তুমবাদ(Tumbbad) সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আজ আমি একটি মুভি রিভিউ করব। এই মুভিটা খুবই ভয়ের এবং শিক্ষনীয়।এবং লোভের শেষ ফলাফল কী হয় এটা নিয়ে নির্মিত। এই মুভিটা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। মুভিটার নাম তুমবাদ। এটা সম্ভবত একটি হিন্দি মুভি। আজ এই মুভির বিষয়ে আমি আপনাদের সাথে আলোচনা করব। সবাই সাথেই থাকবেন। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
মুভির কিছু তথ্য:
------ | ------ |
---|---|
মুভির নাম | তুম্বাদ |
পরিচালক | রাহী অনিল বার্বে। |
প্রযোজক | সোহুম শাহ |
পরিবেশক | ইরোস ইন্টারন্যাশাল |
মুক্তি | ১২ অক্টোবর ২০১৮ |
মুভির দৈর্ঘ্য | ১০৪ মিনিট |
দেশ | ভারত |
ভাষা | হিন্দি |
ব্যয় | ₹৫ কোটি |
আয় | ₹১৩.৫৭ কোটি। |
অভিনয়ে,
নাম | চরিএ |
---|---|
সোহুম শাহ | বিনায়ক রাও |
জ্যোতি মালশে | বিনায়কের মা |
দীপক দামলে | রাঘব |
ধুন্ডিরাজ প্রভাকর | কিশোর বিনায়ক |
রুদ্র সোনী | সদাশিব |
পুষ্পক কৌশিক | দাদীমা |
মোহাম্মদ সামাদ | পান্ডুরং |
মুভির কাহিনি সংক্ষেপ.
কয়েক হাজার বছর আগের কথা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের এই ছেলে ছিল। তার নাম হস্তর।খুবই আদরের। এবং দেবীর কাছে ছিল অসংখ্য সোনা এবং আনাজ বা সবজি। হস্তর দেবীর সব সোনা চুরি করে নেয় কিন্তু আনাজ সবজি চুরি করতে পারে না। সমস্ত দেবতারা হস্তরের উপর ক্ষিপ্ত হলেও দেবী তাকে রক্ষা করেন। কিন্তু একটা অভিশাপ পায় হস্তর যে কেউ তাকে পুজো করবে না। এভাবেই অনেক বছর কেটে যায়। হঠাৎ পৃথিবীর এক লোভী জমিদার সম্পদের লোভে হস্তরকে পুজো করতে থাকে। এবং হস্তরের সোনা সে এক কৌশলে নেয়। সেই জমিদারের কোনো ছেলে সন্তান স্ত্রী ছিল না। ছিল এক রক্ষী পত্মী। সেই পত্নীর দুই ছেলে ছিল একজনের নাম বিনায়ক এবং অন্যজনের নাম জানা নেই।তারা তুম্বাদ গ্রামেই বসবাস করত।
তাদের উদ্দেশ্য ছিল জমিদার মারা গেলেই তারা হস্তরের হাতা থাকা মুদ্রার দখল নেবে। একদিন জমিদার মারা যায়। এবং বিনায়কের মা সোনা টা হাতে নেয় এবং সাথে সাথে দূর্ঘটনায় তার ছোট ছেলে মারা যায়। মানে এই সোনাটা এ অভিশপ্ত যে এটা হাতে নেবে সে খুবই লোভী হয়ে যাবে এবং বিপদে পড়বে। এরপর বিনায়কের মা বিনায়ককে নিয়ে তুম্বাদ ছেড়ে চলে যায়। এবং বিনায়ক তার মায়ের কাছে ওয়াদা সে কখনো এই তুম্বাদে ফিরে আসবে না। এরপর ২৫-৩০ বছর কেটে যায়। বিনায়কের মা বেঁচে নেই। তাই তার মায়ের কথার আর দাম নেই তার কাছে। সে এখন খুবই অভাবগ্রস্ত। সে হস্তরের খাজানার লোভে তুম্বাদে ফিরে আসে। এবং তাদের আগের বাড়িতে যায় এরপর তার অভিসপ্ত দাদীমার থেকে খাজানা সম্পর্কে জানে। এরপর জমিদার বাড়িতে কয়েকমাসের প্রচেষ্টায় সে খাজানার খোজ পায়। এবং এই খাজানা একটি বিশেষ পদ্ধতিতে আনতে হয়। ভূল করলেই মৃত্যু।
এরপর বিনায়ক তার বাড়িতে ফিরে যায়। এবং তার এলাকার রাঘব নামের একজন কিছু টাকা পেত। সে ঐ টাকা পরিশোধ করে এবং নিয়মিত খাজানা সংগ্রহ করে বড়লোক হতে থাকে। এসব দেখে রাঘব বিনায়কের সাথে দেখা করে বলে আমাকে তোমার ব্যবসার ভাগিদার করে নাও। কিন্তু বিনায়ক তাতে রাজি হয় না। একদিন বিনায়কের পিছু নিয়ে রাঘব খাজানা উদ্ধার করা দেখে এবং সে নিজে যখন উদ্ধার করতে যায় খাজানা তখন সে একটা ভূল করে এবং হস্তর তাকে কামড়ে দেয় এবং সে অভিসপ্ত হয়। অর্থাৎ তাকে না পোড়ালে সে কোনদিন মরবে না। বিনায়ক তাকে আগুনে পুড়িয়ে মুক্তি দিয়ে দেয়।
বিনায়কের বয়স হয়ে যাই। সে এখন এতো ঝুঁকি নিয়ে আর খাজানা উদ্ধার করতে পেরে উঠে না। তাই বিনায়ক তার ১৩ বছরের ছেলেক ট্রেনিং দেয়। এবং ট্রেনিং শেষ হলে বিনায়ক তার ছেলেকে সাথে করে ঐ খাজানার আনতে যায়। মূলত ঐ খানে গিয়ে খাদ্য জাতীয় কোনো কিছু যেমন আটার পুতুল বের বের করলেও হস্তর চলে আসে। এবং আগেই আটা দিয়ে একটি গোল কাটতে হয় যেন হস্তর তাদের কোনো ক্ষতি করতে না পারে। হস্তর দেবীর আনাজ চুরি করতে না পারায় হস্তর সবসময়ই খুদার্ত থাকে এবং ঐ আনাজ দেখে সে ভয়ই পাই। এরপর সে এবং তার ছেলে একেবারে অনেক গুলো আটার পুতুল নিয়ে যায় এবং ভাবে একবারে এতো পরিমাণ খাজানা নিয়ে যাব যে জীবনে আর এখানে আসতে হবে না।
কিন্তু তারা জানত না যে এখানে একাধিক হস্তর আছে। এবার তারা অনেক বড় বিপদে পড়ে যায়। এবং তারা খাজানা না নিয়ে পালাবে ঠিক করে। কারণ থাকলে হস্তর তাদের কামড়ে দেবে এবং তারা অভিসপ্ত হয়ে যাবে। বিনায়কের ছেলে আগে উঠে পালাতে পারলেও বিনায়ক পালাতে পারেনি হস্তর তাকে ঠিকই কামড়ে দেয়। এটা দেখে বিনায়কের ছেলে আর সহ্য করতে পারে না। সে বাধ্য হয়ে তার বিনায়ক কে আগুনে পুড়িয়ে মুক্তি দেয়। এবং সে বুঝতে পারে লোভের শেষ পরিণাম মৃত্যু। তাই বিনায়কের ছেলে ওয়াদা করে সে আর কখনো এই তুম্বাদে ঐ খাজানা উদ্ধার করতে আসবে না। এখানের মুভিটা শেষ হয়।
মুভিটার শেষ দৃশ্য মনে হচ্ছে অনেক ভয়ঙ্কর।পুড়িয়ে মেরে ফেলে।সত্যিই অতি লোভের ফল ভালো হয় না।মুভিটা দারুণ রিভিউ করেছেন।ধন্যবাদ আপনাকে।
ধন্যবাদ আপনার মন্তব্যের জন্য।।
সব মিলিয়ে অসাধারণ ছিল। আসলে যখন রিভিউ পড়ি পরে নাম মনে থাকে না হাহহাহাহ।
খাজানা নিতে যেয়ে ভুল করার বিষয় টা একটু কেমন আকর্ষণ জাগিয়ে দিল সত্যি। আর তাকে মুক্ত করার জন্য আগুনে পুরাতে হবে এটা তো আরো আকর্ষণ করে দিল।
আপনারা এত সুন্দর সুন্দর মুভির লিং যে দেন সময় পাবা হানি কই হাহহাহা। কিন্তু দেখতে যে মোর মনে লয়
ভাই মুভিটা ইউটিউবে নাই। সেজন্য দিতে পারি নাই। অন্য কোথাও থেকে দেখে নিতে পারেন। ধন্যবাদ।।
আমি তো এই মুভি দেখিইনি। দেখিনি সেটা বড় ব্যাপার বা মূখ্য বিষয় নয়। গল্প পড়ে মনে হচ্ছে ভালো রকমের একটি মাস্টার মিস বাদ দিলাম। আমার তো অনেক ভালো লেগেছে মুভির গল্পটি। তবে একটু ভয়ানক ও ছিলো মনে হলো।
ভয়ানক বলতে,
এই বিষয়টি ভয়ানক ছিলো।
মুভিটা দেখতে পারেন। আমি নিশ্চিত আপনি দেখলে ভয় পাবেনই😄😄
join #club5050 tag and receive extra vote from steemcurator01, steemcurator02 ' @steemcurator07.
Your post up-vote from country representatives Bangladesh @sm-shagor..
Always follow @steemitblog.
Thanks to visited my post..
অনেক সুন্দর ভাবে রিভিউটা উপস্থাপন করেছে। যদিও আমি আগে এই মুভিটা দেখিনি। তবে তোমার পোষ্টটা দেখে ছবিটা সম্পর্কে অনেক।কিছু জানলাম।
শুভ কামনা রইল।
ধন্যবাদ 😊
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি ভিডিও দেওয়ার জন্য। আমি এই মুভিটি এর আগে দেখিনি। তবে আপনার রিভিউ দেখে মনে হল মুভিটি অনেক ইন্টারেস্টিং হতে চলেছে। আমি একটা জিনিস বুঝলাম না হস্তর মানে কি?
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই আবারো
হস্তর এই মুভির মূল চরিত্র। এটা একটা অদ্ভূত প্রাণী। ধন্যবাদ ভাই।।
খুব সুন্দর মুভি রিভিউ দিয়েছেন। মুভিটা আমার দেখা হয়নি। তবে আপনার রিভিউ দেখে মুভিটি দেখার জন্য আগ্রহী করে তুলল।ধন্যবাদ আপনাকে।
দেখতে পারেন। খুব ভালো একটা মুভি।