-:দ্বিতীয় পুরুষ :- সম্পূর্ণ মুভি রিভিউ। ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
আশাকরি সবাই ভালো আছেন। আমি ভালো আছি। আমি প্রায় নিয়মিত মুভি দেখে থাকি। আমি প্রেম ভালোবাসা বাদে সকল প্রকার মুভি পছন্দ করি। আজ আমি আমার পছন্দের একটি মুভির রিভিউ করব। এটা থ্রীলার টাইপের একটি মুভি। ছবিটির নাম দ্বিতীয় পুরুষ। এর আগে এই ছবির প্রথম পাঠ বের করা হয়। যেটার নাম ছিল বাইশে শ্রাবণ। তো চলুন শুরু করা যাক। এই পোস্টের ১০% বেনিফেসিয়ারি @shy-fox এর জন্য।
মুভির গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
------ | ------ |
---|---|
নাম | দ্বিতীয় পুরুষ |
পরিচালক | সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
প্রযোজক | শ্রী ভেঙ্কটেস ফিল্ম |
রচয়িতা | সৃজিত মুখোপাধ্যায় |
সুরকার | অনুপম রায় |
মুক্তি | ২৩ জানুয়ারি ২০২০ |
দেশ | ভারত |
ভাষা | বাংলা |
অভিনেতা | চরিএ |
---|---|
অনাবার্ণ ভট্টাচার্য | পল্টন |
পরমবত চট্টোপাধ্যায় | খোকা/ অভিজিৎ পাকরাসী |
রাইমা সেন | অমৃতা |
শুভ্র সৌরভ | গোরা |
গৌরব চক্রবর্তী | রজত |
বাবুল সুপ্রিয় | প্রণব রায় চৌধুরী। |
অন্যান্য চরিএে | আরো অনেকে |
মুভির কাহিনি সংক্ষেপ
হঠাৎ কলকাতার বুকে একজন খুন। কিন্তু আশ্চর্য এই খুনের সাথে মিল রয়েছে ২৫ বছর আগের কিছু খুনের। কলকাতা পুলিশ তাদের অভিজ্ঞ একজন পুলিশ অফিসার অভিজিৎ পাকরাসী কে এই খুনের তদন্তের দায়িত্ব দেয়। এই অভিজিৎ পাকরাসী অত্যন্ত মেধাসম্পন্ন এবং এই ধরনের কেস সমাধানে দক্ষ একজন অফিসার। অভিজিৎ পাকরাসী প্রথমেই ২৫ বছর আগের খুনের বর্ণনা গুলো শুনে নেয়। ২৫ বছর আগে ঐ এলাকায় একটা গ্যাং ছিল। এবং ঐ গ্যাং এর প্রধান ছিল খোকা নামের একজন।
ঐ এলাকায় যখনই কেউ খোকার বিরুদ্ধে যেত খোকা তাকে মেরে ফেলত। এবং তার খুনের সবচেয়ে বড় বিশেষত্ব ছিল যে সে খুন করার পর ঐ বডির কপালে বড় করে ক্ষুর দিয়ে খোদাই করে খোকা লিখে রাখত। খোকার সবচেয়ে কাছের সহকারী এবং বন্ধু ছিল পল্টন। ২৫ বছর আগে সে তিনজন কে হত্যা করে এর মধ্যে ১ জন অন্য গ্যাং এর প্রধান একজন পুলিশের খোচর এবং একজন পুলিশ অফিসার। ঐ পুলিশ অফিসার কে হত্যা করার পরের প্রবীর রায় চৌধুরী নামের একজন অফিসার খোকা কে গ্রেপ্তার করে। এবং প্রচন্ড মারে। এরপর তার জেল হয়ে যায়। ২৫ বছর পর খোকা জেল থেকে বেরিয়েছে। এবং খুনের প্যাটার্ন টাও একই। তাই পুলিশরা ধারণা করছে এটা খোকারই কাজ।
সমস্ত কিছু বুঝে নেয় অফিসার অভিজিৎ। অভিজিৎ কে সাহায্য করার জন্য তার সাথে দেয়া হয় একজন তরুণ অফিসার নাম রজত। রজত অল্পকিছুদিন পুলিশে জয়েন করেছে। এবং খুবই বুদ্ধিমান। বেরিয়ে পড়ে দুজন। দুজনেই প্রথমে খুনের ঐ স্পট টাতে যায়। এবং খুনের সবকিছু তদারকি করে। অভিজিৎ বেশ নামকরা অফিসার। কাজ নিয়েই বেশি ব্যস্ত থাকে। সেজন্য সে তার বউকে বেশি সময় দিতে পারে না। এজন্য তার বউয়ের সাথে তার মাঝে মাঝেই কথা কাটাকাটি হয়। এমনই এক কথা কাটাকাটির পর অভিজিৎ বাড়ি থেকে চলে আসে। সে রজতের বাড়ি যায়।
রজতের বাড়ি গিয়ে অভিজিৎ ২৫ বছর আগের কিছু খুনের ক্লীপ দেখে সংবাদ কর্মীদের থেকে নিয়ে। ওখান থেকে ওরা একটা ক্লু পাই। একজন লোককে প্রতিটা খুনের স্পটে দেখা যাচ্ছিল। তার নাম গোরা। গোরা এখন এই এলাকার বেশ ভালো একজন হোটেল মালিক। তার কাছে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ। কিন্তু সে সবকিছু অস্বীকার করে। এরই মধ্যে খোকা আরও একটা খুন করে। হ্যা ২৫ বছর আগের মতোই একজন পুলিশের খোচরকে খুন। এবং সেই একই প্যাটার্ন মেনে খুনটা করা হয়।
অভিজিৎ সন্দেহ করে তাহলে এবার নিশ্চয়ই সেই ২৫ বছর আগের মতোই কোনো পুলিশ অফিসারকে টার্গেট করবে খোকা। এবং সেটাই হলো। একটু কায়দা করে রজত কে নিজের আওতায় আনে খোকা। এবং তারপর সেই প্যাটার্ন মেনেই খুন করে রজতকে। অভিজিৎ এতে করে খুবই ভেঙ্গে পড়ে। কিন্তু সে ঠিক করে সে আবার ঘুরে দাঁড়াবে। এবার সে ঐ গোরাকে তুলে নিয়ে আসে। খোকা সম্পর্কে সমস্ত তথ্য নেয়। অভিজিৎ খুজে পায় খোকাকে। খোকা এবং অভিজিৎ মুখোমুখি।
এইবার আসবে গল্পের আসল মোড়। প্রথমেই খোকা অভিজিৎ কে বলে কী রে খোকা আছিস কেমন। এতে করে অভিজিৎ কিছুটা দ্বিধাগ্রস্ত হয়। তখন খোকা বলে ২৫ বছর আগে পুলিশের মার খেয়ে খোকা তার স্মৃতিশক্তি হারিয়ে ফেলে। এবং পুলিশ অফিসার টা চায় খোকা যেন ভালো একটা জীবন পায়। সেজন্য সে খোকাকে একজন অন্য শহরে পাঠিয়ে দেয়। এবং খোকার সহযোগী পল্টনকে খোকার জায়গাই কারাগারে নেওয়া হয়। এবং সেই খোকাই ২৫ বছর পর অভিজিৎ পাকরাসী হিসাবে ফিরে এসেছে। তাহলে বোঝা যাচ্ছে বর্তমান খোকা হচ্ছে পল্টন এবং অভিজিৎই হচ্ছে সেই খোকা।
এবার এটা নিয়ে খোকা এবং অভিজিৎ এর তর্কাতর্কি শুরু হয়। এক পর্যায়ে অভিজিৎ বিরক্ত হয়ে বলে হ্যা আমি খোকা। এরপর খোকা এবং পল্টন একে অপরকে জড়িয়ে ধরে। হঠাৎ একটা গুলির শব্দ। খোকা শর্ট ডেথ। অর্থাৎ গুলি করে খোকা অর্থাৎ পল্টন কে হত্যা করল অভিজিৎ।খোকা শেষ। অভিজিৎ নিজেও কিন্তু জানত সেই খোকা। কিন্তু সে আর এই অন্ধকার জগতে ফিরে আসতে চাইনি। তাই সে তখন অন্য শহরে চলে গিয়েছিল। এবং খোকাকে শেষ করার পর অভিজিৎ তার অর্থাৎ খোকার ২৫ বছর আগের সেই পছন্দের খাবার চিকন চাউমিন এবং চিলিফিশ খাই। অর্থাৎ ২৫ বছর পরেও খোকা অভিজিৎ হয়েছে কিন্তু তার পছন্দ বদলায় নাই। এখানেই ছবিটি শেষ হয়।
ব্যক্তিগত মতামত
এই ছবিটির প্রথম পাঠ ছিল বাইশে শ্রাবণ ছবিটি। এই দুইটা ছবি আমি দেখেছি। এই দুইটা থ্রীলার টাইপের মুভি বলা যায়। দুটো মুভিতেই সম্পূর্ণ শেষে আসর রহস্য জানা। এই মুভিটা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। মানুষের নাম বদলাতে পারে পেশা বদলাতে পারে কিন্তু তার স্বাদ তার পছন্দ কখনোই বদলায় না। এই ছবিতে এটা একটা শিক্ষা ছিল। এবং খোকা তার জীবনে ভালো হওয়ার একটা সুযোগ পেয়েছিল। এবং সে কিন্তু সেটা ছাড়েনি। সবমিলিয়ে দারুণ একটা মুভি ছিল বলা যায়। অপরাধী যত কৌশলী হোক না কেন সে কোনো না কোনো সময় ধরা পড়বেই।
You have been upvoted by @sm-shagor, a Country Representative of Bangladesh. We are voting with the Steemit Community Curator @steemcurator07 account to support the quality contents on steemit.
Follow @steemitblog for all the latest update and
Keep creating qualityful contents on Steemit!
Joining #club5050 for Extra vote.😊
Thanks to visited my post...