রেসিপি পোস্টঃ- কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি
আজ - সোমবার
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে আজকে আবারও নতুন একটি পোস্ট শুরু করতে যাচ্ছি। আজকের পোস্টের টপিক হচ্ছে রেসিপি পোস্ট। আমি আপনাদের মাঝে প্রতিনিয়ত অনেক ধরনের পোস্ট শেয়ার করে থাকি সেই ধারাবাহিকতায় আজকে একটি সুস্বাদু রেসিপি পোস্ট শেয়ার করতে যাচ্ছি। আজকে আমি আপনাদের মাঝে কিভাবে কৈ মাছের সুস্বাদু একটি রেসিপি তৈরি করা যায় সেই প্রসেসটাই ধাপে, ধাপে খুব সহজে আপনাদের শিখিয়ে দিব। আপনারা যদি এমন সুস্বাদু একটি রেসিপি নিজের বাসায় তৈরি করে খেতে চান সে ক্ষেত্রে আমার পোস্টটা শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত এক নজর দেখলেই হয়তো বা আমার মনে হয় যে কেউ এই রেসিপিটা অনেক সুন্দর এবং সাজিয়ে গুছিয়ে তৈরি করতে পারবে। আসলে এ সুস্বাদু খাবার দাবার মানুষের জীবনের প্রতি অনেক বেশি প্রভাব ফেলে। যেমন আপনি যদি সুস্বাদু খাবার এবং পানীয় পান করেন সেই ক্ষেত্রে আপনার মন প্রাণ যেমন ভালো থাকবে, তেমনি ভাবে কাজ করার আকাঙ্কাও অনেক বেশি বৃদ্ধি পাবে। এবং আপনি আপনার জীবনের আসল মুহূর্তটা উপভোগ করতে পারবেন।
আমি ঠিক বলতে পারলাম না এই কথাটা সবার জন্য প্রযোজ্য কিনা তবে আমি ব্যক্তিগতভাবে খাওয়া-দাওয়া করতে এবং ঘোরাঘুরি করতে অনেক বেশি পছন্দ করি। আজকে এই রেসিপিটা আমি এবং আমার আম্মু দুজনে মিলে তৈরি করেছি । তাই আজকের বড় একটা ক্রেডিট আমার আম্মুকে দিতে চাই। উনি মাঝেমধ্যে আমাদের জন্য এমন সুস্বাদু সুস্বাদু খাবার তৈরি করেন যে সত্যি বলে বোঝাতে পারবো না !!! আর এমন হয়ে গেছে যে মায়ের হাতের রান্না না খেলে যেন এখন আর তৃপ্তি পায় না। আমি আমার জায়গা থেকে বলছি আমার আম্মুর হাতের রান্না সত্যি অনেক বেস্ট। যাই হোক বেশি কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখে আসি কিভাবে সুস্বাদু রেসিপিটা খুব সহজে তৈরি করা যায়......।
মশলাপাতি | পরিমাণ |
---|---|
পেঁয়াজ ও রসুন বাটা | পরিমাণ মতো |
মরিচের গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
হলুদের গুঁড়ো | পরিমাণ মতো |
লবন ও পানি | স্বাদ অনুযায়ী |
সয়াবিন তেল | পরিমাণ মতো |
![]() |
---|
চলুন কৈ মাছ সম্পর্কে দুটো কথা আপনাদের মাঝে শেয়ার করি। প্রথমে আপনারা বাজার থেকে কৈ মাছ সংগ্রহ করে নেবেন আর যদি এই মাছটা দেশীয় মাছ হয় সেক্ষেত্রে স্বাদটা আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে । এটি হচ্ছে আমাদের নিজেদের পুকুরের মাছ তাই একেবারে নির্ভেজাল। আপনারা যদি এভাবে আমার মত সংগ্রহ করে খেতে পারেন সে ক্ষেত্রে বেশ দারুন ব্যাপার হবে।
![]() |
---|
এবার যে প্রয়োজনীয় মসলা পাতি গুলো রয়েছে যেমন হলুদ ঝাল, পেঁয়াজ বাটা ইত্যাদি গুলো ভালো করে এর উপরে আর রেখে দিলাম যাতে আপনারা একনজরে এটি দেখে নিতে পারেন যে এই রেসিপিটার মধ্যে আমরা কি, কি ব্যবহার করছি। এটা স্বাদ অনুযায়ী কম বেশি হতে পারে কারণ অনেকে ঝাল বেশি খায় আবার অনেকে কম খায় এই ব্যাপারটা মাথায় রেখে আপনারা এটা সাজিয়ে নিতে পারেন।
![]() |
---|
এবার মসলা পাতি গুলো ভালো করে মাখিয়ে নিতে হবে। আর একেবারে যেন ভুলবেন না এর সাথে সামান্য পরিমাণ লবণ ছিটিয়ে নিবেন তাহলে মাছের স্বাদ আরো বেশি বৃদ্ধি পাবে। তারপরে সুন্দর করে মাখিয়ে এইভাবে রেখে দিতে পারেন এবং গরম তেলে ভাজার জন্য প্রস্তুত করতে পারেন।
![]() |
---|
এবার এগুলো গরম তেলে ভেজে নিব । আমি এখানে সয়াবিন তেল ব্যবহার করেছি আপনারা চাইলে এখানে সরিষার তেল অথবা অন্য জাতীয় তেল ব্যবহার করতে পারেন এটা সম্পূর্ণ আপনার নিজের ব্যাপার। অনেকক্ষণ যাবৎ এটি ভালো করে ভেজে নিবেন যতক্ষণ না মাছের রংটা ব্রাউন হয়ে যাচ্ছে।
![]() |
---|
এবার সামান্য পরিমাণ তেল এবং পানি দিয়ে এবং প্রয়োজনীয় যে সবজিগুলো রয়েছে ওগুলো এর ভিতরে ছেড়ে দিতে হবে এবং এটি সিদ্ধ হওয়ার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। এবং সিদ্ধ হওয়ার শেষে এর উপরে আর কিছু মসলা পাতি চাইলে ছিটিয়ে দিতে পারেন সে ক্ষেত্রে জিনিসটা আরো বেশি ভালো হবে।
![]() |
---|
দেখতে পাচ্ছেন রেসিপিটা প্রায় হয়ে এসেছে। তো এভাবে রেসিপিটা সিদ্ধ হওয়ার পরে আপনারা চাইলে সামান্য পরিমাণ জিরা গুড়া এর উপরে ছিটিয়ে দিতে পারেন তাহলে রেসিপিটার স্বাদ আরও ২০ পার্সেন্ট হয়তোবা বৃদ্ধি পাবে। যাই হোক এখন এই রেসিপিটা পরিবেশন করার জন্য একদম প্রস্তুত।
ব্লগার | @emonv |
---|---|
ডিভাইস | Infinix note 11 pro |
শ্রেণী | পাওয়ার আপ |
আমার নাম মোঃ ইউনুস আলী ইমন। বর্তমানে আমি সিরাজগঞ্জ মৎস ইনস্টিটিউট এর একজন ছাত্র হিসেবে পড়াশোনা করছি। এছাড়া পরিচয় দেওয়ার মতো এখনো কিছু করে উঠতে পারেনি তবে নিজের ব্যক্তিত্ব এবং ক্যারিয়ারের উপরে কাজ চলমান......। আমি নিজেকে ভেঙে চুড়ে নতুন করে আবিষ্কার করতে অনেক পছন্দ করি এবং আমি মানুষকে সাহায্য করতে অনেক ভালোবাসি। আমি প্রায়শই নিজেকে আবিস্কার করি। কেননা এটা আমার কথায় এবং লিখাতে নতুন স্বাদ যুক্ত করে, যার ফলে আমি নিজের সবথেকে ভালো টুকু আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে পারি। আমি প্রতিদিন একবার নিজের সাথে কথা বলি, কারণ এটা আমার নিজের প্রতি আত্মবিশ্বাস আরো বাড়িয়ে দেয়। আমি ভ্রমণ করতে এবং ফটোগ্রাফি করতে অনেক পছন্দ করি। আমি প্রতিনিয়ত নতুন ,নতুন মানুষদের সাথে মিশে তাদের জীবনের অভিজ্ঞতার ভালোটুকু আমার জীবনে বাস্তবায়িত করতে পছন্দ করি। আপনাকে স্বাগতম আমার সম্পর্কে জানতে আগ্রহী হওয়ার জন্য। ভালোবাসা রইলো অবিরাম সবাইকে 💝।
VOTE @bangla.witness as witness
OR
SET @rme as your proxy
![]()
দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন। কৈ মাছ খেতে আমার কাছে ভীষণ ভালো লাগে। তাছাড়া আপনি চমৎকার ভাবে রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়া আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। তবে আমার কাছে কৈ মাছ ভুনা করে খেতে বেশি মজা লাগে। ধন্যবাদ এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি রেসিপি তৈরি করে। আসলে কৈ মাছ দেখতে কিছুটা তেলাপিয়া মাছের মত তবে কৈ মাছ খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। রেসিপি তৈরির প্রসেস এত সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ বন্ধু।
কৈ মাছ এমন একটি মাছ, যেটি সকলের প্রিয় একটি মাছ। আসলে কৈ মাছ আমার ও অনেক বেশি প্রিয় একটি মাছ। আপনি দেখছি আজকে খুবই সুন্দর করে কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি রেসিপি টি দেখে মনে হচ্ছে বেশ মজাদার হয়েছিল। আপনি ধারাবাহিক ভাবে খুবই সুন্দর করে রেসিপি টি সম্পন্ন করেছেন। আপনার রেসিপি টি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে।
মায়ের হাতের রান্না খেতে সবাই পছন্দ করে। তবে রেসিপি তৈরির পদ্ধতি আরো ভালোভাবে উপস্থাপন করলে ভালো হতো ভাইয়া। কৈ মাছ আমি অনেক পছন্দ করি। তবে অনেকদিন থেকে কৈ মাছ খাওয়া হয় না।
বন্ধু তুমি আজকে আমাদের মাঝে খুবই লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছ। তুমি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছ কৈ মাছের খুবই সুস্বাদু রেসিপি। কৈ মাছ খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তোমার শেয়ার করা এই পোস্টের মাধ্যমে কৈ মাছের রেসিপি দেখেই জিভে জল চলে আসছে। রেসিপিটি দারুন ছিল। অসংখ্য ধন্যবাদ বন্ধু শেয়ার করার জন্য।
ভাইয়া আপনি আজকে কই মাছের সাথে রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। এই ধরনের কই মাছগুলো রান্না করার থেকে ভাজা খেতে আমার কাছে বেশি ভালো লাগে। আপনি কই মাছের মধ্যে ঢেঁরস দিয়ে রান্না করেছেন দেখে বেশ ভালো লাগলো। ধন্যবাদ ভাইয়া শেয়ার করার জন্য।
দেখে মনে হচ্ছে কৈ গুলো দেশি ছিলো।দেশি কৈ এর খুবই সুস্বাদু রেসিপি করেছেন আপনি দেখেই তো লোভ লাগছে।খুব সুন্দর উপস্থাপন হয়েছে ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সর্বপ্রথম কৈ মাছগুলোকে দেখে মনে হচ্ছে যে এই কৈ মাছগুলো হলো দেশি কৈ মাছ। আসলে দেশি কৈ মাছের স্বাদই আলাদা। আসলে আপনি আজকে এমন একটা লোভনীয় খাবার আমাদের মাঝে নিয়ে এসেছেন তা দেখে আমার খুব লোভ হচ্ছে। রেসিপিটা তৈরীর প্রতিটা ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
কৈ মাছের সুস্বাদু রেসিপি দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার রেসিপির পরিবেশনে আমার অনেক ভালো লেগেছে। এত মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
আসলে আপু মেয়েরা বেশিরভাগ রান্না শিখে মায়ের কাছ থেকে। আজকে আপনি খুব সুন্দর করে কৈ মাছের রেসিপি করেছেন। কৈ মাছ খেতে আমার কাছে খুব ভালো লাগে। এই ধরনের রেসিপির মধ্যে হালকা ও পেঁয়াজ ও মরিচ বাড়িয়ে দিলে খেতে খুব সুস্বাদু হয়। খুব মজার রেসিপি শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।