ধোনির যে সিদ্ধান্ত বদলে দিয়েছে ক্রিকেট কে।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ক্রিকেট আমরা মোটামুটি সবাই দেখি কম বেশি। বিশেষ করে ভারত উপমহাদেশে ক্রিকেট টা বেশ জনপ্রিয়। আর বিশ্ব দরবারে আমাদের বাংলাদেশ মোটামুটি এই ক্রিকেট এর জন্য বেশ পরিচিত। ক্রিকেট ইতিহাসের সেরা অধিনায়ক কে? এই প্রশ্ন করলে অনেকেই অনেক নাম বলবেন। তবে কয়েকটা নাম কমন থাকবে। ক্রিকেটে আমার পছন্দের অধিনায়ক এবং আমার মনে হয় এখন পযর্ন্ত সর্বকালের সেরা ক্রিকেট অধিনায়ক হলেন মাহেন্দ্র সিং ধোনি। আমার সঙ্গে আপনার দ্বিমত থাকতে পারে। কিন্তু আমার মতে ধোনির মতো ঠান্ডা মাথার অধিনায়ক ক্রিকেটে আমি দেখি নাই। ক্রিকেটে ধোনির সবধরনের অর্জন আছে। এবং ধোনি চলে যাওয়ার পর ভারতীয় দলের অর্জন প্রায় শূণ্য বলা যায়। শেষ কয়েক বিশ্বকাপে সেমিফাইনাল থেকে বিদায় নিতে হয়েছে ক্রিকেটের এই পরাশক্তিকে। তার সবচাইতে বড় কারণ সঠিক নেতৃত্ব।
আপনি কী জানেন মাহেন্দ্র সিং ধোনির একটা সিদ্ধান্ত পুরো ক্রিকেট পাড়ার দৃষ্টিভঙ্গি বদলে দিয়েছে। ক্রিকেটে ব্যাটিং বোলিং এর পাশাপাশি ফিল্ডিং টা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু একটা সময় এই ফিল্ডিং টা কে কেউ ক্রিকেট মাঠে বিশেষ স্কিল বা বিশেষ দিকে বলে বিবেচনা করত না। কিন্তু পূর্বেও আমরা জন্টি রোডস, হার্সেল গিবস, ফাফ ডু প্লেসি কিংবা বতর্মানের রবীন্দ্র জাদেজা, শাদাব খানের মতো ফিল্ডার দেখেছি। যারা কীনা অসাধারণ ফিল্ডিং প্রদর্শন করে থাকে ক্রিকেট মাঠে। যাইহোক এবার আসল ঘটনায় আসি। ২০০৭ সালের বিশ্বকাপে ভারত গ্রুপ পর্ব থেকে বিদায় নেয়। যেটা তাদের ক্রিকেটের জন্য মোটেও সহজ বিষয় ছিল না। এরপর প্রথমবার ভারতীয় দলের অধিনায়কের দায়িত্ব পাই মাহেন্দ্র সিং ধোনি।
অধিনায়কের দায়িত্ব পাওয়ার পরেই ধোনি তার বোর্ডের প্রধানদের কে বলেন ২০১১ বিশ্বকাপের প্রস্তুতি আমাদের এখন থেকেই শুরু করতে হবে। এটা বোর্ড কর্মকর্তারা সহজে গ্রহণ করেননি। কারণ তখনও বিশ্বকাপের বাকি চার বছর। এতো দ্রুত বিশ্বকাপ প্রস্তুতি শুরু তখন কেউ চিন্তা করত না। ধোনি বলেন প্রথমত আমাদের দক্ষ ভালো কিছু ফিল্ডিং তৈরি করতে হবে। এবং আমাদের দলের খেলোয়ারদের কে ফিল্ডিং এর উপর জোর দিতে হবে কাজ করতে হবে। তখন একজন বোর্ড প্রধান বলেন হঠাৎ ফিল্ডিং এতো ভালো করে কী হবে। ধোনি তখন বলে একজন ব্যাটসম্যান রান করতেও পারে আবার নাও করতে পারে। একজন বোলার উইকেট পেতে পারে আবার অনেক রান দিতে পারে। কিন্তু একজন ভালো ফিল্ডার প্রতি ম্যাচে ২০ রান সেভ করতে পারে তার ভালো ফিল্ডিং এর মাধ্যমে। এখন ভেবে দেখেন দলে যদি দক্ষ ভালো ২ থেকে ৩ জন ফিল্ডিং থাকে তাহলে গড়ে ৫০ রান কম হবে।
পরবর্তীতে ধোনির এই যুগান্তকারী সিদ্ধান্তের প্রতিফলন দেখেছে পুরো বিশ্ব। ২০১১ সালে অসাধারণ একটা বিশ্বকাপ কাটাই ভারত। যার অন্যতম প্রধান ভূমিকা পালন করে দলের ফিল্ডার রা। পরবর্তীতে এই ফিল্ডিং এর দিকে প্রতিটা দেশ নজর দিতে শুরু করে। প্রতিটা দেশ তাদের ফিল্ডিং লাইন আপ শক্তিশালী করতে শুরু করে। ভালো ফিল্ডার তৈরি করতে ফিল্ডিং কোচ নিয়োগ দেওয়া শুরু করে। এখন প্রতিটা দেশের ক্রিকেটে একজন ফিল্ডিং কোচ রয়েছে। এবং বর্তমানে অনেক ক্রিকেটার আছে যারা ফিল্ডিং এর জন্য দলে আলাদা একটা অবস্থান তৈরি করে নিয়েছে। কিন্তু এই যুগান্তকারী অবদান টা নেয় মাহেন্দ্র সিং ধোনি। বিষয়টা সত্যিই অসাধারণ। ধোনিরা আসে হঠাৎ হঠাৎ। ধোনি রা আসে ক্রিকেট কে অনেক কিছু দিতে আসে ক্রিকেট কে সমৃদ্ধ করতে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
মহেন্দ্র সিং ধোনি আমার বেশ প্রিয় একটা খেলোয়ার। অত্যন্ত নম্র ভদ্র একজন মানুষ। মাঠের মধ্যে আমি কখনো তার বাজে বিহেভ দেখি নাই। তার এই যুব উপযোগী সিদ্ধান্তের জন্য পুরা ক্রিকেট পাল্টে গেছে। প্রত্যেকটা ক্রিকেটার ফিল্ডিং এর দিকে মনোযোগী হয়েছে এবং আগের তুলনায় এখন ফিল্ডিং অনেক ভালো দেয়। ধনীর সিদ্ধান্তটার জন্য পুরো ক্রিকেট পাল্টে গেছে।
Hi, @emon42,
Thank you for your contribution to the Steem ecosystem.
Your post was picked for curation by @rex-sumon.
Please consider voting for our witness, setting us as a proxy,
or delegate to @ecosynthesizer to earn 100% of the curation rewards!
3000SP | 4000SP | 5000SP | 10000SP | 100000SP