এলাকার উন্নয়ন করতে গিয়ে জীবন অবসান (পঞ্চম পর্ব)
নির্বাচিত হওয়ার পরে শপথ নিয়েই প্রথমে এলাকার মাদক ব্যবসায়ীদের কে ডাকলো। সে সবাইকে ডেকে বলল তোমরা সবাই আমার ছোট ভাইয়ের মতো। তোমরা মাদক ব্যবসা ছেড়ে ভালো পথে চলে আসো। তোমাদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করে দেয়ার জন্য আমি সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। কিন্তু মাদক ব্যবসায়ীরা তাকে পাত্তাই দিলো না। শফিক দুই তিন দিন অপেক্ষা করে যখন দেখলো মাদক ব্যবসায়ীদের ভেতর কোনো পরিবর্তন আসেনি। তখন সে স্থানীয় থানার ওসির সাথে যোগাযোগ করে মাদক ব্যবসায়ীদের কয়েকজনকে এরেস্ট করালো।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
বাকি মাদক ব্যবসায়ীরা পুলিশের ভয়ে গা ঢাকা দিলো। এই ঘটনার পর থেকেই শফিকের জীবনে নতুন সমস্যার শুরু হোলো। মাঝে মাঝেই তার কাছে অচেনা নাম্বার থেকে ফোন আসতে লাগলো। সেই সমস্ত ফোনে তাকে হুমকি দিতে শুরু করলো। শফিক বুঝতে পারলো মাদক ব্যবসায়ীরা তার ওপর ক্ষেপে রয়েছে। যাই হোক তারপরেও মাদক ব্যবসায়ীরা এলাকায় না থাকার কারণে এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অনেক উন্নতি হয়। এলাকার লোকজন সবাই শফিকের উপরে খুশি হয়ে যায়। শফিকের মতো একজন সৎ এবং ন্যায়পরায়ণ চেয়ারম্যান পেয়ে এলাকার লোকজন দারুন খুশি হয়।
কিন্তু এদিকে শফিকের জীবনে ধীরে ধীরে আধার ঘনিয়ে আসতে থাকে। যে মাদক ব্যবসায়ীদেরকে শফিক এরেস্ট করিয়েছিলো পুলিশকে দিয়ে। তারা জামিনে ছাড়া পেয়ে বের হয়ে আসে। বের হয়ে তারা এলাকায় এসে আরও বেপরোয়া আচরণ করতে থাকে। শফিকের বিরোধী পক্ষের সাথে মিলিত হয়ে তারা এলাকায় রীতিমতো ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করে। শফিকের গ্রামের লোকজন সব ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটাতে থাকে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।
মাদক ব্যবসায়ীদের হাত অনেক লম্বা হয়ে থাকে। তারা অন্যায়ভাবে সমাজের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার করে। তাদের বিরুদ্ধে গেলে জীবনের ঝুঁকি থাকে। তেমনিভাবে শফিকের জীবন অনেক ঝুঁকির মধ্যে পড়ে গেল। আপনি আমাদের সাথে বাস্তব সম্মত একটি গল্প তুলে ধরছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি গল্প ধারাবাহিকভাবে তুলে ধরার জন্য।