কারাগার পার্ট-2( তৃতীয় ও চতুর্থ ) এপিসোডের রিভিউ।
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
ওয়েব সিরিজের গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য
----- | ----- |
---|---|
পরিচালক | সাঈদ আহমেদ শাওকী |
লেখক | নিয়ামোতুল্লাহ মাসুম |
চিএনাট্য | রাশেদুজ্জামান রাকিব |
প্লাটফর্ম | হইচই |
সিজেন | ০২ |
এপিসোড সংখ্যা | ০৭ |
অভিনয়ে | চঞ্চল চৌধুরী, ইন্তেখাব দিনার, তাসনিয়া ফারিন, আফজাল হোসেন, এফএস নাইম, আরও অনেকে। |
The Brother
ইউটিউব থেকে স্কিনশর্ট নেওয়া হয়েছে।
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় অনেক আগের একটা দৃশ্য। যেখানে যুবক আলফ্রেড এবং ডেভিড কথা বলছে। আলফ্রেড বলছে আমিও তোমার মতো যুদ্ধশিশু এই মিশনারীতেই আমার জন্ম। তোমার কাছে তো খোঁজার মতো একটা নাম আছে আমার কাছে তাও নেই। এরপর আলফ্রেড ডেভিড এর দেওয়া নাম একজনকে দেয় এবং বলে ঠিকানা
খুঁজে দিতে। পরের দৃশ্যে দেখা যায় আতাউরের বাড়ি দিয়া গিয়েছে। এবং বলে তাড়াতাড়ি লুকিয়ে পড়তে কারণ জেলার মোস্তাক তার নামে জেল পালানোর কেস দিয়েছে। সেটা শুনে আতাউর রেগে যায় । কারণ আতাউরের জায়গাই জেলে তার ছেলেকে রেখেছে জেলার মোস্তাক। পরের দৃশ্যে দেখা যায় জেলের মধ্যে গুলজার মানে ঐ মুরুব্বির খাবার নিয়ে এসেছে একজন। খাবার নিয়ে এসে ঐ লোক বলে স্যার আপনার উকিলকে বে একজনকে বের করার ব্যবস্থা করবেন। তখন গুলজার রেগে যায়। অন্যদিকে মাহা গেছে হাসপাতালে তার বাচ্চার চেক আপ করাতে। কিন্তু মাহা বাচ্চাটাকে পৃথিবীতে আনতে চান না। কিন্তু সেটা নিষেধ করে ঐ ডাক্তার বলে এটা করা এখন নিরাপদ না।
হাসপাতালে মাহার সঙ্গে দেখা করে দিয়া। মাহা দিয়াকে বলে আপনারা আমাকে কেন বিপদে ফেললেন বলেন তো। এরপর কয়েকবছর আগের একটা ঘটনা দেখানো হয়। যেখানে আলফ্রেড দিয়া ডেভিড সবাই প্ল্যান করছিল। এবং সেই সময়ে রাজেশ্বর পল মানে রাজু আসে। এবং বলে চাচা আপনার প্ল্যান শুনলাম ফাটাফাটি প্ল্যান। আমাকে কী করতে হবে বলেন। তখন ডেভিড বলে তুই তো একজনকে খুন করেছিস তুই এখন পাগলা গারদে গিয়ে লুকিয়ে থাক। আমি তোকে ঠিক সময় মতো কারাগার নিয়ে আসব। রাজু সেটাই করে। রাজুও একজন যুদ্ধশিশুর ছেলে। কিন্তু রাজুর বাবা অসুস্থ সেজন্য সে ডেভিড কে তার কাছে সাহায্য করছে। এরপর দেখা যায় রাজু ডেভিড এর কাজে গেছে। তখন ডেভিড রাজুকে বলে যা ঐ মুরুব্বি মানে গুলজার এর সঙ্গে কথা বল। তাকে বল আমরা আপনাকে বের করতে এসেছি। রাজু গিয়ে গুলজার কে এই কথা বলে। কিন্তু গুলজার কিছুতেই বিশ্বাস করে না। রাজু বলে ১৪৫ নং সেলের নিচে একটা টানেল আছে। আপনাকে ঐ টানেল দিয়ে আমরা বের করব। কিন্তু গুলজার সেটা বিশ্বাস না করেই চলে যায়।।
The father
এই এপিসোডের শুরুতেই দেখা যায় যুবক আলফ্রেড এবং ডেভিড বাংলাদেশের একটা গ্রামে গেছে সুফিয়া খাতুন কে খোঁজ করতে। আলফ্রেড এবং ডেভিড জানে সুফিয়া খাতুনই ডেভিড এর মা। কিন্তু গ্রামের একজন বলে সুফিয়া খাতুন অনেক আগেই মারা গেছে। এবং সুফিয়ার যে কোনো ছেলে আছে সেটা তো জানতাম না। অন্যদিকে রাজু কারাগারে তালা খোলার জন্য ডেভিড এর পরামর্শ অনুযায়ী তার টাইপের কিছু খুজতে থাকে। কিন্তু সে জেলের মধ্যে সেটা খুঁজে পাই না। পরে একজন নতুন ছেলেকে দেখে রাজু যে ছেলে মাএ কারাগারে এসেছে। তার চশমা টা খুলে নেয় রাজু। এরপর দেখা যায় গুলজারের সঙ্গে তার উকিল দেখা করতে এসেছে। তখন গুলজার বলে আপনারা কিছু করতে পারছেন না এদিকে এক পাগল বলছে আমাকে টানেল দিয়ে বের করবে। তখন উকিল বলে ওরা ঠিকই বলেছে। ওদের সঙ্গে কথা বলেন। পরের দৃশ্যে দেখা কয়েকবছর আগের ঘটনা। যেখানে আলফ্রেড ডেভিড এবং উকিল একই সঙ্গে আলোচনা করছে। অর্থাৎ পরিষ্কার হয়ে যায় যে ঐ উকিলও আলফ্রেড ডেভিড দের দলের লোক।
এরপর দেখা যায় মাহা হাসপাতালে তার মা কে দেখতে গিয়েছে। মাহা সেখানে তার মামির সঙ্গে কথা বলে। তখন মাহার মামিও জানাই তার মা তাকে অনেক কষ্টে এই দুনিয়ায় নিয়ে এসেছে। কারণ তার মাহার নানা মামা কেউ চাইত ও মাহার মা মাহা কে জন্ম দিক। কারণ মাহার মায়ের বিয়ের পূর্বেই মাহার মা গর্ভধারণ করে। তার আসল বাবা মেহেদী হাসান। তাকে তার নানা রা ঢাকা থেকে তাড়িয়ে দিয়েছে। এরপর মাহা কারাগারে যায় এবং একা একা দেখা করে ডেভিড এর সঙ্গে। ডেভিড বলে আমার মায়ের শরীর কেমন আছে। মাহা বলে ভালো নেই। মাহা ডেভিড কে জিজ্ঞেস করে আপনি কেন এখানে এসেছেন। তখন ডেভিড বলে তুমি তোমার বাবাকে খুঁজছ এবং আমি আমার বাবা কে এখান থেকে বের করতে এসেছি। এখানে রহস্যের জট খুলে যায়। মানে ঐ মুরব্বী গুলজার হলো ডেভিড এর বাবা। যাকে বের করতে ডেভিড কারাগার ঢুকেছে। এটা শুনে মাহা রীতিমতো অবাক হয়ে যায়। এখানেই শেষ হয় এই এপিসোড টা।।
ব্যক্তিগত মতামত
এই দুই এপিসোড ছিল একেবারে মোড় ঘোড়ানো এপিসোড। যেখানে দেখা যায় ডেভিড মাহা কে বলছে ডেভিড যাকে বের করতে টানেল দিয়ে এই কারাগারে এসেছে সেই গুলজার মানে মুরুব্বী ডেভিড এর বাবা। ডেভিড যুদ্ধশিশু সেজন্য সে জানে না তার বাবা কে। কোনোভাবে ও খবর পাই এই গুলজারই ওর বাবা। কিন্তু এই সময়ে গুলজার কে বের করে কী করবে ডেভিড। এই এপিসোডের শেষে এইরকম প্রশ্ন প্রত্যেকটা দর্শকের মনে এসেছে। কারাগার পার্ট-১ এর সফলতার পর পরিচালক বেশি অপেক্ষা করাইনি দর্শকদের। পার্ট-২ অসাধারণ লেগেছে আমার কাছে।।
ব্যক্তিগত রেটিং : ৯/১০
অফিশিয়াল ট্রেলার
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
কী আশ্চর্য বিষয় পোস্ট করা শেষ করে আমি কারাগার ২ দেখবো বলে ডাউনলোড করে রেখেছি। এখনই দেখা শুরু করব আর আপনার পোস্ট সামনে আসলো, তাই আপনার পোস্ট চোখ বুলিয়ে নিলাম, বাকিটা না হয় দেখে আমি নিজেও একটা রিভিউ পোস্ট দেব।
কারাগার ওয়েব সিরিজের বেপারে অনেক শুনেছি। অনেক ভাল হয়েছে কিন্তু দেখার সুযোগ এখনো হয়ে উঠেনি। কারাগারের রিভিউ পড়ে খুব ভাল লাগল। সাসপেন্স এ ভরপুর একটি কাহিনী। চঞ্চল নিজেই অনেক বিয়ার মাপের অভিনেতা তার উপর এই ধরনের ক্যারেকটার তিনি খুব ভাল অভিনয় করেন। খুব ভাল রিভিউ দিয়েছেন। ধন্যবাদ ভাইয়া ।