!!নেশা!!সমাজের জন্য এক মারাত্মক ঝুঁকির নাম। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।

ভালো খারাপ নিয়েই মানব সমাজ গঠিত। সমাজে ভালো খারাপ উভয়েরই দরকার আছে। তবে আমরা ভালো টাকেই সবাই প্রাধান্য দেব। নেশা বতর্মান সমাজের জন্য যেন এক মারাত্মক ঝুঁকির নাম। বতর্মান সমাজের অর্ধেক লোক মাদকাশক্ত। এরজন‍্য যেমন সে নিজেই ক্ষতিগ্রস্ত হয় ক্ষতিগ্রস্ত হয় তার পরিবার সমাজ এবং রাষ্ট্র। এখন বোধগম্য নাও হতে পারে। আমার সাথে থাকুন বুঝে যাবেন। এই নেশার জন্য বর্তমানে সমাজে এতো অপরাধের সৃষ্টি হচ্ছে। ধ্বংস হচ্ছে আমাদের যুবসমাজ। বাড়ি থেকে আর কতদিন একজন কিশোর নেশার টাকা নিবে। একসময়ে গিয়ে সে কিন্তু ঠিকই চুরি ছিনতাই এইসব অপরাধের সাথে জড়িয়ে যাবে। আবার নেশাগ্রস্ত হয়ে ধর্ষণ খুন এই রকম অপরাধের সৃষ্টিও হতে পারে। এবং আমরা এখন যত অপরাধের কথা শুনি। প্রায় অধিকাংশেরই পেছনে থাকে এই মাদকাশক্ত নেশাগ্রস্তদের হাত। প্রতিটা ধর্মের ধর্ম গ্রন্থেই নেশা এর সম্পর্কে বলা হয়েছে এবং নিষেধ করা হয়েছে। এখন আমার নিজের দেখা কিছু ঘটনা শেয়ার করব।

---

---

ঘটনা ১

---

---

এই ঘটনাটা গত বুধবারের। ঘটনাটা একেবারে দিনেরবেলা কুমারখালী বাসস্ট্যান্ডে ঘটে যায়। কুমারখালী থানার অওতাধীন এলাকায় ছেলেটার বাড়ি। নাম জুয়েল। বয়স এই ৪০ বছর। তার বাবা ছিল একসময় ফুড অফিসার। অনেক বড় একজন কর্মকর্তা। বাবার টাকার অভাব নাই। পরিবারের এই অগাত টাকার কারণে সে সঙ্গ দোষে পড়ে কোনো একসময় নেশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এখন সে প্রায় সকল প্রকার নেশা করে। গত বুধবার সে ১১ টার দিকে নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাইক চালাচ্ছিল। এমন সময় তার বাইক একটি ভ‍্যানের সাথে বেঁধে যায়। দোষটা ভ‍্যান চালকের ছিল না। যেহুতু জুয়েল নেশাগ্রস্ত তার নিজের উপর কোনো নিয়ন্ত্রণ নেই। ভ‍্যান চালকের সাথে কথা কাটাকাটি চলে। এরই মধ্যে হঠাৎ করে জুয়েল পকেট থেকে চুরি বের করে ভ‍্যান চালকের গলায় আগাত করে। ভ‍্যানচালক ওইখানেই মৃত্যুবরণ করে। পরে কুমারখালী হাসপাতালে নিয়ে গেলে তাকে মৃত ঘোষণা করা হয়। ভ‍্যানচালক ছেলেটার বয়স ২৫-২৬ হবে। এবং জুয়েলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে।কী দোষ ছিল ছেলেটার?? এই অপরাধের পেছনে দায়ী কে জুয়েল না নেশা??

---

---

ঘটনা ২

---

---

নুসরাত বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ে। একদিন সন্ধ‍্যার পর টিউশনি করে সে ছাএাবাসে ফিরছে। এবং রাস্তায় ছিল কিছু নেশাগ্রস্ত ছেলে। নুসরাত দেখে তারা আর নিজেদের সামলাতে পারেনি। এবং ঐ জায়গাটাই কেউ ছিল না। ঐ তিনজন নেশাগ্রস্ত ছেলে নুসরাতকে ধর্ষণ করে। এবং ঘটনাস্থলেই নুসরাতের মৃত্যু হয়। এখানে দায়ী কে?? নুসরাতের কী অপরাধ ছিল। ধর্ষণ হতে আমাদের দেশে অনেক দেখা যাচ্ছে। গত কয়েকদিন ধরে আমরা গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ঘটনা টা দেখছি।

---

---

উপরের দুই ঘটনার উভয় জায়গাই অপরাধী ছিল নেশাগ্রস্ত। এবং তার এই নেশার আক্রোশর স্বীকার হয় অন্য নিরাপরাধ দুইজন মানুষ। নেশার জন্য এভাবেই সমাজ রাষ্ট্র ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। প্রকৃতপক্ষে সবাই ওই অপরাধীদের ঘৃণা করবে। হ‍্য করারই কথা। কিন্তু আমাদের বলা উচিত আমরা অপরাধী না অপরাধ কে ঘৃণা করি। আমরা নেশাগ্রস্ত কে না নেশা কে ঘৃণা করি। আমরা সবাই এইদিকে সাবধান থাকব। আমার আপনার ছেলে সন্তান ভাই যেন এই নেশার পাল্লায় না পড়ে।

---

---

---

---

সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।

---

---

---

---

---

---