ঘুরতে গিয়ে দুর্ভোগ (পঞ্চম পর্ব)
তাদেরকে হাত বেঁধে সেই অস্ত্রধারী লোকগুলো বনের আরো গভীরে নিয়ে যেতে লাগলো। তারা একবার এক পাহাড় থেকে নেমে আরেক পাহাড়ে উঠছিলো। আবার সেই পাহাড় থেকে নেমে অন্য পাহাড়ে উঠছিলো। এইভাবে ধীরে ধীরে তারা অনেক গভীর জঙ্গলের দিকে চলে যাচ্ছিলো। অনেকক্ষণ এইভাবে হাঁটার পর তিন বন্ধু ক্লান্ত হয়ে বসে পড়লো। তারা সেই সন্ত্রাসীদের কে জানালো বিশ্রাম না নিলে তাদের পক্ষে আর হাঁটা একেবারেই সম্ভব না।
ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।
তখন সেই সন্ত্রাসী গুলো বুঝতে পারলো এখন এদেরকে বিশ্রাম নিতে না দিলে শেষ পর্যন্ত এদেরকে ঘাড়ে করে বয়ে নিয়ে যেতে হবে। এদিকে বরুনের স্বাস্থ্য একটু মোটা হওয়ার কারণে বরুণ অতিরিক্ত দুর্বল হয়ে পড়েছিলো। তার পা দুটো ফুলে গিয়েছিলো হাঁটতে হাঁটতে। তিন বন্ধু হাত বাধা অবস্থায় পাশাপাশি বসে আলোচনা করতে লাগলো এখন কি করা যায়? ততক্ষণে বরুন কান্নাকাটি শুরু করে দিয়েছে। তখন সন্ত্রাসীদের ভেতরে একজন এসে বরুনকে ধমক দিয়ে গেলো। বলল কান্নাকাটি করলে এখানেই খুন করে লাশ মাটির নিচে পুঁতে ফেলবো।
এই কথা শুনতেই বরুণ চুপ করে গেলো। তারা যখন বিশ্রাম নিচ্ছিল তখন সবুজ খেয়াল করে দেখলো তাদেরকে যখন আটক করে তখন সর্বমোট ১০ জন সন্ত্রাসী ছিলো। এখন বিশ্রাম নেয়ার সময় সেখানে মাত্র চার জন সন্ত্রাসী রয়েছে। বাকি ৬ জন কোথায় যেনো চলে গিয়েছে? এভাবে বেশ কিছুক্ষণ বিশ্রাম নেয়ার পরে সেই ৬ জন সন্ত্রাসী আবার ফিরে এলো। তারপর শুরু হলো আবার হাঁটা। হাঁটতে হাঁটতে শেষ পর্যন্ত রাত হয়ে গেলো।(চলবে)
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।