জীবনের বাঁক বদল (দ্বিতীয় পর্ব)
ফারিয়া যখন তাদের বাসার গলিতে ঢুকতে যাবে দেখতে পায় রিশাদ তখনও সেখানে দাঁড়িয়ে রয়েছে। অবশ্য এটা নতুন কিছু না। গত বেশ কয়েক মাস যাবত রিশাদ এই ডিউটি পালন করে আসছে। ফারিয়ার যখন কলেজে যাওয়া এবং আসার সময় হয় তখন সে তাদের বাসার গলির মাথায় দাঁড়িয়ে থাকে। ফারিয়া দেখেও না দেখার ভান করে সোজা বাসায় চলে গেলো। এভাবেই ফারিয়ার দিনকাল কাটছিলো। হঠাৎ করে একদিন কলেজে ফারিয়ার একটা ছেলেকে খুব পছন্দ হয়ে যায়।
ছেলেটা দেখতে শুনতে দারুন। একটা স্পোর্টস বাইক চালিয়ে কলেজে আসে। দেখেই বোঝা যায় যথেষ্ট অভিযাত ঘরের ছেলে। ছেলেটাকে দেখে ফারিয়া তার প্রেমে পড়ে যায়। তবে ফারিয়া ছেলেটার প্রেমে পড়লেও ছেলেটা ফারিয়ার দিকে ফিরেও তাকায় না। কারণ ফারিয়ার মতো আরও অনেকেই ছেলেটার জন্য অস্থির হয়ে থাকে। ছেলেটা মাঝে মাঝেই কলেজ থেকে যাওয়ার সময় তার পেছনে কোন না কোন মেয়েকে দেখা যায়। যেদিন ফারিয়া এই দৃশ্য দেখে সেদিনই তার মেজাজটা খুব খারাপ হয়ে থাকে।
এইভাবে বেশ কিছুদিন যাওয়ার পরে ফারিয়া একদিন সাহস করে ছেলেটার কাছে গিয়ে সরাসরি তার ভালো লাগার কথা বলে। ছেলেটা ফারিয়ার কথা শুনে মুচকি হাসতে থাকে। ফারিয়া ছেলেটাকে জিজ্ঞেস করে তোমার কি কোন রিলেশন আছে নাকি? ছেলেটা ফারিয়াকে বলে না এখন পর্যন্ত তেমন কাউকে পাইনি। কথাটা শুনে ফারিয়ার মনে দারুন আনন্দ হতে থাকে। হঠাৎ করে তার মনে হয় চারপাশটা দারুন রোমান্টিক হয়ে গিয়েছে। সেদিন আর কোনো কথা না বলে ফারিয়া সেখান থেকে চলে আসে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।