ধুপ পিঠা রেসিপি || ১০% @shy-fox এর জন্য
আমার বাংলা ব্লগে আপনাকে স্বাগতম
পিঠা আমরা সবাই কম বেশি ভালবাসি বিশেষ করে শীতের সময় বাংলাদেশ সবচেয়ে বেশি পিঠা পুলি খাওয়া হয় এবং তৈরি করা হয়। এই সময় পিঠা পুলি তৈরি করার প্রধান একটি কারণ হচ্ছে এই সময়টিতে চাষীদের ঘরের নতুন ধান ওঠে এবং সেই ধান ওঠার আনন্দে নানান রকম উৎসব অনুষ্ঠান হয়ে থাকে এবং সেই উৎসবকে ঘিরে নানা ধরনের পিঠা পুলি তৈরি করা হয়। এছাড়াও শীতের সময় পিঠা তৈরি করলে এগুলো অনেকদিন টাটকা থাকে এবং যখন অধিক পরিমাণে শীত পড়ে তখন মানুষেরা ঘরে বসে এগুলো খেতে অনেক ভালোবাসে। বিশেষ করে মিষ্টি প্রেমিক মানুষেরা এগুলো অনেক পছন্দ করে। তাই আজকে আমি শীতকালের আমেজে আপনাদের মাঝে ধুপ পিঠা রেসিপি শেয়ার করছি । আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
# রেসিপি টি তৈরি করতে প্রয়োজনীয় উপাদান
| উপাদান | পরিমাণ |
|---|---|
| আলো চাউল | ৩০০ গ্রাম |
| চিনি | ২০০ গ্রাম |
| নারিকেল ঝুরি | ২৫০ গ্রাম |
| লবণ | পরিমাণমতো |
- ইত্যাদি উপাদানগুলো হলেই তৈরি করা যাবে আজকের সুস্বাদু রেসিপি।
⬇️ ধাপ:-১ ↙️
প্রথমে আলো চাউল একটি পাত্রের মধ্যে পরিমাণমতো কিছু পানি দিয়ে দুই ঘন্টা যাবৎ ভিজিয়ে রাখতে হবে। এবং দুই ঘন্টা পরে পানিগুলো সাকনি দিয়ে ছেঁকে নিতে হবে এবং
সামান্য পরিমাণ রোদে শুকিয়ে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-২ ↙️
চাল গুলো শুকনো হয়ে গেলে পাটা এবং নোরার মাধ্যমে এই চালগুলো কে বেটে নিতে হবে যেমনটা ছবিতে দেখানো হয়েছে।
⬇️ ধাপ:-৩ ↙️
এভাবে সমস্তচাল গুলোকে গুড়ো করে নেওয়ার পরে অনেকটা এমন দেখাবে।
⬇️ ধাপ:-৪ ↙️
এবার নারিকেল ঝুরিগুলো প্রস্তুত করে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:- ৫ ↙️
এবার ময়দা এবং নারিকেল ঝুরিগুলো কে একসঙ্গে ভালো করে মিশ্রণ করে নিতে হবে ।সাথে দিতে হবে পরিমাণমতো লবণ।
⬇️ ধাপ:-৬ ↙️
এবার ছোট একটি পাত্রে এই মিশ্রণ গুলোকে উঠিয়ে নিতে হবে।
⬇️ ধাপ:-৭ ↙️
এবার মিশ্রনটিকে একটি পানি রাখা ঘরার উপরে রেখে ভাপাতে দিতে হবে ।যেমনটা ছবিতে দেখানো হয়েছে।
⬇️ ধাপ:-৮ ↙️
সর্বশেষে তৈরি হয়ে গেল আমাদের সুস্বাদু শীতের ধুপ পিঠা রেসিপি
🫂ধন্যবাদ!!!🤵
| ফটোগ্রাফার | @emonv |
|---|---|
| ফটোগ্রাফি ডিভাইস | VIVO Y12 A |
[[🔉প্রিয় স্টিমিট ইউজারগন,,]]👩💻"ইমন ব্লগ"👩💻 এর পক্ষ থেকে আপনাদের সবাইকে প্রাণঢালা শুভেচ্ছা। আমার নাম মোঃ ইমন রেজা। বর্তমানে আমি একজন মাধ্যমিক🏫 শিক্ষার্থী। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাই নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি।
আপনার ধুপ পিঠার রেসিপি টি খুবই চমৎকার হয়েছে ।আপনি ঠিকই বলেছেন শীতের দিনে পিঠা বানালে তা অনেকদিন পর্যন্ত ভালো থাকে। আর শীত মানেই তো পিঠা খাওয়ার সময়। এই সময় বিভিন্ন রকমের পিঠা খেতে সত্যিই অনেক ভালো লাগে ।আপনি পিঠার প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর করে তুলে ধরেছেন যা আমার কাছে খুবই ভাল লেগেছে। তবে ভাই আপনি পিঠাতে চিনি দিতে ভুলে গিয়েছেন? নাকি আমাদের এখানে উল্লেখ করতে ভুলে গেছেন? ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ, চিনিটা মিশ্রণের মধ্যে রয়েছে ☺️☺️
ধুপ পিঠার রেসিপি এই প্রথম দেখলাম ভাই এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি আপনি অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন। দেখে ভালো লাগলো আমি বাসায় তৈরি করবো আপনার জন্য শুভকামনা রইলো। আর উপরের টাইটেল মনে হয় বানান ভুল হয়েছে ঠিক করে নেন ধন্যবাদ
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ অনেক সুন্দর একটি মতামত করেছেন
ধুপ পিঠার নাম এই প্রথম শুনলাম আর আপনার ধুপ পুঠা দেখে অনেক ভালো লাগলো। আপনার ব্যতিক্রম একটি আইডিয়া।শুভ কামনা রইলো আপনার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ
*ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন ভাইয়া Piধুপ এইটা বুজলাম না। এটা কি ভুল না সঠিক।
মানুষ মাত্রই ভুল ,সামান্য কিছু মিসটেক ছিল ভুলটি ধরিয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ
এই পিঠাটি গ্রামবাংলার ঐতিহ্য বহন করে । শীত আসলেই গ্রামে এই পিঠা বানানোর এক ধুম পড়ে যায়। প্রতিটি বাড়িতেই আত্মীয়-স্বজনকে দাওয়াত দিয়ে এই পিঠা সাথে খেজুরের নালি অথবা খেজুরের গুড় দিয়ে পিঠা উৎসব চলে ।আমরা বাড়িতে সবাই সকাল বেলা পিঠা বানাতাম আম্মুর সাথে সবাই মিলে মজা করে খেতাম একটা উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হতো।
একটি গঠনমূলক মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ
দেখে মনে হচ্ছে আপনার বানানো খাবারটি খুবই সুস্বাদু, শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
ধন্যবাদ ভাই, সুন্দর মতামত করেছেন
ধুপ পিঠা নামটি আর কখনো শোনা হয়নি। এই প্রথম এ নামটি শুনলাম এবং পিঠা রেসিপি দেখলাম। পিঠাটা দেখতে ভালোই হয়েছে মনে হচ্ছে খেতে মজা হবে কিন্তু এটাতে কোন মিষ্টি কেন দেননি বুঝতে পারিনি। এটা কি মিষ্টি ছাড়া অন্য কিছুর সাহায্য খাবে? কারণ এটা তো খালি খেতে ভালো লাগবে না।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য
ধুপ পিঠা বলতে আপনি কি বোঝাতে চেয়েছেন বুঝলাম না। এটা কি ভাপা পিঠা খেজুরের গুড়, নারিকেল ও চালের গুড়া দিয়ে যেটা বানানো হয়? তবে আপনি তো পিঠার ভিতরে চিনি দিলেন না চিনি ছাড়া পিঠা আবার কেমন লাগে। রেসিপিটি আপনি প্রথমদিকে ভালোই শুরু করেছিলেন কিন্তু শেষের দিকে এসে আমার কাছে আর ভালো লাগেনি আপনি শেষের দিকে পুরা পদ্ধতি ভালোভাবে শেয়ার করতে পারেননি মনে হয় ।যাই হোক শুভকামনা রইল।
😁😁☺️ আপু এটা আমাদের আঞ্চলিক ভাষা, আমাদের এখানে সবাই এটাকে ধুপ পিঠা বলে। ধন্যবাদ সুন্দর মতামত করেছেন
ধুপ পিঠা বা ভাপা পিঠা যে যাই বলুক শীতের এই দারুন সকালে এই পিঠা খাওয়ার মজা কেবল তারাই বুঝবে যারা খেয়েছে।এটা এতোটাই দারুন লাগে বলে বোঝাতে পারবো না।
অসাধারন সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়াত করেছেন ভাই।শুভ কামনা।
ঠিক বলেছেন ভাই, অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য।
ভাইয়া অসাধারণ করেছেন ধুপ পিঠা আপনার এলাকায় হইতো এই নামে চেনে
আমাদের এলাকায় ধুপি পিঠা /ভাপা পিঠা উভয়ই বলে।
সুন্দর ছিলো রেসিপি শুভকামনা রইলো।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই, আমাদের এলাকায় এটাকে ধুপ পিঠা বলেই সবাই চিনে।