কারাগার পার্ট-2( শেষ পর্ব) সম্পূর্ণ রিভিউ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago


আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।

আজ শুক্রবার, ২০ ই, জানুয়ারি, ২০২৩।

আমি @emon42.

বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে



Screenshot_20221226_174935.jpg



ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য


----------
পরিচালকসাঈদ আহমেদ শাওকী
লেখকনিয়ামোতুল্লাহ মাসুম
চিএনাট‍্যরাশেদুজ্জামান রাকিব
প্লাটফর্মহইচই
সিজেন০২
এপিসোড সংখ্যা০৭
অভিনয়েচঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিন, আফজাল হোসেন, এফএস নাইম, আরও অনেকে।


The Motherland


Screenshot_20221226_175911.png

Screenshot_20221226_175547.png


এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় অনেক আগের দৃশ্য। যেখানে যুবক আলফ্রেড এবং ডেভিড বাংলাদেশের সুন্দর একটা গ্রামে তার মায়ের খোঁজে গেছে। কিন্তু ডেভিডের মা প্রায় মানসিক ভারসাম্যহীন। ডেভিড কে চিনতে পারে না। সেটা দেখে ডেভিড কান্না শুরু করে দেয়। এবং ডেভিডের মা মুখ দিয়ে শুধু একটা কথাই বলছিল গুলজার। এরপরের দৃশ্যে দেখা যায় কারাগারে মিয়া ভাই নিজেই ফাঁসি নিয়ে আত্মহত্যা করেছে। এটা দেখে মিয়া ভাইয়ের তিন শিষ্য কান্নাকাটি করে এবং প্রচণ্ড রেগে যায়। শিষ‍্যদের মধ্যে জালাল গিয়ে ফাঁসি নেওয়াই দড়ি টা খুলে নিয়ে আসে। এবং দেখে দড়িতে রক্ত লেগে আছে। এরপর জালাল বলে মিয়া ভাইয়ের কোনো পোস্টমার্টেম হবে না। এই কারাগার মিয়া ভাইয়ের ঘরবাড়ি ছিল। এখানেই মিয়া ভাইয়ের কবর দেওয়া হবে। জালাল বলে কবর আমরাই খুড়ব মিয়া ভাইরে গোসল আমরাই করাব। এরপর জালাল ঐ দড়িটা নিয়ে চলে যায়। এরপর দেখা যায় মাহা আলফ্রেড এবং দিয়া কথা বলছে। আলফ্রেড মাহাকে বলে দিয়া তোমাকে তোমার বাবার কাছে পৌঁছে দেবে। কিন্তু মাহা বলে না দরকার নেই। কারণ আমার বাবা তো জানেই না আমি আছি। মাহা বলে আমার মা ভেবেছিল উনি গেলে আমার কোনো গার্ডিয়ান থাকবে না। কিন্তু এখন আছে অর্থাৎ সে আলফ্রেড দিয়া ডেভিড এর কথা বলে।


Screenshot_20221226_180036.png

Screenshot_20221226_180031.png


এরপর দেখা যায় জেলার মোস্তাকের বন্ধু ঐ ডিবি অফিসার নিজের গাড়িতে বসে আছে। এবং সে দেখে একজন বোরকা পড়া মহিলার সঙ্গে মাহা। যেমনটা বলেছিল আতাউর। এটা দেখে তার মনে সন্দেহের জন্ম হয়। এরপর দেখা যায় কারাগারে ঐ উকিল ডেভিডের বন্ধু দেখা করতে এসেছে গুলজার এর সঙ্গে। গুলজার বলে আজ বিকেলে বের হচ্ছি টানেল তো আপনিই খুলবেন। সেটা শুনে বেশ অবাক হয়ে যায় ঐ উকিল। কারণ ডেভিড কে মাহার মাধ্যমে বলা হয়েছে একা বের হয়ে আসতে গুলজার এর আর কোনো দরকার নেই। কিন্তু গুলজার বের হচ্ছে শুনে বেশ অবাক হয়ে যায় ঐ উকিল। এরপর দেখা যায় জালাল গিয়েছে কারাগারে ডেভিড এর সঙ্গে দেখা করতে। জালাল গিয়ে ডেভিড কে বলছে মিয়া ভাই আত্মহত্যা করেছে। আমাদের জন্য কিছু রেখে যায়নি। সব পুড়িয়ে ফেলেছে। তবে আপনাকে এটা দিয়ে যেতে বলেছে। জালাল ডেভিড কে সেই দড়ি দেয় যেটা দিয়ে আত্মহত্যা করেছে মিয়া ভাই। অন‍্যদিকে সাধারণ কয়েদীরা অপেক্ষায় আছে বিকেলের কারণ বিকেল হলেই সব কয়েদী ঝাঁপিয়ে পড়বে পুলিশদের উপর।


Screenshot_20221226_175521.png

Screenshot_20221226_175953.png


অন্য দিকে উকিল গিয়ে আলফ্রেডকে বলছে ডেভিড কে জানাস নি। আলফ্রেড বলছে হ‍্যা কেন কী হয়েছে। তখন উকিল বলছে আমি গিয়েছিলাম গুলজার সাহেবের কাছে। উনি বলছেন উনিও নাকী আজ বিকেলে বের হচ্ছেন ডেভিডের সঙ্গে। এটা শোনার সঙ্গে সঙ্গে আলফ্রেড বুঝে যায় ডেভিডের পরিকল্পনা এবং বলতে থাকে নো ডেভিড নো। পরের দৃশ্যে দেখা যায় ডেভিড কারাগারের দেয়ালে তার মায়ের নাম লিখছে মরিয়ম। ঐ সময়ে রাজু এসে বলে আমার মায়ের নাম লিখছেন তো জ‍্যোতী। রাজু বলে কাকা কয়েদীরা সব ক্ষেপে রয়েছে যুদ্ধ হবে কাকা যুদ্ধ। কিন্তু ডেভিডের মন খারাপ। রাজে সেটা দেখে জিজ্ঞেস করে প্ল‍্যান ঠিক আছে তো। তখন রাজু বলে আমি চাবি পাঠিয়ে দিব আপনি যান। ডেভিড বলে রাজু তুই যাবি না। রাজু বলে আমার কাজ তো এখনো শেষ হয়নি আপনি যান। আমি আসতেছি। অন‍্যদিকে জেলার মোস্তাক তার পদত‍্যাগপএ দেয় বড় অফিসারের কাছে। তখন ঐ অফিসার বলে এখন কেন এটা। সামনে জেল শিপটিং আপনাকে বলছি না জেল শিপটিং এর সময় আপনাকে আমার লাগবে। আর এই কয়েদী কে কোথা কে আসছে মানে ডেভিডে কথা বলে। তখন মোস্তাক বলে ১২ দিন আগে আসছে। মাতৃছায়া ১৪৫ নাম্বার সেলে। তখন ঐ অফিসার দ্রুত বের হয়ে যায় এবং জেলার মোস্তাক কে বলে আসেন আমার সঙ্গে।


Screenshot_20221226_175507.png

Screenshot_20221226_175914.png


অন‍্যদিকে কারাগারে সব কয়েদীরে আক্রমন করে বসে পুলিশদের উপরে। এবং রাজু কৌশলে ঐ সেলের চাবি দেয় গুলজারের কাছে। গুলজার সেটা নিয়ে ডেভিডের সেলের দিকে যেতে থাকে। এবং গাড়িতে বসে ঐ অফিসার বলে ১৪৫ নাম্বার সেলের নিচে একটা টানেল আছে। এটা শুনে মোস্তাক অবাক হয়ে যায় এবং বলে আগে বলেন নি কেন। ঐ অফিসার বলে আপনাদের বলি আর প্রতিদিন একটা করে কয়েদী হারিয়ে যাক ঐ টানেল দিয়ে। অন‍্যদিকে চাবি নিয়ে ডেভিডের সেলের সামনে চলে যায় গুলজার। এবং ডেভিড শব্দ পাই নিচ থেকে টানেলের মুখ খুলে দেওয়া হয়েছে। ডেভিড টানেলের ঢাকনা সরিয়ে নেয়। গুলজার কারাগারের তালা খুলে ভেতরে আসে এবং দেয়ালে মরিয়ম লেখা দেখে পড়তে থাকে। এবং নামটা দেখে অবাক হয়ে যায় এবং বলে মরিয়ম। তখন ডেভিড বলে আমার মা। এবং জালালের দিয়ে যাওয়া দড়িটা গুলজারের গলায় পেচিয়ে দেয়। এবং তখন আগের কিছু দৃশ্য দেখানো হয়। ডেভিড রাগে ক্ষোপে গুলজার কে ফাঁসি দিয়ে দেয় ঐ দড়ি দিয়ে। এবং ডেভিড তার মায়ের কথা মনে করে কাঁদতে থাকে। অন‍্যদিকে কয়েদী এবং পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষে কয়েদীরা অনেক আহত। তখন ঐ অফিসার এবং মোস্তাক দৌড়ে যায় ঐ ১৪৫ নাম্বার সেলে। গিয়ে দেখে সেল খোলা গুলজার ঝুলছে ফাঁসিতে। এবং ডেভিড টানেল দিয়ে চলে গেছে। এখানেই শেষ হয় সিরিজটা।



ব‍্যক্তিগত মতামত



কারাগার পার্ট-১ ছিল পুরোটাই মিস্ট্রি। এবং পার্ট-২ ছিল পুরোটাই হিস্ট্রি। এটা বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের একটা করুন ইতিহাস নিয়ে নির্মিত একটা ওয়েব সিরিজ। যেটা পার্ট-2 তে পুরোপুরিভাবে দেখানো হয়েছে। ডেভিড সুরঙ্গ গিয়ে কারাগারে ঢুকেছিল তার কুলাঙ্গার বাবাকে বের করতে। কিন্তু শেষ সময়ে সে জানতে পারে তার মা মারা গেছে। সেজন্য সে তার প্রতিশোধ হিসেবে জেলের মধ্যে ফাঁসি দিয়ে হত‍্যা করে তার বাবাকে। কারাগার সিরিজে সবার অভিনয় ছিল অনবদ্য। পাশাপাশি সিনেমাট্রোগ্রাফি ছিল অসাধারণ। কারাগার পার্ট-3 আসবে কীনা সে সম্পর্কে কিছু বলা হয়নি কতৃপক্ষ থেকে। তবে আসলেও আপাতত না। তবে পরিচালক শেষে একটা রহস‍্য রেখে গেছে যেটা আমাদের কারাগার পার্ট-3 এর আশা দেখাতেই পারে।





ব‍্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০



অফিশিয়াল ট্রেলার





সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।



IMG_-akkhy.jpg

Facebook
Twitter
You Tube



অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।





Amar_Bangla_Blog_logo.jpg

Banner(1).png

3jpR3paJ37V8JxyWvtbhvcm5k3roJwHBR4WTALx7XaoRovUdcufHKutmnDv7XmQqPrB8fBXG7kzXLfFggSC6SoPdYYQg44yvKzFDWktyjCspTTm5NVQAdTm7UoN34AAMT6AoF.gif



Heroism_Second.png



Coin Marketplace

STEEM 0.16
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 59022.17
ETH 2569.27
USDT 1.00
SBD 2.53