আমার নিজের লেখা গল্প।। মায়ের নিঃস্বার্থ ত্যাগ ও ভালোবাসা।। পর্ব-২৪
প্রিয়, পাঠকগণ,
মুখখানা ফ্যাকাশে হয়ে যায়, নীল চোখদুটো ঝল্ল্সে ওঠে। দু হাত মায়ের শ কাঁধের ওপর রেখে গভীর আবেশে মৃদুকণ্ঠে বলে:
'যদি জানতেন, কী বিরাট কাজ আমরা হাতে নিয়েছি... যদি বুঝতেন!..' মা'র মনে একটু যেন ঈর্ষা দেখা দেয়।
'আমি তো বুড়ো হাবড়া, তাই মুখ্যু...' অত্যন্ত ব্যথার স্বরে বলে উঠতে যায়। .... পাভেল এখন আগের থেকে বেশি কথা বলে, আরো সাগ্রহে জোর দিয়ে তর্ক করে। দিনের পর দিন আরো যেন রোগা হয়ে যাচ্ছে। মায়ের মনে হয় নাতাশার সঙ্গে কথা বলার সময় ওর চোখের কঠিন দীপ্তি যেন কোমল হয়ে আসে। ব্যবহার, ভাব-ভঙ্গি সহজ হয়, গলা নরম হয়ে আসে। মনে মনে ভাবে 'তাই হোক, ভগবান করুন তাই যেন হয়।' মুখে মৃদু হাসি ফোটে।
বৈঠকি গরম তর্ক-বিতর্ক চরমে উঠলে খখল উঠে দাঁড়িয়ে ঘণ্টা-পেটা হাতুড়ির মতো সামনে-পেছনে দুলতে দুলতে ভরাট ভারী গলায় সহজ সরল কিছু বলে, সবাই শান্ত হয়ে যায়। কাজ কাজ করে সকলকে ব্যতিব্যস্ত করে তোলে গোমড়া-মুখো ভেসশ্চিকড্, সে আর লাল-মাথা সাময়লভ্ সর্বদা তর্ক বাধায়। এদের পেছনে থাকে ফরসা চুল ইভান বুকিন-ওকে দেখলে মনে হয় বুঝি এক্ষুনি অ্যালকালি সল্যুশন লাগিয়ে ধোপ খেয়ে এসেছে। ইয়াকভ্ সমভ্ পরিষ্কার- পরিচ্ছন্ন ফিটফাট মানুষ; কথা কয় কম এবং মৃদু গম্ভীর গলায়। এই লোকটি আর চওড়া-কপাল ফিওদর মাজিন সর্বদা পাভেল আর খখলের পক্ষ নেয়
তর্কাতর্কির সময়।
কখনও কখনও নাতাশার জায়গায় শহর থেকে আসে চশমা-পরা পাতলা ফরসা দাড়িওলা নিকলাই ইভানভিচ্। কোন্ এক দূর প্রদেশে ওর জন্ম, তার ছাপ রয়েছে ওর ভাষায়। কিন্তু এমনিতে সব দিক থেকে ওর জুড়ি নেই। কখনও বড় কিছু নিয়ে কথা কয় না। বাড়ি-ঘর কাচ্চা-বাচ্চা, রুটি মাংসের দর, ব্যবসা- বাণিজ্য, থানা-পুলিশ-এই সব, অর্থাৎ আটপৌরে জীবনের বেসাতি ওর বিষয়বস্তু। কিন্তু ওর কথায় লোকের কৃত্রিমতা, গলদ, স্থূলতা, মাঝে মাঝে তাদের হাস্যাস্পদতা, আর সবকিছুতে তাদের ত্রুটি পরিষ্কার হয়ে যায়। মায়ের মনে হয় ও যেন বহুদূরের একটা আলাদা জগতের মানুষ। সেখানে সবাই সাচ্চা মানুষ; সাচ্চা সহজ তাদের জীবন। মুখের রংটা হলদেটে, চোখের চারধারে মিহি বলিরেখা গলার স্বরটা ভারি কোমল; হাত দুটি সর্বদা গরম। করমর্দন করার সময় পেলাগেয়া নিলভনার পুরো হাতখানা যেন ওর আঙুলের
For work I use:
মোবাইল |
realme C25s |
ফটোগ্রাফার |
@dreamlife10 |
লোকেশন |
ঝিনাইদহ, বাংলাদেশ |
ছবি তোলা |
মাঠে |
আলিঙ্গনে জড়িয়ে নেয়। এ-রকম করমর্দনের পর বুকটা হালকা শান্ত হয়ে ওঠে। আরো লোক আসে শহর থেকে। একটি মেয়ে আসে প্রায়ই। লম্বা রোগা চেহারা, ফ্যাকাশে মুখখানার মধ্যে প্রকাণ্ড বড় বড় দুটি চোখ। নাম সাশা। চাল- চলন পুরুষালী। কালো মোটা ভুরু-জোড়াকে সাংঘাতিকভাবে টেনে টেনে আর
চলবে..........
"ধন্যবাদ জানিয়ে আমার পরিচিতির এই শেষ পর্ব। সকলের সাথে সাংঘর্ষিকভাবে জড়িয়ে গেছে। আন্দেমা, তোমার ফুটপাথের নির্জনতা যেনুই শিকার, এ-রকম সঙ্গে। আল্লাহ তোমাদের ওপর থেকে নাজায়ে করুন। চিঠি এখানে শেষ। ১৫ই আগস্ট, ২০২৪।। #মোহনা #তারালয়"
আপনার লেখা গল্পটির পাশাপাশি ফটোগ্রাফি গুলোও অনেক সুন্দর হয়েছে। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম 🥰 ধন্যবাদ।