দুঃসাহসী অভিযানে ডাকাত দলকে পাকড়াও করা (প্রথম পর্ব)

কেমন আছেন বন্ধুরা? আমি ভালো আছি। আশাকরি আপনারা ও ভালো আছেন।


রুবেল বাড়ির বারান্দায় বসে বসে চিন্তা করছে আর মাত্র দুটো দিন। তারপরেই ভার্সিটির ছুটি শেষ। আবার সেই যানজটের শহর ঢাকায় ফিরতে হবে। বাড়িতে আসলে রুবেলের আর ঢাকায় যেতে ইচ্ছা করে না। রুবেলদের বাড়িটা গ্রামের শেষ মাথার দিকে অবস্থিত। প্রায় বিশ বিঘা জায়গা নিয়ে রুবেলদের বাড়িটা। বাড়ির চারপাশে প্রচুর গাছপালা রয়েছে। তার ভিতরে বেশিরভাগই বিভিন্ন রকম ফলের গাছ। যার ফলে বাড়ির পুরো এরিয়াটা সবসময় ছায়া ঘেরা থাকে। বাইরে যখন প্রচণ্ড গরমে মানুষের ত্রাহী মধুসূদন অবস্থা। তখনও রুবেলদের বাড়িটা বেশ ঠান্ডা থাকে।


What kinds of change steemit can bring in our society_20240508_222210_0000.png

ক্যানভা দিয়ে তৈরি করা হয়েছে।

গ্রীষ্মের অলস দুপুরে রুবেল বাড়ির বারান্দায় ইজি চেয়ারে বসে একটা গল্পের বই পড়ছিলো। এর ভিতরে তার মা এসে তাকে এক গ্লাস ঠান্ডা লেবুর শরবত দিয়ে যায়। শরবতের গ্লাসে চুমুক দিতে দিতে রুবেল হিসাব করতে থাকে আবার কবে বাড়ি আসতে পারবে? দেখতে দেখতে দুটো দিন শেষ হয়ে যায়। চলে আসে সেই মন খারাপ করা দিন। প্রতিবারই রুবেল যখন বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন তার মনটা খুব খারাপ হয়ে থাকে।


কারণ বাড়িতে তার বয়স্ক বাবা-মা রয়েছে। তাদের সাথে থাকে তার এক চাচাতো চাচা আর তার স্ত্রী। রুবেলের একমাত্র বোন তার বিয়ে হয়ে গেছে অনেক আগেই। যার ফলে রুবেল না থাকলে এত বড় বাড়িতে আর মাত্র চারজন লোক থাকে। সেই চারজনই আবার বৃদ্ধ মানুষ। প্রতিবার রুবেল যখন বাড়ি থেকে বিদায় নিয়ে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। তখন সে চিন্তা করে পরবর্তী বার এসে কি সবাইকে জীবিত দেখতে পাবে? (চলবে)



আজকের মত এখানেই শেষ করছি। পরবর্তীতে আপনাদের সাথে দেখা হবে অন্য কোন নতুন লেখা নিয়ে। সে পর্যন্ত সবাই ভালো থাকুন সুস্থ থাকুন।



ধন্যবাদ

Sort:  
 last month 

গ্রামের পরিবেশ এবং বাড়িঘর গুলো অনেক সুন্দর থাকে। রুবেল ভার্সিটির জন্য ঢাকা চলে আসতে হয়, তার চিন্তা থাকে এবারে ঢাকা গেলে পরবর্তী সফরে সবাইকে জীবিত পাবে কিনা। এরকম চিন্তা চেতনার প্রতিটা মানুষেরই থাকে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি ধারাবাহিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য। পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

 last month 

বাড়িতে যদি বৃদ্ধ বাবা-মা থাকে তখন তাদেরকে একা রেখে যেতে সবারই ভয় করে। আর রুবেল যেহেতু বাড়িতে থাকে না আর মাত্র দুদিনের জন্য এসেছে সে হিসেবে তার কষ্টটা আরো বেশি লাগছে। যাই হোক আজকের পর্বটা পড়ে যদিও তেমন কিছু বুঝতে পারছি না তবে অপেক্ষায় রইলাম মূল পয়েন্ট পড়ার জন্য।

 last month 

যানজটের শহর ঢাকাতে বেশিরভাগ মানুষই থাকতে চায় না। কিন্তু বাধ্য হয়েই থাকতে হয়। অনেকে থাকে চাকরি কিংবা ব্যবসার জন্য, আবার অনেকে থাকে পড়াশোনা করার জন্য। তাছাড়া এতো বড় বাড়িতে চারজন বৃদ্ধ মানুষকে রেখে যেতে রুবেলের তো দুশ্চিন্তা হবেই। যাইহোক পরবর্তী পর্বের অপেক্ষায় রইলাম।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.13
JST 0.027
BTC 60482.94
ETH 2613.04
USDT 1.00
SBD 2.63