গুরুত্ব বুঝে মূল্য!

আজকে আমি এসেছি আপনাদের সকলের সাথে একটি জেনারেল রাইটিং পোস্ট শেয়ার করতে। আমার লেখার মাধ্যমে আমার চিন্তা ভাবনা গুলো আপনাদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে এই লেখাগুলো শেয়ার করা।

আশা করছি যে আপনারা আপনাদের মূল্যবান মন্তব্যের মাধ্যমেই আমার এই লেখাটি সৌন্দর্য বৃদ্ধি করবেন এবং আপনাদের মতামত ব্যক্ত করবেন। আমি যদি কোনো কিছু ভুল বলে থাকি। তাহলে অবশ্যই আমাকে শুধরে দিতে ভুলবেন না।

যে কোনো জিনিসের মূল্য যতো বেশি, তার গুরুত্ব ততো বেশি। এটা হয়তো শুনতে অনেকটা তিক্ত মনে হলেও এটাই সত্যতা। অর্থাৎ যে কোনো জিনিসের মূল্যের উপরে কিন্তু তার গুরুত্ব নির্ধারণ করে কিংবা যেকোনো জিনিসের গুরুত্বের উপর মূল্য নির্ধারণ করে। অর্থাৎ বলা চলে যে এরা আসলে একে অপরের পরিপূরক কিংবা একে অপরের উপর নির্ভরশীল। অর্থাৎ এটা একেবারেই সমানুপাতিক একটি সম্পর্ক। আর তাই কোনো মানুষ আমাদেরকে যদি তাদের জীবনে অনেক বেশি মূল্য দেই। তাহলে তার গুরুত্বটাও আমাদের জীবনে অনেক বেশি থাকে কিংবা তাদেরকে আমরা গুরুত্ব অনেক বেশি দেই।

কিন্তু আসলে এটা আমি কেনো লিখছি কিংবা কেনো এই কথাগুলো বলছি। সেটাই হয়তো ভাবছেন, তাই না? আসলে এই কথাগুলো বলার কারণ হলো, আমরা আমাদের জীবনে মানুষকে রেখে দেই। যারা আসলে আমাদের জন্য নয়। কিংবা যারা আমাদেরকে ভালোবাসে না কিংবা যাদেরকে আমাদের কোনো প্রয়োজন নেই। তাদেরকে আমরা রেখে দেই শুধুমাত্র তারা চায় বলে কিংবা তাদের সুবিধার জন্য। অর্থাৎ তারা আমাদেরকে ভালোবাসে না। তারা আমাদেরকে মূল্যবান ভাবে না কিংবা তারা আমাদেরকে গুরুত্বটাও দেয় না। কিন্তু আমরা শুধুমাত্র তাদের ভালোর জন্য তাদেরকে আমাদের কাছে রেখে দেই।

কিন্তু ব্যাপারটি খুব একটা ঠিক বলে আমার মনে হয় না। কারণ গুরুত্ব বুঝে মূল্য দেওয়া উচিত। কেউ যদি আমাকে অনেক বেশি গুরুত্ব দেয়। তবেই আমি তার ওই গুরুত্বের মূল্য দিবো কিংবা তাকে আমি ওই সমপরিমাণ শ্রদ্ধা জানাবো। কারণ পৃথিবীতে আপনি যদি আসলে ফ্রি ফ্রি নিজের গুরুত্ব সবাইকে দিয়ে দেন অর্থাৎ নিজেকে সকলকে দিয়ে দেন। তাহলে সত্যিই আপনার গুরুত্ব আর কোথাও থাকবে না। কারণ পৃথিবীটাই এমন আমরা যদি খুব বেশি ফ্রি হয়ে যাই কিংবা আমরা যদি সকলের কাছে খুব সস্তা হয়ে যায়। তাহলে মানুষ দাম দেওয়া বন্ধ করে দেয় এটা খুব তিক্ততাই আর এটাই সত্যতা।