ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ (নবম পর্ব)
আঘাত করার সাথেই সেই সন্ত্রাসীটি জ্ঞান হারিয়ে ঢলে পড়লো। তখন সবুজ শফিককে বললো চল এখন আমরা দৌড়ে পালাই। শফিক বললো এখন পালানো যাবে না। দ্বিতীয় সন্ত্রাসীকেও ঘায়েল করতে হবে। না হলে অন্য সন্ত্রাসীরা অল্প সময়ে খবর পেয়ে যাবে যে আমরা পালিয়ে গিয়েছি। তখন খুব সহজেই আমাদেরকে ধরে ফেলবে। আর আমরা যদি এখন দ্বিতীয় সন্ত্রাসী কেও ঘায়েল করি তাহলে অন্য সন্ত্রাসীরা এখানে আসার আগ পর্যন্ত বুঝতে পারবে না কি হয়েছে শফিকের।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
কথাটা সবুজের খুবই পছন্দ হোলো। তারা তখন সেই সন্ত্রাসীর কাছে থাকা অস্ত্র দুটো নিয়ে অন্য সন্ত্রাসীর জন্য অপেক্ষা করতে লাগলো। তার আগে প্রথম যে সন্ত্রাসীকে তারা আহত করেছিলো তার শরীরটা একটা গাছের পেছনে লুকিয়ে রাখলো। দ্বিতীয় সন্ত্রাসী টা সেখানে এসে যখন দেখলো তার সাথের লোকটা নেই। ঠিক তখনই সবুজ তার মাথার পেছনে বন্দুকের বাট দিয়ে আঘাত করলো। হাতে বন্দুক পেয়ে শফিক এবং সবুজের আত্মবিশ্বাস অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
তাদের বয়স কম হলেও তারা বন্দুক চালাতে পারে। কারণ তারা দুই বন্ধু বিএনসিসি থেকে ট্রেনিং প্রাপ্ত। দুই সন্ত্রাসীকে ঘায়েল করার পরে তারা তাদের হাতমুখ সব বেঁধে ফেললো। তারপর তাদেরকে ঘরের ভিতর ঢুকিয়ে বাইরে থেকে দরজা বন্ধ করে দিলো। শফিক মনে মনে চিন্তা করে দেখেছে বাদবাকি সন্ত্রাসী গুলোর এখানে ফিরতে আরো মিনিমাম ৫-৬ ঘন্টা সময় লাগবে। পালানোর জন্য তাদের হাতে এই ৫-৬ ঘন্টা সময় আছে। এই সময়ের ভেতর যদি তারা পালাতে না পারে তাহলে তাদেরকে হয়তো আবার সন্ত্রাসীদের হাতে ধরা পড়তে হবে। (চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।