এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন অবসান (দ্বিতীয় পর্ব)
এমনিতে শফিক এলাকায় নানারকম ভালো কর্মকান্ডের সাথে জড়িত থাকে। এলাকার ভালো ছেলেদের নিয়ে সে একটা সংগঠন গড়ে তুলেছে। এলাকার ছেলেপেলের সুস্থ বিনোদনের জন্য সে একটা ক্লাব প্রতিষ্ঠা করেছে। সেখানে এলাকার যে সমস্ত ছেলেরা লেখাপড়া করে। তারা এসে নানা রকমের বই পড়তে পারে। কেউ কেউ টিভি দেখে আবার কেউ কেউ দাবা কেরাম এগুলো খেলে। শফিক মনে মনে চিন্তা করে আগামীকাল তার সংগঠনের একটা মিটিং ডাকবে। সেই মিটিংয়ে সে সংগঠনের সদস্যদের সাথে এই বিষয় নিয়ে আলোচনা করবে।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
শফিক তার এলাকার মুরুব্বীদের সামনেই তার সংগঠনের প্রচার সম্পাদককে ফোন দেয়। ফোন দিয়ে বলে সবার সাথে যোগাযোগ করো। আগামীকাল বিকালে আমরা একটা মিটিং করবো। মিটিং এর বিষয় এলাকার ছেলেদেরকে কিভাবে মাদক ব্যবসা এবং মাদক সেবন থেকে ফেরানো যায়। তারপর শফিক সেদিনের মত এলাকার মুরব্বিদের কে বিদায় জানায়। পরদিন বিকালে সে যথা সময় ক্লাবে উপস্থিত হয়। ক্লাবে উপস্থিত হয়ে দেখতে পায় তার এলাকার ছেলেপেলের সাথে গতকালকের তার বাড়িতে আসার মুরুব্বিরাও রয়েছে।
শফিক সবাইকে নিয়ে আলোচনা করতে থাকে কিভাবে এলাকার ছেলেপেলেদেরকে মাদক ব্যবসা থেকে ফেরানো যায়। এই বিষয়ে সংগঠনের সদস্যরা এক একজন এক এক রকম মতামত দিতে থাকে। কিন্তু সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রস্তাব দেয় শফিককে এলাকার চেয়ারম্যান ইলেকশন করার জন্য। তার যুক্তি শফিক যদি এখন মাদক ব্যবসায়ীদের কে কিছু বলে তাহলে মাদক ব্যবসায়ীরা তার শত্রু হয়ে যাবে। কিন্তু শফিক যদি একবার চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়। তাহলে মাদক ব্যবসায়ীরা তার কথা শুনতে বাধ্য থাকবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
শফিকের মতো সবারই উচিত মাদক ব্যবসা বন্ধ করার জন্য উদ্যোগ গ্রহণ করা। কারণ বর্তমানে প্রতিটি সমাজে মাদকাসক্ত লোকের সংখ্যা প্রচুর। তাছাড়া দিনদিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। তবে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাসেলের প্রস্তাবটি একেবারে যুক্তিসঙ্গত। দেখা যাক শফিক চেয়ারম্যান নির্বাচন করে কিনা। যাইহোক গল্পটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আসলে শফিক যে উদ্যোগ গ্রহণ করেছে সবার জন্য এটা খুব ভালো একটা উদ্যোগ। সবাই ভালোভাবে বাঁচতে পারবে এবং সুস্থ পরিবেশে নিজেদের জীবন পরিচালনা করতে পারবে। তবে মাদক কিন্তু পুরো সমাজকে নষ্ট করে দিবে, সেহেতু এটা বন্ধ করতে হবে। উচ্চপদস্থ কোন অবস্থান যদি পাওয়া যায় তাহলে অবশ্যই কোন না কোন ভাবে এটা দমন করা সম্ভব। যাই হোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
শফিক নানা রকম ভালো কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকে ও মাদকের বিরুদ্ধে প্রচারণা ও আলোচনার জন্য গ্রামের মুরব্বিদের ডেকেছে এবং আলোচনা করতে থাকে জেনে ভালো লাগলো।এদিকে সফিকে চেয়ারম্যা ইলেকশন করার প্রস্তাব দেয়।বিস্তারিত পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।
প্রতিটা সমাজের যুব সমাজ বেপথের দিকে ধাবিত হচ্ছে। এটি নিয়ে পদক্ষেপে নিলে নিজের উপরেই আক্রমণ আসে। তবে শরীফের দারুন একটি উদ্যোগ নিয়েছে। তবে এর ফল অনেক কঠিন। আপনার ধারাবাহিক পোস্টটি পরবর্তী পর্বের জন্য অপেক্ষায় রইলাম। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ধারাবাহিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।