নিষ্ঠুর নিয়তি (শেষ পর্ব)
লোকটা অটোরিক্সায় উঠার সময় বলেছিলো তার বাড়ি খুব বেশি দূর না। কিন্তু অনেকক্ষণ চলার পরও সবুজ যখন তাকে জিজ্ঞেস করলো আপনার বাড়ি আর কতদূর? তখন লোকটা বলল এইতো আর একটু দূরে। এভাবে আরো কিছুক্ষণ চলার পরে লোকটা সবুজকে একটা জায়গায় থামতে বললো। সবুজ সেখানে থামতে আরো দুজন লোক এসে তার অটো রিক্সায় উঠে বসলো। তখন সবুজ লোকটাকে জিজ্ঞেস করলো আপনি না বললেন আপনার স্ত্রী অসুস্থ? তখন লোকটা সবুজকে বললো এরা দুজন আমার বন্ধু। হাসপাতালে তো আর একা একা যাওয়া যায় না। এজন্য ওদেরকে সাথে নিলাম।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
এই কথা বলতে বলতে সবুজ খেয়াল করে দেখে তারা একেবারেই নির্জন একটি মাটির রাস্তায় এসে পড়েছে। রাস্তার দুই পাশ দিয়ে বিস্তীর্ণ অঞ্চল শুধু ফসলের মাঠ। সেখানে জন মানুষের কোনো চিহ্ন নেই। হঠাৎ করে সবুজের খুব ভয় লাগতে লাগলো। সবুজ চিন্তা করতে লাগলো তার এই লোকটার কথা বিশ্বাস করা উচিত হয়নি। এই চিন্তা করতে করতে হঠাৎ করে পেছন থেকে সেই লোকেরা অটো রিক্সা থামাতে বললো। সবুজ ভয়ে ভয়ে অটো রিক্সা থামাতেই। তিনজন নেমে সবুজকে টেনে অটো রিক্সা থেকে নামিয়ে ফেললো। তারপর তারা সবুজকে টানতে টানতে রাস্তার পাশে একটি ক্ষেতের ভেতরে নিয়ে গেলো।
এদিকে সবুজ প্রচন্ড চিৎকার করছিলো। কিন্তু আশেপাশে দুই চার কিলোমিটারের ভেতরে তার চিৎকার শোনার মত কেউ ছিলো না। সেই লোকগুলো সবুজকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করলো। যখন তারা নিশ্চিত হোলো সবুজের মৃত্যু হয়েছে। তখন তারা অটো রিক্সা নিয়ে পালিয়ে গেলো। আর এভাবে একজন মানুষের স্বপ্নগুলো অধরা রয়ে গেলো। পরদিন পত্রিকার পাতায় খবর বের হোলো একজন যুবককে হত্যা করে তার অটো রিক্সার ছিনতাই করা হয়েছে। এভাবেই প্রতিনিয়ত আমাদের চারপাশ থেকে অসংখ্য সবুজেরা হারিয়ে যাচ্ছে। আমরা কজনই বা তাদের খবর রাখি? (সমাপ্ত)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।