দারিদ্র্য গুণ নাশিনী!!
আমার বাংলা ব্লগে,সবাইকে স্বাগতম।
আমি @emon42.
বাংলাদেশ🇧🇩 থেকে
হুমায়ুন আহমেদ বাংলাদেশের একজন নামকরা লেখক এবং পরিচালক। তার উপন্যাসের পাশাপাশি তার পরিচালিত নাটক মুভিগুলো অনেক জনপ্রিয়। তার পরিচালনার নাটক গুলো এখনও বাংলাদেশে অনেক জনপ্রিয়। আমার নিজের কাছেই অনেক পছন্দের সেগুলো। আমি প্রায়ই দেখে থাকি। হুমায়ুন আহমেদের একটা জনপ্রিয় উপন্যাস হলো দারুচিনি দ্বীপ। এই উপন্যাসের লেখক উনি। পাশাপাশি ২০০৭ সালে এই উপন্যাসের উপরে একটা মুভি নির্মিত হয় একই নামে। ঐ মুভির পরিচালনা করেন হুমায়ুন আহমেদ নিজে। ২০০৭ সালের ঐ মুভি এখনও একটা নস্টালজিয়া অনূভুতি দেয়। যাইহোক এগুলো শুধু আলোচনার কথা বললাম। আমার আসল কথা বলার টপিকস পুরোপুরি আলাদা। গতকাল ঐ দারুদিনি দ্বীপ মুভির একটা দৃশ্য আমার চোখে পড়ল স্যোসাল মিডিয়ায়।
যেখানে ঐ মুভির একটা চরিত্র জ্যোতির বাবা তার মেয়েকে বলছে "দারিদ্র গুন নাশিনী। দারিদ্র্য আমার ভালোবাসার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলেছে"। সত্যি বলতে কথাটা যে ঠিক কতটা গভীর সেটা আপনারা একটু চিন্তা না করলে বুঝতে পারবেন না। এবং ঐ কথাটা বলার প্রেক্ষাপট আপনারা মুভিটা দেখলে অথবা উপন্যাস টা পড়লে বুঝতে পারবেন। দারিদ্র্য কী সত্যিই গুণ নাশিনী? এমন প্রশ্ন যদি আসে তাহলে আমি অন্তত বলব অবশ্যই। কোন সন্দেহ ছাড়াই এটা সত্যি। দারিদ্র্যের মধ্যে পড়ে মানুষ তার সেই স্বাভাবিক প্রবৃওি স্বাভাবিক চরিত্র একেবারে হারিয়ে ফেলে। মানুষ আরর তার নিজের চেনাচরিত আচরণ কোনভাবেই করতে পারে না। ঠিক মুভিতে জ্যোতির বাবাকে দেখানো হয়েছে।।
ঐ সংলাপটার পরেই বলে "দারিদ্র্য আমার ভালোবাসার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলেছে"। কথাটা একেবারে মিথ্যা না। সত্যি দারিদ্র্য তো আমাদের ভালোবাসার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে। দারিদ্র্য আমাদের একটা বন্ধনে আবদ্ধ করে রাখে। যে বন্ধন শুধু এটা করা যাবে না ওটা করলে ওরা বলবে এসবের মধ্যেই আটকে রাখে। শুধুমাত্র ভালোবাসার ক্ষমতা না দারিদ্র্য মানুষ কে চিন্তাভাবনার ক্ষমতাও নষ্ট করে দেয় অনেক সময়। এই মুভিতে সেটা দারুণ ভাবে দেখানো হয়েছে। কথাটার মধ্যে যেন এক সমুদ্র পরিমাণ অভিমান জমে রয়েছে । এটা দেখার পরে আমি নিজেই অনেকক্ষণ বিষয়টা নিয়ে চিন্তা করেছি। আসলেই কী গভীর একটা কথা। দারিদ্র্যের সম্মুখীন যারা হয়েছে কখনও তারা এটা বুঝতে পারবে।
আমাদের সমাজের একটা অঘোষিত নিয়ম হচ্ছে গরিব মানুষের দোষ বেশি। অর্থাৎ সমাজের একজন প্রভাবশালী ধনী যে কাজটা অনায়াসে করতে পারে একজন দারিদ্র্য ব্যক্তি সেটা করতে পারে না। করলেও পুরো সমাজের সবাই তার কাছে জবাবদিহি চাই। কিন্তু ঐ একই কাজের জন্য কেউ কখনোই ঐ ধনী ব্যক্তির কাছে জবাবদিহি তো চাই না উল্টা পারলে প্রশংসা করে। এই সংলাপ টা দেখার পর থেকে বেশ অনেকক্ষণ আমি চিন্তা করেছি। সত্যি কী গভীর কথা। হুমায়ুন আহমেদের লেখা আমি খুব বেশি পড়িনি। লেখকদের এইজন্যই আমার ভালো লাগে। তারা এমন সব কিছু লিখে যায় বলে যায় যেটা শতাব্দীর পরেও মিলে যায়। দারিদ্র্য সত্যিই মানুষের ভালোবাসার ক্ষমতা নষ্ট করে ফেলে।
সবাইকে ধন্যবাদ💖💖💖।
অনন্ত মহাকালে মোর যাএা অসীম মহাকাশের অন্তে। যারা আমাদের পাশে আছে তারা একটা সময় চলে যাবেই, এটা তাদের দোষ না। আমাদের জীবনে তাদের পার্ট ওইটুকুই। আমাদের প্রকৃত চিরশখা আমরা নিজেই, তাই নিজেই যদি নিজের বন্ধু হতে পারেন, তাহলে দেখবেন জীবন অনেক মধুর।তখন আর একা হয়ে যাওয়ার ভয় থাকবে না।
আমি ইমন হোসেন। আমি একজন বাংলাদেশী। আমি একজন ছাএ। তবে লেখাপড়া টা সিরিয়াসলি করি না হা হা। লেখালেখি টা বেশ পছন্দ করি। এবং আমি ফুটবল টা অনেক পছন্দ করি। আমার প্রিয় লেখক হলেন জীবনানন্দ দাস। আমি একটা জিনিস সবসময় বিশ্বাস করি মানিয়ে নিতে এবং মেনে নিতে পারলেই জীবন সুন্দর।।



.png)


