার বাড়ির লোকজনের বুঝতে বাকি রইলো না কি ঘটেছে তার সাথে। কিন্তু আমি সত্যিই বুঝতে পারছিলাম না ব্যাপারটা কারন এরকম অদ্ভুত অভিজ্ঞতা আমার নেই।

হঠাৎ করেই এক কাকা এগিয়ে এসে তার হাতটা জোরে চেপে ধরে বিভিন্ন দোয়া দরুদ পড়তে লাগলেন এবং সবাইকে একটু দূরে সরে যেতে বললেন। এবার আমার বুঝতে বাকী রইল না কি ঘটেছে। তবে সত্যিই গা ছমছম করছিল।।।।।।

"চলবে"



Black and White Modern Company Presentation (1).gif

banner-abbVD.png


আমাদের উইটনেসকে সাপোর্ট করুন

"Please support Bangla Witness"

7258xSVeJbKkzXhyseBP4PYz11eBDT8sW2oR1a4vfVFS6JTrGU8e1FPUaNdHG5vjXyg2xthV78bDEmEVvKCQpyzX1kq8gAVzGsPp9GqJVRWxb6T9y35PZmQehnLjELdKKmnhdxQjDuny4.png

https://steemitwallet.com/~witnesses



VOTE @bangla.witness as witness

witness_proxy_vote.png

OR

SET @rme as your proxy

witness_vote.png

Sort:  
 2 years ago 

এধরনের ঘটনা গুলো আমি অনেক দেখেছি। ছোটবেলায় এসব ভয় পেতাম তবে বড় হবার পরে এগুলো আমি ভয় পাইনা। আপনার গল্পটি ভালো ছিলো। এধরনের ঘটনা গুলো বেশিরভাগ সময় হয়ে থাকে। কিছু দুষ্ট জীন এসব করে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে চমৎকার একটি পোস্ট উপহার দেওয়ার জন্য। আপনার জন্য শুভ কামনা রইল ভালো থাকবেন।

Thank you, friend!
I'm @steem.history, who is steem witness.
Thank you for witnessvoting for me.
image.png
please click it!
image.png
(Go to https://steemit.com/~witnesses and type fbslo at the bottom of the page)

The weight is reduced because of the lack of Voting Power. If you vote for me as a witness, you can get my little vote.

 2 years ago 

এরকম অভিজ্ঞতার সাক্ষী কখনো হয়নি ভাইয়া। হয়তো উনার উপর কোন কিছুর আছর করেছিল তাই তো এভাবে হাসি থামছিল না। তবে এরকম পরিস্থিতিতে ভয় লাগারই কথা। ভালো লাগলো ভাইয়া ভিন্ন ধরনের লেখা পড়ে। অনেক অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য।

 2 years ago 

জি আপু উনার উপর জীনের আছর ছিল। তবে ঐ পরিস্থিতিতে আমি নিজেও ভয় পেয়েছিলাম।

 2 years ago 

কুমিল্লার মানুষ অতিথি আপ্যায়নে সেরা।যাই হোক এই রকম জ্বীনের আছড় পরা মানুষ আমি কখনও কাছ থেকে দেখিনি তবে শুনেছি এমন করে।যাই হোক তারপর রত্না আপুকে কি জ্বীন থেকে মুক্ত করা হয়েছে কিনা এটা জানার অপেক্ষায় রইলাম। আসলেই ভয়ংকর একটা ব্যপার ছিলো।ধন্যবাদ

 2 years ago 

ধন্যবাদ আপু।
কুমিল্লার মানুষ সত্যিই বেশ অতিথি পরায়ণ।
পরের পর্বে বিস্তারিত জানাবো আরও।

Coin Marketplace

STEEM 0.19
TRX 0.15
JST 0.029
BTC 63592.23
ETH 2551.58
USDT 1.00
SBD 2.75