আমাদের কোরবানির পশু কেনা।
সবাইকে ঈদ উল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়ে শুরু করছি আমার আজকের আয়োজন। রাত পেরুলেই ঈদের আমেজ এবং আনুষ্ঠানিকতা শুরু হয়ে যাবে। যাইহোক ঈদটা কিন্তু ছোটদের জন্য বড্ড আনন্দের, আর আমাদের কাজ হলো ছোটদের আনন্দটা যতদূর সম্ভব বাড়িয়ে তোলা যায়। যাইহোক আমি বেশ কয়েক মাস আগে থেকে পরিকল্পনা করে আসছি একটা খাসি কুরবানী দেবো। আসলে সেই মাফিক প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। ঈদের আগ মুহূর্তে আমার কাজের চাপ বাড়তেই থাকে, সেই পরিস্থিতি অনুযায়ী কোরবানির হাটে গিয়ে পশু কেনা আমার পক্ষে একেবারেই অসম্ভব ব্যাপার। তবুও আমি মাঝখানে একদিন বেশ চেষ্টা করেছিলাম কিন্তু সময় বের করতে পারলাম না।
কি আর করা, অবশেষে বাবাকে বললাম আমি কিছুতেই সময় বের করতে পারছিনা। আর বাবা বেশ অসুস্থ থাকায় আমি বেশ দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলাম। অবশেষে বাবার এক বন্ধু আমাদের এই ঝামেলা থেকে উদ্ধার করলেন। তিনি ফোনে জানালেন তার তিনটি খাসি রয়েছে এবং সেগুলো বিক্রির উপযোগী হয়েছে। বাবা আমাকে জানিয়ে দেয় কোরবানির পশু পাওয়া গিয়েছে এবং আমার সাধ্যের মধ্যেই। সাধ্যের মধ্যে বললাম কারন বাজার এবার বেশ চড়া।
যাইহোক অবশেষে আজ থেকে আমি ছুটি পেলাম, গতকাল পর্যন্ত নাভিশ্বাস উঠেছে কাজ করতে করতে। সকাল এগারোটা নাগাদ ময়মনসিংহের উদ্দেশ্যে রওনা করতে পারলাম। আলহামদুলিল্লাহ পথে তেমন বেশি জ্যাম কিংবা বিরম্বনার শিকার হলাম না। একটু বেশি ভাড়া দিয়ে এলেও আলহামদুলিল্লাহ ভালোভাবে আসতে পেরেছি। বাসায় এসেই ইলমার পায়তারা চলছে কতক্ষনে আমরা আমাদের খাসি আনা হবে?
বিকেল সাড়ে তিনটায় অটোরিকশা নিয়ে রওনা হলাম খাসি আনার উদ্দেশ্যে আমি, বাবা আর ইলমা। প্রায় বিশ মিনিট পর বাবার বন্ধুর বাড়িতে পৌঁছাতে পারলাম। আমাদের কোরবানির পশু দেখে সত্যিই ভীষণ ভালো লাগলো। আর ইলমা তো আনন্দে আত্মহারা অবস্থা 😀 রিতীমত খাসির দড়ি তার দখলে চলে গেছে। আরো একটা ব্যাপার খেয়াল করলাম আমার বাবা ভীষণ খুশি ছিল, আসলে এই বয়সে নাতিনাতনিদের আনন্দে তারা সবথেকে বেশি খুশি হোন। বাবার আনন্দ দেখে নিজের কাছে ভীষণ ভালো লাগলো।
বাসায় আনার পর খাসিটিকে নিচ তলায় গেরেজে রাখা হয়। এরপর ইলমা বেশ কিছু স্টাইলিশ ছবি তোলার চেষ্টা করে। এর সাথে সাথে তার একটি নাম রাখা হয়। ইলমা খাসিটির নাম রাখে সাধু 😄 তার কাছে খাসিটি শান্ত এবং ভদ্র মনে হয়েছে তাই এই চমৎকার নাম রাখা হয়েছে।
আরো একটি চমৎকার ছবি তোলা হয়েছে এখানে। আমি ছবি তুলতে তুলতে ক্লান্ত হয়ে গেলাম।
বাবা কাঁঠালের পাতা ব্যাবস্থা করে আনলেন কারন ছাগলটি খাবার জন্য বেশ ঝামেলা করছিল। অবশেষে কাঁঠালের পাতা খেয়ে সে শান্ত হলো।
এবার ছাগলকে জ্বালাতন করার দায়িত্ব ছোট্ট জনের উপর পরলো। তিনি একটু একটু ভয় পেয়েছেন তাই খুব বেশি কাছে ভিড়তে চাননি। যাইহোক অবশেষে দুবার হাত বুলিয়ে দিয়ে বেশ খুশি হলো ইয়ান।
যাইহোক এই ছিল তোর আমার আজকের কোরবানি পশু কেনা এবং বাড়িতে আনার অনুভূতি। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজকের মতো বিদায় নিলাম।
আমি ইন্জিনিয়ার ইমরান হাসান। মেশিন নিয়ে পেশা আর ব্লগিং হলো নেশা। কাজ করি টেকনিক্যাল সাপোর্ট ইন্জিনিয়ার হিসেবে একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে। অবসর সময়ে ব্লগিং করি নিজের মনের খোরাক আর একটু পরিবারকে ভালো রাখার জন্য। আমি আবেগী, বড্ড জেদি, নিজেই নিজের রাজ্যের রাজা। কেউ কোথাও থেমে গেলে সেখান থেকে শুরু করতে ভালোবাসি। আমার শখ ছবি তোলা, বাগান করা আর নতুন জায়গায় ঘুরতে যাওয়া। মানুষকে আমি ভালোবাসি তাই মানুষ আমায় ভালোবাসে।
কোরবানির জন্য বেশ সুন্দর একটি পশু কিনেছেন দেখে সত্যি বেশ ভালো লাগলো ভাই। আপনার বাবার বন্ধুর কাছ থেকে পশুটি কিনেছেন তাও জানতে পারলাম আপনার পোষ্টের মাধ্যমে। আসলে আপনি অফিস থেকে আজকে ছুটি পেয়েছেন সবকিছুই বেশ পোষ্টের মধ্যে অনেক সুন্দর ভাবে উল্লেখ করেছেন। সব মিলিয়ে আপনি বেশ ব্যস্ত সময় পার করছেন এখন ভাই। আশা করি পরিবারের সকলের সাথে খুব সুন্দর ভাবে ঈদ উদযাপন করবেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
ইলমা খাসিটির নাম সাধু রেখেছে এটা শুনে খুবই ভালো লাগলো আর আপনার আব্বুর জন্য দোয়া করি তিনি যেন খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। আমাদেরও এবার একটা খাসি কোরবানির রয়েছে যাই হোক মহান সৃষ্টিকর্তার দোয়া করি তিনি যেন আমাদের সবার কোরবানি কবুল করেন এই প্রত্যাশাই করি।
অসাধারণ ভাবে কোরবানির পশু কেনা এবং আনার অনুভূতিটি শেয়ার করার জন্য। ২০ মিনিট হাঁটার পর যখন কোরবানির পশু দেখলেন তখন খুব ভালো লেগেছে জেনে খুশি হলাম। ছোট বাচ্চাদের আনন্দটা দ্বিগুণহার বৃদ্ধি পায় তখন। ইলমার আনন্দতে আমিও আনন্দিত হলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনি খুব সুন্দর কোরবানির পশু কিনেছেন। তাছাড়া ইলমা ও আনন্দ দেখে খুবই ভালো লাগলো। আপনি ঠিক বলছেন ঈদ কিন্তু ছোটদের জন্য অনেক আনন্দের। তাইতো ইলমা খাসিটির সাধু নাম রেখেছেন। আপনার আব্বুর জন্য ও পরিবারের সবার জন্য দোয়া রইল। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই কোরবানির পশু কেনা অনুভূতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
ঈদ মোবারক ভাইয়া। সবাইকে নিয়ে আনন্দ উপভোগ করবেন এমনটাই আশাকরি। আপনি এতো ব্যস্ততার মধ্যে ছিলেন তাই বাড়িতে শেষ পর্যন্ত পৌঁছাতে পেরেছেন ঝামেলাহীন ভাবেই জেনে ভালো লাগলো। এবার সবকিছুর দাম বাড়তি।তাই চাচার কাছ থেকে খাসি কিনে ভালো ই করেছেন। বাচ্চারা যেমন খুশি হয় তেমনি মুরব্বিরা ও খুব খুশী হন সবাইকে কাছে পেয়ে।সুন্দর নাম দিয়েছে তো খাসিটির, সাধু।🤗 ধন্যবাদ ভাইয়া সুন্দর অনুভূতি গুলো শেয়ার করার জন্য।
কুরবানীর জন্য খাসি কিনেছেন জেনে খুশি হলাম। খাসিটি দেখতে ভীষণ মিষ্টি। এধরনের খাসি গুলো আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। ঈলমা এবং ইয়ান খাসির সাথে অনেক সুন্দর দুষ্টামি করছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে। একদমই ঠিক বলেছেন দাদারা নাতিনাতনি পেলে ভীষণ খুশি হয়। বেশ ঝামেলার মধ্যে দিয়ে খাসি কিনতে পেরেছেন এটাই মুল বিষয়। আপনার পরিবারের জন্য শুভ কামনা রইলো।